হসপিটালে ছোটাছুটি থেকে আপাতত মুক্তি
নমস্কার,,
বিগত এক সপ্তাহ ধরে বেশ ছোটাছুটির ভেতরে ছিলাম। অফিস থেকে হসপিটাল আবার হসপিটাল থেকে অফিস এটাই ছিল প্রতিদিনের রুটিন। মামা হঠাৎ করেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই বগুড়া থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় একটু ভালো চিকিৎসার জন্য। অন্যদিকে মামার কোন ছেলে নেই যে তাকে সব সময় দেখাশোনা করবে। ঢাকায় নিয়ে আসার পর তাই আমরা কয়েক ভাইয়ের উপরেই দায়িত্বটা একটু বেশি পড়েছিল।
বেশ কিছুদিন আগে মামার একটা মাইনর স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকেই মামার স্মৃতিশক্তি অনেকটাই কমে গিয়েছিল। আর যে মানুষটা খুব অল্প কথা বলতো তিনিও বাচ্চাদের মতন সব সময় কথা বলে যেতেন। এমনটা হলেও ভালো ছিল। কিন্তু শেষ কয়েক মাস হল তার আচরণটা বেশ বদলে গিয়েছিল। একটুতেই রেগে যেতেন। জোরে চিৎকার করতেন। কাউকে ঠিকমতো চিনতেও পারতেন না। অনেকটা মানসিক রোগীর মত হয়ে গিয়েছিলেন। আবার খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করতে পারছিল না। বগুড়াতে ডাক্তার দেখিয়ে সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রায় ১০ দিন সেখানে ভর্তি থেকেও যখন কোন উন্নতি না হয় তখন ঢাকাতে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকায় ডাক্তার কোরাইশী এক নামে পরিচিত মেডিসিন এবং নিউরো মেডিসিন এর ডাক্তার হিসেবে। আবার ওনার সিরিয়াল পেতেও প্রায় কয়েক মাস সময় লেগে যায়। যাই হোক আমরা নানান দিকে খোঁজখবর লাগিয়ে আনোয়ার খান মেডিকেলে মামাকে ভর্তি করি এবং সেখানে ডাক্তার কোরাইশীর তত্ত্বাবধানে মামার চিকিৎসা করা হয়। অনেক রকমের টেস্ট থেকে শুরু করে যা যা করণীয় মোটামুটি সব কিছু করা হয় আট দিন ধরে। এরপর অবশ্য মামা আগের তুলনায় একটু সুস্থ হয়ে ওঠেন। ডাক্তার বলেছেন এমন রোগীদের সুস্থ হতে বেশ সময় লেগে যায়। তাই হসপিটালে আর ভর্তি না রেখে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেবা করাটাই বেশি ভালো।
যাই হোক সবকিছু ঠিকঠাক মত মিটিয়ে মামা-মামীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আবার বগুড়াতে পাঠিয়ে দেই। কয়েকটা দিন সত্যিই ভীষণ চাপের মধ্যে ছিলাম। ঢাকায় জ্যাম ঠেলে যাতায়াত করাটা ভীষণ কষ্টের। আর এই তীব্র গরমে তো কথাই নেই। তবে মামা যদি আরেকটু বেশি সুস্থ হতেন তাহলে হয়তো বেশি ভালো লাগতো। আসলে আমাদের হাতে কিছুই করারও ছিল না। এমন রুগীদের চিকিৎসা সত্যিই অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাকিটা এখন ঈশ্বরের হাতে।
অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা সহায় হবেন। তাঁর আশির্বাদে যেন আপনার মামা দ্রুত সুস্থতা লাভ করেন, সেই প্রার্থনা রইলো। যদিও ডাক্তার এর কথা অনুযায়ী এমন রোগীর সেরে উঠতে সময় লাগে। ধৈর্য নিয়ে সেবা এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চললে আশা করছি অবস্থার উন্নতি হবে। শুভকামনা রইলো।
আসলে ধৈর্য্য ধরা ছাড়া আর কি উপায়ও নেই দিদি। আশির্বাদ রাখবেন।
আপনার মামার সুস্থতা কামনা করছি।পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে খুব খারাপ সময় কাটে।আর যেহেতু বললেন মামার ছেলে নেই তবে তো অনেকটাই দায়িত্ব নিতে হয়েছে।এখন কিছুটা ভালো তাই বগুড়া চলে গিয়ে ভালো ই করেছেন।বাসায় সেবা যত্ন পেলে আশাকরা যায় আরও তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
দোয়া করবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।