নয়াপুকুর স্টোডিয়াম মাঠে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বন্ধুরা আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে নয়াপুকুর স্টোডিয়াম মাঠে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকজ উৎসব। বিভিন্ন জন বিভিন্ন রুপে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে থাকে। তবে প্রাচীন কালে বাঙালিরা এই দিনটি যেভাবে উদযাপিত করতো, আমরা কিন্তু সেভাবে এই দিনটি উদযাপন করতে পারছি না। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে আমার এই দিনটি কে একটু অন্য ভাবে উদযাপন করছি। তবে এই দিনে প্রাচীন কালের মানুষ এতো বেশি লাফালাফির মধ্য দিয়ে উদযাপন করেনি।তারা খুবই সুন্দর একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিনের আনন্দ উপভোগ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে আমরা এই দিনটি কে একটি জঘন্যতম দিনে পরিণত করছি। এসব কিছুর মূলে আমরা দায়ী। আমরা এই দিনটি আবার আগের মত ফিরে পাবো কি না, তা আমার জানা নেই। তবে, এই দিনটি যদি আবার আগের রূপে ফিরে আসতো তাহলে অনেক বেশি ভালো হতো।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের আচার -অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে বিশেষ করে নববর্ষের রাতের বেলা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কেননা এই অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায়। অনুরুপ ভাবে নয়াপুকুর স্টোডিয়াম মাঠে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এক বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন‌ স্থানীয় জনগণ।এই অনুষ্ঠান টি আয়োজন করার মূল কারণ হলো বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মানুষদের কে একটু আনন্দ দেয়া।

বাঙালি জাতি গান কে অনেক ভালোবাসে।তাই তারা এই অনুষ্ঠানের মধ্যে গান শুনার জন্য সন্ধ্যা বেলার এসে উপস্থিত হয়ে যায়।এশা সময় হওয়ার আগ মুহূর্তে স্টোডিয়াম মাঠের কাণায় কাণায় দর্শক পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আসলে দীর্ঘ এক মাস গান বাজনা থেকে বিরত থাকার পর সকল মানুষ এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য অধিক আগ্রহ নিয়ে এসেছিলেন।এর আগে ও বেশ কয়েকবার এই মাঠের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তবে তখন এতো পরিমাণ মানুষের সমাগম হয়েছিল না।

এশার নামাজ শেষে অনুষ্ঠানের সকল প্রকার কার্যক্রম চালু করা হয়েছিল। প্রথমে একটি দেশাত্মবোধক গান দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা শুরু হয়। অনুষ্ঠান টি শুরু হওয়ার সময় সকল দর্শক অনেক জোরে চিল্লানি উঠে। এরপর ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকে অনুষ্ঠান টি। এরপর অনুষ্ঠানের মাঝে স্থানীয় সরকার জনগণের কল্যাণে বেশ কিছুক্ষণ বক্তব্য পেশ করেন। তার দেয়া বক্তব্য গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।সে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে বক্তব্য টি পেশ করেছেন।

সম্পুর্ন স্টোডিয়াম মাঠ জুড়ে শুধু দর্শক আর দর্শক। কোথাও ও কোন খালি জায়গা ছিল না। এরপর কিছু কিছু দর্শক স্টোডিয়ামের উপরে উঠে অনুষ্ঠান টি উপভোগ করেছে। অনুষ্ঠান টি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছিল অনুষ্ঠান কমিটি। এতো সুন্দর উপস্থাপন করে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা খুবই কষ্টকর। অনুষ্ঠান টি দর্শক বেশ ভালোভাবে উপভোগ করতে পারছে। অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছে। আমার কাছে গানের থেকে ড্যান্স গুলো বেশ ভালো লেগেছে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।