ভ্রমণ পোস্ট: জাফলং গোয়াইনঘাট চা বাগান ভ্রমণ
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ১৬ ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং
প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে সিলেট মানেই এক মায়াবী অনুভূতির নাম। পাহাড়, নদী, চা বাগান আর সবুজে মোড়ানো প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য যেন এখানে প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে আছে। সেই সিলেটের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান জাফলং, যা গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। চা বাগান, নদী, পাহাড় আর মেঘে ঢাকা প্রাকৃতিক দৃশ্য যেন একসাথে মিলেমিশে তৈরি করেছে এক স্বর্গীয় পরিবেশ।সকালে আমরা সিলেট শহর থেকে রওনা হলাম জাফলং-এর উদ্দেশ্যে। পথে যেতে যেতে চোখে পড়ছিল সারি সারি পাহাড়, বাঁশঝাড়, ছোট ছোট নদী আর টিলা। প্রায় দেড় ঘণ্টার পথ পেরিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম জাফলং এ।
গাড়ি থেকে নামার পর প্রথমেই চোখে পড়ল সবুজে মোড়ানো বিশাল চা বাগান। দূর থেকে দেখা যায়, পাহাড়ের ঢালে ঢালে সারি সারি চা গাছ সাজানো যেন এক সুন্দর চিত্রকর্ম।চা বাগানের ভেতরে ঢুকে যে শান্ত, নিরিবিলি পরিবেশ পেলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। হালকা বাতাসে দুলছে চা গাছের পাতা, তার ওপর সূর্যের আলো পড়ে চকচক করছে। এই দৃশ্য যেন চোখকে মুগ্ধ করে রাখে। কিছু দূরে দেখা গেল কয়েকজন নারী শ্রমিক ঝুড়ি নিয়ে চা পাতা তুলছে। তাদের কাজের ছন্দ, মুখের হাসি, আর পরিশ্রমের দৃশ্য সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
চা বাগানের মাঝ দিয়ে ছোট ছোট পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে আমরা পৌঁছে গেলাম পাহাড়ের এক ধারে। সেখান থেকে নিচে দেখা যাচ্ছিল পিয়াইন নদীর জলধারা, যার তলদেশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পাথর। এই নদী পার হয়ে দূরে চোখে পড়ে মেঘে ঢাকা ভারতের পাহাড়ি এলাকা এক অনন্য সৌন্দর্য যা ভাষায় বোঝানো যায় না।আমরা কিছুক্ষণ বসলাম বাগানের ছায়ায়। পাখির ডাক, বাতাসের মৃদু শব্দ, আর চারপাশের সবুজ প্রকৃতি যেন এক ধরণের প্রশান্তি এনে দিল মনে। স্থানীয় দোকান থেকে গরম চা নিয়ে বসে পড়লাম। সেই চায়ের স্বাদে ছিল আসল পাহাড়ি সুবাস এক চুমুকেই মনে হলো, প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছি।
বিকেলের দিকে সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ল, তখন পুরো বাগান যেন সোনালি রঙে রাঙিয়ে উঠল। শ্রমিকেরা ধীরে ধীরে কাজ শেষ করে বাড়ির পথে রওনা হচ্ছে, তাদের মুখে ক্লান্তির সঙ্গে মিশে আছে এক তৃপ্তির ছায়া। দূরে পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্তের শেষ আলো পড়ে সৃষ্টি করেছিল এক অপরূপ দৃশ্য, যা মনে চিরদিনের মতো গেঁথে রইল।জাফলং গোয়াইনঘাটের এই ভ্রমণ আমাকে শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, জীবনের সরলতা আর শান্তির গুরুত্বও শিখিয়েছে।
এখানে এসে মনে হয়েছে, শহরের কোলাহল থেকে দূরে এই প্রাকৃতিক পরিবেশই মানুষকে সত্যিকার অর্থে জীবন্ত করে তোলে। চা বাগানের সেই নিস্তব্ধতা, নদীর কলকল ধ্বনি আর পাহাড়ের ছায়া আমার মনে এক অমলিন স্মৃতি তৈরি করে গেছে।জাফলং শুধুমাত্র একটি ভ্রমণস্থল নয়, এটি এক অনুভূতি, এক অভিজ্ঞতা, এক প্রশান্তির ঠিকানা। যে কেউ একবার এখানে এলে, বারবার ফিরে আসতে চাইবে সেই একই সবুজে মোড়ানো চা বাগানের কোলে।
| Device | iPhone 11 |
|---|---|
| Camera | 11+11 MP |
| County | Bangladesh |
| Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness








https://x.com/Riyadx2P/status/1978720059909443812?s=19
Shy Fox কে বেনিফিশিয়ারি দেয়া হয় নাই, বিষয়টিতে সচেতন হওয়ার পরামর্শ রইল।
ঠিক আছে ভাইয়া
জাফলং গোয়াইনঘাট চা বাগান ভ্রমণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। নতুন নতুন জায়গায় ভ্রমন করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
জাফলং এর এই চা বাগান সম্পর্কে সব সময় বিভিন্ন ধরনের ভিডিওর মধ্যে দেখা হয়েছে৷ তবে কখনোই সরাসরি সেখানে যাওয়া হয়নি৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এটি দেখতে পেলাম৷ যেভাবে আপনি এটি এখানে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুবই ভালো লাগছে। একইসাথে এখানে এটি শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনি আবারও এই চা বাগানের সৌন্দর্য আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷
চা বাগান দেখে খুবই ভালো লেগেছে। জাফলং গোয়াইনঘাট চা বাগান ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছিল আপনার জেনে খুশি হলাম ভাই।