লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আপনার সাথে লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
রমজান মাস রহমতের মাস এই মাসে আমরা কমবেশি সবাই চেষ্টা করে নিজেদের মন মতো ভালো খাবার খেতে। আমি তো রমজান মাস আসার অপেক্ষা করি রমজান মাসে ইফতারিতে ভাজা করা পাকড়ায় সবকিছু খাওয়া যায় বলে। আমার তো ভাজাপোড়া খাবার এত বেশি পছন্দ যা বলে বোঝানোর মত না। এসব ভাজাপোড়া দোকানের সামনে দিয়ে যেতে এসব খাবারের গন্ধ যেন আমাকে টানতে থাকে। ছোটবেলা থেকে এই খাবারগুলো আমার অনেক বেশি পছন্দের। যেমন বেগুনি পেঁয়াজী, সিঙ্গারা,পুরি, সবজি পাকোড়া, কাবাব।বিরিয়ানি চাইনিজ এসব কিছু চেয়েও আমার এই ভাবে পোড়া কাবাব জাতীয় জিনিস গুলো বেশি ভালো লাগে। মনে হয় যেন তিন বেলা বসে এসব খাবারই খাই। তবে বছর দুয়েক আগে থেকে গ্যাসের এত বেশি প্রবলেম হচ্ছিল ডাক্তার এসব কিছু খেতে নিষেধ করে দিয়েছিল। এখন আর বেশি খাই না আগে যেটা খেতাম এখন আর তেমন খাই না। আর আমি যে যেখানে থাকি সেখানে এই ধরনের ভাজাপোড়া খাবারগুলো একটু কমই পাওয়া যায় আর পাওয়া গেলেও অত বেশি টেস্টি হয় না। এজন্য আমি যখনই গাইবান্ধা যাই আমি প্রত্যেকবার এসবের দোকানে বসে মনের মত করে খাই। সবার থেকে লুকিয়ে হলেও খাব। তাই এখন রমজান মাসে আর কেউ না করতে পারবে না রহমতের মাসের ভাজাপোড়া খেয়ে তেমন বেশি প্রবলেম হয় না আমি এটাই আমার আম্মুকে বলি যাতে করে খেতে নিষেধ না করে। আজ আপনাদের সাথে আমার পছন্দের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। এর আগে কখনো ফুড ফটোগ্রাফি শেয়ার করা হয়নি। আজই প্রথম শেয়ার করব।
উপরের ফটোগ্রাফি দিয়ে হয়েছে আলুর ডিমের জালি কাবাবের ফটোগ্রাফি। কিছুদিন আগে আমার বাসায় মেহমান এসে ছিল বিরিয়ানির সাথে তাদের জন্য আমি এই ডিম আলুর জালি কাবাব বানিয়েছিলাম।তাড়াহুড়ো করে বানাতে গিয়ে রেসিপি করা হয়নি। আশা করি পরবর্তীতে কোন একদিন আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করব। খেয়ে অনেক মজা হয়েছে সবাই বলেছে।দ
উপরের ফটোগ্রাফিটি দেখে সবাই বুঝতে পারছেন আমাদের ইফতারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবার ছোলা।ছোলা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।আমি ইফতারে চেষ্টা করি কুচি করা টমেটো শশা দিয়ে মাখিয়ে খেতে।এতে করে স্বাদ টা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
বুন্দিয়ার ফটোগ্রাফি তে বুন্দিয়া গুলোকে খুব রসালো লাগছে। আসলে বুন্দিয়া গুলো খেতে খুব টেস্টি ছিল। এগুলো বাজার থেকে কিনে আনা বুন্দিয়া। আমাদের ইফতার পার্টিতে আনা হয়েছিল।
উপরের ফটোগ্রাফিতে চিনির চিকন জিলাপি দেখতে পাচ্ছেন।এগুলো খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আবার অনেকগুলো চিনি জিলাপি আছে যেগুলো মোটা সেগুলো আমার কাছে তেমন বেশি ভালো লাগে না। আর সবচেয়ে ভালো লাগে গুড়ের জিলাপি। যেটা এখানে তেমন বেশি পাওয়া যায় না। আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকাতে গুড়ের জিলাপিটা অনেক বেশি টেস্টি আমি গেলেই জিলাপি খাই।
এগুলো হলো সেই লোভনীয় খাবার যেটা আলুর চপ এর পিয়াজুর ফটোগ্রাফি। সেদিন ইফতার পার্টিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে পিয়াজু আর আলু চপগুলোকে আমার কাছে বেশ ছোট লেগেছে। দোকানদার বোধহয় খুব কিপটে ছিল এজন্য ছোট করে বানিয়েছে।
ইফতারের সবকিছুকে মজাদার বানানোর জন্য যে খাবারগুলো প্রয়োজন হয় এখানে তারই ফটোগ্রাফি।এখানে চানাচুর, নিমকি সব কিছু একসাথে করা আছে।
এটি হচ্ছে একটি আদর্শ ইফতারের প্লেটের ফটোগ্রাফি। আমার বাসায় যে মেহমানরা এসেছিল তাদেরকে ইফতারিতে আমি এই ধরনের খাবার সার্ভ করেছিলাম। এখানে ভাজা করার চেয়ে ফলের পরিমাণটাই বেশি দেওয়া আছে। সাধারণত সবাই ফল জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করে তাই তাদের জন্য এই ধরনের খাবারই আমি দিয়েছিলাম। এখানে কলা টমেটো বেগুনি পেঁয়াজ, ছোলা, ,খেজুর,আলুর চপ,ডালিম,কমলা,আঙ্গুর,নাশপাতি এসবই রয়েছে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভুলত্রুটি হল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। ❣️❣
ডিভাইস | vivo |
---|---|
মডেল | y12 |
লোকেশন | গাইবান্ধা |
![](
আপনি ঠিক বলেছেন আপু রমজান মাস হলো রহমতের মাস। আর এই মাসের রমজানে আমরা ইফতারি করে থাকি, বিভিন্ন ধরনের খাবার দিয়ে। এসব খাবারের বেশ কিছু আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার তোলা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এ সমস্ত খাবার দিতে ইফতার করতে বেশ ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ কিছু খাবার ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ইফতারের সময় যতগুলো রেসিপি তৈরি করে ইফতারের আয়োজন করা হয় তার সবগুলো যেন আপনি আজকের এই পোস্টে তুলে ধরেছেন। সবগুলো খাবারের ছবি অনেক লোভনীয় ছিল আপু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার গঠনমূলক মতাবের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
সত্যিই তো। সব গুলোই তো দেখছি লোভনীয় খাবার। আপনার এমন লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো রোজার দিনে মাথাই নষ্ট হয়ে গেল। খুব সুন্দর করে লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এখানকার সবগুলোই আমার খুব পছন্দের একটি খাবার অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপনি বেশ কয়েকটি মুখরোচক খাবারের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী দেখে আমার জিহ্বায় জল চলে এসেছে। আপনি প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী খুবই সুন্দর করে আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ধারণ করেছেন। আমার কাছে আদর্শ ইফতারী প্লেটের খাবার গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আমার করা ফটোগ্রাফি করে আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো সবাই খেতে চাইবে আপু। তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। এখন রমজান মাস তাই একটু বেশি খাওয়া হয়। সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আজকে অসম্ভব সুন্দর কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রথমে আলুর ডিমের জালি কাবার তৈরি করেছেন। এটা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি দারুন দক্ষতায় ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রতিটা বাড়িতে ইফতারের সময় এই ছোলা ভুনা থাকবেই। চিনির চিকন জিলাপি এটাও বেশ সুন্দর ছিল। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো।
আমার করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলা আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলেই তো দোকানদার মনে হয় খুব কিপটে মানুষ যার কারণে এত ছোট ছোট বানিয়েছে। যাইহোক আপু, বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লাগলো। সবগুলোই ছিল ইফতারের আইটেম। সব শেষে একটি আদর্শ ইফতার প্লেটের ফটোগ্রাফি টা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
আমার বাসায় বেশির ভাগ সময় এ ধরনের ইফতার বানানো হয়।অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাগ্যিস আপনার এই খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমি রাত্রিবেলা দেখছি। না হলে রমজান মাসে রোজা থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খাবারের লোভ লেগে যেত। সবগুলো খাবারই বেশ লোভনীয় এবং আমার পছন্দের। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাবি লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
তবে আমারও পোস্ট লিখতে খুব সমস্যা হচ্ছিল পোস্ট লেখা বাদ দিয়ে আমি শুধু খাবারগুলোর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাবি চমৎকার মন্তব্য টি করার জন্য।
আপনি বেশ মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেকে আছে ভাজি পোড়া এবং বাইরের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে। এবং এই লোকগুলো গ্যাসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। সত্যি রমজান মাসে এরকম মজার খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে খেতে মন চায়। খুব সুন্দর করে মজার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে শেয়ার করেছেন।
আমার মতো আপনি এসব খাবার খেতে পছন্দ করেন জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যটি করার জন্য।