লাইফস্টাইল: হঠাৎ করে একদিন টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে যাওয়া
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং
বেশ কয়েকদিন ধরে আমি টেলিটক কাস্টমার কেয়ারের মধ্যে যেতে চাচ্ছিলাম কিন্তু যাওয়া হচ্ছিল না।আর এই গরমের মধ্যে বাসা বের হতেই ভয় লাগে। কেননা এই ভয়াবহ রোদের মধ্যে কখন কি হয় তা আসলে বলা যায় না।তাই আমি এই রোদের ভয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছি না। কেননা প্রচন্ড গরমের এবং রোদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেক সমস্যা হয়ে যাবে আমার।তাই আমি বেশ কয়েকদিন ধরে একটু সাবধান ভাবে চলাফেরা করছি। আমাদের সকলেরই উচিত এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে একটু সাবধান ভাবে চলাফেরা করা। কেননা এই গরমের মধ্যে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।এই গরমের মধ্যে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে এবং পাশাপাশি নিজের পরিবার পরিজন কে ও সুস্থ রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে যদি হালকা পরিসরে বৃষ্টিপাত হতো, তাহলে মানুষ জন একটু শান্তি ভোগ করতে পারতো। যাইহোক, সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। সৃষ্টিকর্তা যা করেন, তা মঙ্গলের জন্য করেন।
অবশেষে হঠাৎ গতকাল আমাকে প্রচন্ড গরম কে উপেক্ষা করে টেলিটক কাস্টমার কেয়ারের মধ্যে যেতে হয়। আমি প্রচন্ড গরমের কারণে খুবই তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি, কিন্তু অর্ধেক রাস্তা যেতে না যেতেই প্রচন্ড পরিমানে রোদ উদিত হয়ে যায়। আসলে আমি রোদ কে অনেক ভয় পাই। বাসায় যখন কোন কারণে মাঠের মধ্যে পাঠাতে চায় তখন আমি বিভিন্ন কলাকৌশল খাটিয়ে আর মাঠের মধ্যে যাই না। কেননা রোদের মধ্যে আমার কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু যখন বন্ধু বান্ধবদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাই তখন যতই গরম পড়ুক না কেন, তখন একটু ও রোদ লাগে না শরীরের মধ্যে। এটা হয়তো প্রত্যেক ছেলের মধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে, তবে আমার কাছে একটু বেশি।
এরপর আমি বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই রংপুর দর্শনা মোড়ে পৌঁছে গেলাম। আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু দর্শনা মোড়ে মেসের মধ্যে থাকে।সেখানে গিয়ে আমি প্রথমে আমার এক বন্ধু কে ফোন করলাম, সে আমাকে তার মেসের মধ্যে যাওয়ার জন্য বলে। অবশেষে আমি মেসে যাওয়ার জন্য হাঁটতে শুরু করলাম। দর্শনা মোড় হতে তার মেসের দুরুত্ব খুবই কম। হেঁটে যেতে প্রায় তিন থেকে চার মিনিট সময় লাগে। আমি তিন মিনিটের মধ্যেই তার মেসের মধ্যে পৌঁছে গেলাম। এরপর তার রুম টি খুজে বের করলাম। অবশেষে খুঁজে পেয়ে গেলাম। দীর্ঘ ক্ষণ গরমের মধ্যে জার্নি করে আসার পর মেসের মধ্যে ফ্যানের বাতাস খেয়ে অনেক ভালো লাগছিল। আমি বেশ কিছুক্ষণ তার মেসের মধ্যে বিশ্রাম নিয়ে নিলাম।
আমি আমার বন্ধু কে টেলিটক কাস্টমার কেয়ারের মধ্যে আমার সাথে যাওয়ার জন্য বললাম। অবশেষে সে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়।আর আমার বন্ধু কাস্টমার কেয়ারের সাথে বেশ পরিচিত, সে বেশ কয়েকবার এই কাস্টমার কেয়ারের মধ্যে যাতায়াত করেছে।তাই তাকে আমার সাথে নিয়ে যাওয়া। আমরা মেস থেকে বের হয়ে একটি রিকশা দাড় করিয়ে নিলাম। এরপর রিকশা ওয়ালা আমাদের টেলিটক টকাস্টমার কেয়ারের মধ্যে নিয়ে যায়। টেলিটক কাস্টমার কেয়ার টি রংপুর শহরের একদম ভিতরের দিকে। রিকশা ওয়ালা মামা বেশ কিছুক্ষণ এর মধ্যেই আমাদের কে টেলিটক কাস্টমার কেয়ারের সামনে দেয়। এরপর আমরা কাস্টমার কেয়ারের মধ্যে প্রবেশ করলাম। এরপর আমরা আমাদের এস এস সি পরীক্ষার মার্কশিট দিয়ে টেলিটক সিম কার্ডের জন্য আবেদন করলাম।আর স্টুডেন্ট এর জন্য টেলিটকের বর্ণমালা সিম একদম ফ্রি, শুধুমাত্র যারা এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছে তাদের জন্য।
এরপর আবেদন শেষ করে কাস্টমার কেয়ারের একজন কর্মকর্তার কাছে গিয়ে আবেদনের এস এম এস টি দেখালাম।সে এস এম সি টি দেখে আমার কাছে বেশ কয়েকটি সীম কার্ড ধরিয়ে দেয়, আমি সেখান থেকে আমার পছন্দের একটি সীম কার্ড সিলেক্ট করে নিলাম। এখন কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা আমার সীম কার্ড টি রেজিস্ট্রেশন করে দেয়। অবশেষে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত সীমটি পেয়ে গেলাম।সীম টি পাওয়ার পর আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো।আর টেলিটক সিম সব সময় আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে দরকার হয়। সেজন্য মূলত এই সীম টি নেয়া।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
---|---|
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তদের ফ্রিতে সিম দিচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। তাছাড়া যে কোন জায়গায় গেলে পরিচিত কাউকে সঙ্গে নিয়ে গেলে সুবিধা। আপনার বন্ধুটি যেহেতু টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে বেশ কয়েকবার গিয়েছে তার জন্য তাকে নিয়ে গিয়ে ভালোই করেছেন। ওখানে গিয়ে আপনার ঝামেলায় পড়তে হয়নি। খুব সহজেই সব কাজ করে সিম পেয়ে গিয়েছেন মনে হচ্ছে।
আসলে সকল জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এটি ভালো দিক।ফ্রিতে এতো সুন্দর একটি সিম পাওয়া আসলেই ভাগের ব্যাপার।
জিপিও-৫ প্রান্তদের টেলিটক সিম ফ্রি দারুণ তো! টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে যেয়ে সিম উত্তোলন বিয়য়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ভালো হয়েছে পোস্টটি। আসলে এই গরমে বাসার বাইরে বের হওয়াই মুশকিল। কিন্তু প্রয়োজনে বের হতে হয়। পোস্টের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
টেলিটক কাস্টমার কেয়ারের মধ্যে এসির বাতাস খেয়ে একটু ভালো লাগছিল। কিন্তু কাস্টমার কেয়ার থেকে বের হওয়ার পর শুরু হয়ে যায় গরমের যন্ত্রনা।
আসলে সব কোম্পানির সিম আমাদের থাকা প্রয়োজন রয়েছে তবে টেলিটক টা একটু বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে। যাইহোক টেলিটক সার্ভিসিং সেন্টারে উপস্থিত হয়েছেন সেখান থেকে সিম নিয়েছেন আর এমন বিষয়ের বিস্তারিত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
টেলিটক সিম দিয়ে যে কোন ধরনের চাকরির আবেদন করতে একটু সুবিধা হয়। কিন্তু অন্যান্য সিম কার্ড দিয়ে যে কোন ধরনের চাকরির আবেদন করা যায় না। মূলত চাকরির আবেদন করার জন্য এই সিমটি নেয়া।
খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর পোস্ট পড়ে। আসলে এরকম উদ্যোগ সকল ক্ষেত্রে গ্রহণ করা উচিত৷ জিপিএ-৫ প্রাপ্তদেরকে ফ্রিতে সিম দেওয়া হচ্ছে শুনে ভালো লাগলো৷ আসলে এরকম মুহূর্ত গুলো সারা জীবন মনে থাকে৷ তবে আপনি আপনার বন্ধুকে নিয়ে গিয়েছেন এবং সে অনেকবারই সেখানে গিয়েছে যাতে করে আপনার কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি৷ খুবই ভালোভাবে আপনি সিম পেয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।।