গ্রামীণ পরিবেশে কাটানো কিছু মুহূর্ত
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। অন্যান্য দিনের থেকে আজকে শীতের প্রকোপটা বোধ হয় একটু হলেও কম ছিল। আর সব থেকে বড় ব্যাপার আজকে দুপুর বেলাতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সূর্যের দেখা পেয়েছি আমরা। দীর্ঘ কয়েক দিন পর এই উষ্ণ পরশ পেলাম। বেশ লম্বা সময় আজ ছাদে বসে ছিলাম। ভীষণ ভালো লাগছিল মিষ্টি রোদে বসে থাকতে।
গতকাল গিয়েছিলাম একটু গ্রামের ভেতরে। উদ্দেশ্য তেমন কিছু নয়, ছোট বোনের বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে। আমার মাসতুতো বোনের বিয়ে। আমার ওপরে তাই কাজের কিছু দায়িত্ব পড়েছে। ওগুলো নিয়েই কয়েকদিন হল ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। এমনিতে ইট পাথরের শহরে থাকতে কেন যেন এখন আর অতটা ভালো লাগে না। একটু গ্রামীন পরিবেশে থাকতে পারলে ভীষণ ভালো হয়ে যায় মনটা। নতুন করে সজীবতায় ভরে ওঠে ভেতরটা।
যেহেতু এখন শীতকাল তাই গ্রামের দিকে যত যাওয়া যায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষা ক্ষেত চোখে পড়ে। যেন হলুদের মেলা বসেছে সবুজের মাঝে। এটা এক অন্যরকম ভালো লাগা। যদিও সরষে ক্ষেতের ছবি তুলবার কথা আমার মনে নেই। হিহিহিহি। আমি এর আগে কখনো জমি থেকে সামনাসামনি তুলে আখ খাইনি। গ্রামে যাওয়ার পর দেখলাম আমার এক ছোট ভাই অনেকটা শখের বসে কয়েকটা আখ গাছ লাগিয়েছে। আমার সামনেই কয়েকটা আখ কাটলো। অসম্ভব মিষ্টি ছিল সেগুলো খেতে। শীতকালের জন্য হয়তো আরো বেশি মিষ্টি লাগছিল।
পাশে দেখলাম ছোট ছোট ভুট্টার গাছ রোপন করেছে। আমার ওই ছোট ভাইকে বলে আসলাম ভুট্টা বড় হলে যেন আমাকে একবার খবর দেয়। পুড়িয়ে খাওয়ার জন্য তাহলে নিয়ে যাব কয়েকটা। বেশ লাগে খেতে তাই নাহ্! যাই হোক যেহেতু অল্প সময়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলাম তাই খুব দ্রুতই ফিরে আসি। তবে যেটুকু সময়ই ছিলাম সত্যিই মন ছুঁয়ে গেছে পুরো। আজ এখানেই থাক। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
এবার বেশ ভালই শীত পড়েছে। সূর্য্যের দেখা নেই বেশ কয়েকদিন। গতকাল অল্প কিছুক্ষনের জন্য সূর্য্যি মামার দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শীত তেমন কমেনি। আর শীতে গ্রামে গেলে দেখা মেলে মাঠের পর মাঠ সরিষা ক্ষেত। হলুদের সমারোহ। বেশ সুন্দর লাগে। আর আমারও মাঝে মাঝে মনে হয় শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়ে থাকি। বেশ ভাল সময় কাটাচ্ছেন গ্রামে গিয়ে। অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এবারের শীত টা বেশ লম্বা সময় ধরে চলছে আপু। কবে যে একটু কমবে! আর হ্যাঁ আপনার মতো আমারও গ্রামে গিয়েই থাকতে ইচ্ছে করে। একটু হয়তো শান্তি পেতাম তাহলে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার গ্রামীণ পরিবেশে কাটানো মুহূর্তটুকু পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সত্যি গ্রামীন পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে মনটা ভালো থাকে এমনকি মনটা ফ্রেশ থাকে। একই সাথে টাটকা কিছু খাবার খাবার সুযোগ হয়ে যায়। খুবই ভালো লাগলো গ্রামীণ পরিবেশে আপনার কাটানো মুহূর্তটুকু জানতে পেরে।
আপনার কথার সাথে আমি সম্পূর্ন একমত ভাইয়া। মনটাও সত্যিই খুব ফ্রেশ হয়ে যায়। আর টাটকা খাবারের তো তুলনা নেই একদমই। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
এমন পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলে আসলেই অনেক ভালো লাগে ভাইয়া। যেহেতু আমি গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করি তাই এমন পরিবেশে সময় অতিবাহিত করার মত ভালোভাবেই সুযোগ পাই। গ্রামীন সৌন্দর্যের মাঝে সময় অতিবাহিত করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
সেদিক থেকে তাহলে বলতেই হয় যে আপনি বেশ ভাগ্যবান ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
চমৎকার কিছু সময় গ্রামীণ পরিবেশে কাটিয়েছেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।বেশ কদিন ধরে ভীষণ শীত পরেছে।আর এই শীতে গ্রামীন পরিবেশ খুবই সুন্দর লাগে।আর হে, ভুট্টা পুরিয়ে খেতে আমিও খুব পছন্দ করি।
শীতে গ্রামের দিকে বেশ ঠান্ডাও লাগে আপু। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে ভাইয়া গ্রামীণ পরিবেশে সময় পার করা আমার খুবই ভালো লাগে। আসলে গ্রামীণ পরিবেশে মধ্যেই আমি বড় হয়েছি। তাই গ্রামীণ পরিবেশের সাধ আমি পেয়েছে খুবই দারুন লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভুট্টা বড় হলে সেটা পুড়িয়ে খেতে যাওয়ার আগে আমাদেরও দাওয়াত করবেন, সবাই মিলে অনেক বড় একটা ব্লগ লিখব হা হা হা।
হিহিহিহি দারুণ বলেছেন ভাই। অবশ্যই আমি জানাবো। আপনি প্রস্তুত থাকুন 😉😊
আমি এই বছর কয়েকবার হয়ে গেল এমন সুন্দর রবি শস্যের মাঠ ভ্রমণ করে ফেললাম। আমি এমনিতেই শীতকালের ফসলের মাঠ বেশি ঘুরতে পছন্দ করি। কোন কারণ ছাড়াই। তবে এবার বিশেষ কারণ মাথায় রেখে ছিলাম ফটোগ্রাফি করবো অনেক। সেই সুবাদে এমন ভুট্টা সরিষার ক্ষেত ঘুরে এসেছি। যাইহোক ভুট্টা পুড়িয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে ভাইজান। আশা করি আপনাদের সেই সময় অবশ্যই জানাবে।
বাহ্ আমি যেটা পারি নি, আপনি সেটা করে ঠিকই করেছেন ,, দারুন এক কথায় 👌। ভুট্টার খবর পেলে আবারও চলে যাব ভাই। তখন আবার কিছু ছবি নেব । অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
গ্রামীণ পরিবেশ সবসময়ই মনোমুগ্ধকর হয়ে থাকে।আমার জন্ম বেড়ে উঠা সবকিছুই গ্রামে তাই এই পরিবেশের সাথে আমি খুবই পরিচিত।দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দিন দিন কেমন জানি যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি কতদিন হলো এই পরিবেশের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।ছোড়দা আপনার পোস্ট টি পড়ে এবং গ্রামীণ দৃশ্য গুলো দেখেতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।ছোট বোনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।ধন্যবাদ ছোড়দা।❤️
একদম মনের কথা বলেছেন দিদি। দিন দিন কেমন যেন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের শিকড় টা কেই ভুলতে বসেছি। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে বড়দি।
আসলে গ্রামের পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে।কি ভুল করেছেন আপনি মানুষ সরিষা ফুলের ছবি তোলার জন্য দূরদূরান্তে যায় আর আপনি গিয়েও ছবি তুলতে ভুলে গেছেন। ভুট্টা পুড়িয়ে খেতে দারুণ লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর গ্রামিন পরিবেশে কাটানোর অনুভুতি শেয়ার করার জন্য।
আমি একটু মন ভোলা ধরনের দিদি। আর ছবি তোলার কথা খুব একটা মনেই থাকে না। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রামীণ পরিবেশে থাকতে সবারই ভালো লাগে। আমিও গ্রামীণ পরিবেশে থাকতে অনেক ভালোবাসি৷ গ্রামের সবুজ শ্যামল প্রকৃতি এবং গ্রামের বিভিন্ন দৃশ্যসমূহ আমাদের মনের মধ্যে একটি আলাদা শান্তি কাজ করায়। তবে যখনই গ্রাম থেকে কোথাও শহরের দিকে যাই তখন কেমন একটা মনে হয়৷ ইচ্ছে করে যেন তখনই গ্রামে ফিরে যাই৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর পোস্টটি পড়ে৷
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। আমারও আপনার মতোই অবস্থা। ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো শুনে। অনেক শুভকামনা রইলো ভাই।