প্রথমবার বই মেলায় যাওয়া
নমষ্কার,,
যখন স্কুলে পড়তাম তখন প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাস আসলেই বইমেলার খবর দেখতে দেখতে প্রায় পাগল হয়ে যেতাম। ঠিক সেই সময়টা থেকেই বইমেলা ঘুরে দেখার একটা ইচ্ছে মনে প্রবল ভাবে জন্মে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ইউনিভার্সিটি লাইফ শেষ করার পরেও আমি কখনো বইমেলাতে যেতে পারিনি। বিভিন্ন কারণে ঢাকায় এসেছি প্রচুর। তবে আমার টাইমিংটা বইমেলার সাথে একদমই মিলতো না। অথবা পেছনে একটা তাড়া লেগেই থাকতো। এজন্য বইমেলাটা সেই টেলিভিশনের পর্দাতেই শুধু রয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ বছরটা একদমই ব্যতিক্রম। সশরীরে প্রথমবারের মতো বইমেলায় গেলাম, ঘুরে দেখলাম এবং একটা বই নিয়ে চলে আসলাম।
বইমেলাতে ১৪ ফেব্রুয়ারি যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সেদিন অফিস থেকে ফিরে শরীর টা ভালো লাগছিল না। এজন্য রুমেই ঘুমিয়েছি সন্ধ্যাবেলা। আর ভেবেছিলাম এই সপ্তাহে ছুটির দিনে অবশ্যই একবার যাব বইমেলাতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করতে করতে বেশ দেরি হয়ে যায়। তাই রেস্ট না নিয়েই বইমেলার দিকে রওনা দিয়ে দেই। আমি যখন টিএসসিতে পৌঁছালাম তখন সময় প্রায় পাঁচটা। বিকালের ভিড়টা সবে জমতে শুরু করেছে। মানুষের ভিড়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমিও ঢুকে গেলাম মেলার ভেতরে। মনে মনে শুধু ভাবছিলাম এই সেই বইমেলা, এতদিন পর অবশেষে ইচ্ছেটা পূরণ হলো।
সত্যি বলতে বইমেলার অভিজ্ঞতাটা আমার কাছে যেমন ভালো তেমন আবার একটু খারাপ। এত এত বইয়ের স্টল, নতুন নতুন সব বই সব কিছুই মনে একটা অন্য রকম অনুভূতি দিচ্ছিল। কিন্তু মানুষের এমন উপচে পড়া ভিড় একদমই ভালো লাগছিল না। কারণ বাতাসে প্রচন্ড রকমের ধুলো ছিল। আর বেশির ভাগ মানুষ শুধু ছবি তোলা আর ঘুরতেই ব্যস্ত। বইয়ের দিকে কারোরই তেমন ঝোক নেই।
আমি যদিও বই পড়ি না। তবে খুব ইচ্ছে ছিল বই মেলা থেকে খালি হাতে ফিরব না। একটা বই নিয়েই ফিরব। তারপর সাদাত হোসাইনের লেখা "সে এসে বসুক পাশে" বইটা নিলাম। কয় পেজ যে পড়া হবে সেটা ঈশ্বর জানেন। তবে বইটা নিয়ে আমি খুবই খুশি। প্রথম বার বইমেলার একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে বইটা।
আপনি তো ভাই প্রথমবারের মতো বইমেলায় উপস্থিত হয়েছেন। আমার কিন্তু এবার সে সুযোগ হয়নি। তবে ইচ্ছে রয়েছে বইমেলায় যে এভাবে অনেক নতুন নতুন বইয়ের সাথে পরিচিত হওয়ার এবং ভালোলাগার বইগুলো কিনে কিছুটা হলেও পড়ার। বেশ ভালো লাগলো আপনার বইমেলায় প্রথম উপস্থিত হওয়ার সুন্দর এই অনুভূতি জানতে পেরে।
মনের ইচ্ছে যখন আছে, তাহলে নিশ্চয়ই একদিন ঠিক চলে আসবেন। আর নিজের পছন্দের বই কিনে নিয়ে যাবেন। ভালো লাগলো ভাই আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ।
প্রথমবার বই মেলায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। যদিও কখনো আমি বইমেলায় যাই নাই। তবে খুব ইচ্ছে আছে আর আমাদের আশেপাশে কখনো বইমেলা হতে দেখিনি। যদি কখনো হয় অবশ্যই সেখানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করব।
যারা বই ভালোবাসেন তাদের জন্য দারুন একটি জায়গা এই বই মেলা। আশা করি খুব দ্রুত আপনার মনের ইচ্ছে পূরণ হবে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
তাহলে অবশেষে প্রথমবারের মতোন বইমেলা তে যাওয়া হলো আপনার দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বইমেলার সাথে আমাদের আবেগের সম্পর্ক। আমারো এ বছর এখনো যাওয়া হয় নি। তবে অবশ্যই সময় করে যাবো, মিস দিবো না। আর বইটা পড়া না হলে, আমি কিন্থ আছিই... 😄 ভুলে যাবেন না।
আপনি যে বই মেলা মিস করবেন না এটা আমি ভালো করেই জানি। আর মেলায় গেলে যে খালি হাতে ফিরবেন নাহ্ সেটাও আমি নিশ্চিত একদম। তবে হ্যাঁ এই বই আমার থেকে নিয়েই পড়েন দিদি। কোন সমস্যা নাই। তারপর আমাকে সারমর্ম শুনায় দিলেই আমি খুশি 😊। হিহিহিহি।
😄😄😄
আরে বাহ! এত সহজে রাজি হয়ে যাবেন, সেটা তো ভাবতেই পারি নি! আচ্ছা ডান!
হাহাহাহাহা,,, আমি মানুষটা অতোটাও মন্দ নই তো 😉😊। একটা ভালো রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে বসবো নে দিদি 😀। ওকে ! !
আমিও বইমেলায় হাতে গোনা দু-একবারই গিয়েছি। তাছাড়া এখনকার দিনে কোন একটা অকেশন হলে মানুষ সেই জিনিস দেখার থেকে সেখানে গিয়ে ছবি তোলাতেই বেশি আনন্দ পায়। জানি না এসব বইমেলায় বই কতগুলো বিক্রি হয়। কিন্তু ভিড় দেখলে তো মাথা খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক সাদাত হোসাইনের বইটি আপনি না পড়লে আমাকে দিয়ে দিয়েন। পড়া শেষ হলে আবার ফেরত দিয়ে দিব।
আচ্ছা ঠিক আছে আপু,, আমাকে পড়ে একটু ভেতরের কাহিনীটা বলে দেবেন। তাতেই আমি খুশি। আমার কাজ টাও হয়ে যাবে। হিহিহিহি।
বইমেলা হোক, বাণিজ্য মেলা হোক কিংবা অন্যান্য মেলা ই হোক না কেনো, সবাই শুধু ঘুরাঘুরি এবং ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে এখন। আমি হাতেগোনা ২/৩ বার গিয়েছিলাম বইমেলায়। যাইহোক আপনি প্রথমবার বই মেলায় গিয়েছেন এবং একটি বই কিনেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বোধ হয় এটাই প্রথম এবং শেষ যাওয়া ভাই। হিহিহিহি। এই বইটা শেষ হলে তবেই যাব আবার। ভালো থাকবেন ভাই।