ফেরদৌসের সাথে বিকালের ঘোরাঘুরি।
কিছুদিন ঢাকা থেকে আবার বাড়ি ফিরেছি দু-তিন দিন হল। এসেই কমিটির কাজগুলো নিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। তবে যত ব্যস্ততা থাক আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন বিকেলে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও বাইরে ঘোরাফেরা করতে। আর আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন। তারা জানেন আমি ঘোরাফেরা করি সব সময় বন্ধু ফেরদৌসের সাথে। তবে এবার ঢাকা থেকে আসার পর শুনতে পেলাম ফেরদৌস একটি চাকরির জন্য কক্সবাজার যাচ্ছে। খবরটি শুনে আমি খুব একটা খুশি হতে পারিনি। কারণ আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম ফেরদৌস ফরিদপুরে থেকেই কিছু একটা করুক। সেটা চাকরি হোক বা ব্যবসা। কিন্তু আমাদের চাওয়া তো আর সবসময় পূরণ হবে না।
যদিও আমি মনে মনে এটাও চাচ্ছিলাম ফেরদৌস পার্মানেন্ট কিছু একটা করুক। যাইহোক যেহেতু ফেরদৌস ফরিদপুর ছেড়ে কক্সবাজার চলে যাচ্ছে। তাই চিন্তা করলাম এই দুটো দিন ওর সাথে ঘোরাফেরা করি। যদিও কাজের চাপে খুব বেশি সময় বাইরে থাকতে পারিনা। তাই বিকাল হতেই দুই বন্ধু বেরিয়ে পড়ি ঘোরাফেরার উদ্দেশ্যে। আর আমাদের সার্বক্ষণীক সঙ্গী হিসেবে থাকে ফেরদৌসের মোটরসাইকেল। গতকাল আমরা দুজন গিয়েছিলাম বন্ধু রাফসানের শোরুমে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তিন বন্ধু মিলে আড্ডা দিয়ে তারপর বাড়িতে ফিরেছিলাম।
যেহেতু আগামীকাল ফেরদৌস কক্সবাজার চলে যাবে। তাই আমি চিন্তা করলাম আজকে বিকালটা ফেরদৌসের সাথে কাটাই। ফেরদৌসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে প্রস্তাব দিতেই সে রাজি হয়ে গেলো। আমি সাড়ে তিনটার দিকে বের হলাম ঘোরার উদ্দেশ্যে। তবে আজকের ঘোরাফেরাটা ছিল সম্পূর্ণই উদ্দেশ্যবিহীন। আমাদের দুজনের পছন্দের একটি রাস্তা আছে। প্রথমে আমরা সেদিকে চলতে শুরু করলাম। চলতে চলতেই দুজন গল্প করছিলাম। গল্প করতে করতে হঠাৎ একটি রাস্তা দেখতে পেয়ে ফেরদৌস বলল আমাদের কখনো এই রাস্তায় যাওয়া হয়নি। চলো আজকে এই রাস্তা থেকে ঘুরে আসি।
আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন। তারা জানেন নতুন নতুন এলাকায় যেতে আমাদের খুবই ভালো লাগে। তাই আমি তার প্রস্তাবের সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু সেই রাস্তায় ঢোকার পর কিছুদূর আগানোর পর বুঝতে পারলাম আমরা এর আগেও এদিকে একবার এসেছি। যদিও তাতে আমাদের মোটেও খারাপ লাগেনি। কারণ সেখানে ছিল একদম গ্রামীণ পরিবেশ। রাস্তার পাশ দিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধরে ফসলের মাঠ। আর রাস্তার দুপাশ দিয়ে গাছের সাড়ি। এমন চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘোরাফেরা করতে ভালোই লাগছিল। যদিও মনের ভেতর এই চিন্তাটাও উকি দিচ্ছিলো যে যদি ফেরদৌসের চাকরিটা হয়ে যায় কক্সবাজারে। তাহলে আর আমাদের এই ঘোরাফেরাটা হবে না।
কারন আমাদের শহর থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব অনেক বেশি। আমাদের বন্ধু-বান্ধবদের ভেতরে যারা কক্সবাজারের চাকরি করে। তারা বছরে দুবারের বেশি বাড়িতে আসে না। দীর্ঘদিন দুজন একসাথে ঘোরাফেরা করতে করতে দুজনের ভেতর একটা অন্যরকম হৃদ্যতা গড়ে উঠেছে। আর তাছাড়া ফেরদৌস চলে গেলে আমি একেবারে একা হয়ে পড়বো। যাই হোক দুই বন্ধু ঘোরাফেরা শেষ করে লক্ষ্মীপুর নামক একটি এলাকায় গেলাম চপ খেতে। সেখানকার একটি দোকানের চপ বেশ নামকরা। যদিও আমরা দুজন এর আগেও সেখান থেকে চপ খেয়েছি। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা গেলাম অন্য আরেক বন্ধুর সাথে দেখা করতে। তারপর তিন বন্ধু মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আমি বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ভাষানচর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছেন ৷ আর এসেই গ্রামের পরিবেশের সাথে সানিধ্য বাহ!!! আসলে এখন তো শীতের দিন প্রকৃতি বেশ মনোমুগ্ধকর ৷ আর ধান তো কাটা কাটি শেষ ৷ আর তাই চারদিক বেশ ফাকাঁ চমৎকার পরিবেশ৷ ফেরদৌস ভাই কক্সবাজার যাবে চাকরির জন্য ৷ তার জন্য শুভকামনা ৷
আপনার অনুভূতির সাথে নিজেকে রিলেট করতে পারতেছি।আমারো সব বন্ধু বান্ধব বাইরে চলে গেছে,এলাকায় আমি রয়েছি শুধু।বন্ধু বান্ধব দের সাথে কাটানো সময় গুলো সত্যিই স্পেশাল হয়,তারউপর যদি এমন বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি হয় তাইলে তো কথাই নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাদের ঘোরাঘুরির মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে ফেরদৌস ভাইয়ের চাকরির জন্য শুভকামনা রইল। ভাইয়া গ্রামীন, প্রাকৃতিক, খোলামেলা পরিবেশ আমার বেশ পছন্দ। আপনি ফেরদৌস ও আপনার আর একটা বন্ধুর সহ খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন।
আসলে শহরের পরিবেশ এবং গ্রামের পরিবেশ দুটি আকাশ পাতাল পার্থক্য।
শহরে থাকলে মনে হয় আমি যেন কোন ব্যস্ত নগরী দূষিত নগরী এবং অপরিচিত কোথাও বন্দী হয়ে আছি।
পক্ষান্তরে গ্রামে আসলেই আমার পুরো পৃথিবীটাতে যেন প্রাণের সঞ্চালন ঘটে।
ঘোরাফেরা করতে আমারও অনেক ভালো লাগে যেন অনেক ভালো লাগলো দেখে ফেরদৌস ভাইয়ের একটি জব হয়েছে ভাই জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।।
আসলে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিয়ে ঘোরাফেরা করার মজাই অন্যরকম।
অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।।
ভাইয়া আপনার বন্ধু কক্সবাজারে চাকরির জন্য চলে যাবে বলে আপনার অনেক মন খারাপ। এটাই স্বাভাবিক কাছের বন্ধু চলে গেলে সবারই খারাপ লাগে ।আপনারা দুই বন্ধু অনেকটা সময় ঘোরাফেরার মাধ্যমে কাটিয়েছেন। আমারও চারপাশে গাছ মাঝখানের রাস্তা এমন পরিবেশে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সব বন্ধুরা বাইরে চলে গেলে এমনিতে ই খারাপ লাগে। আপনার বন্ধু ফেরদৌস কক্সবাজার চলে যাবে চাকরির জন্য। তার জন্য দুজনে মিলে একসাথে বেশ কিছু সময় ঘোরাফেরা করেছেন দেখছি। ঘোরাফেরা অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো। যেহেতু আপনার বন্ধু চাকরির জন্য যাচ্ছে তাই ওনার চাকরির জন্য শুভকামনা রইলো।
ফেরদৌস ভাইয়ার চাকরির কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। যদিও আপনি বন্ধু, এমন কি উনার সাথে খুব ভালো সময় কাটান। এই জন্য আপনি চাইছিলেন যাতে উনি এখান থেকে না যায়। কিন্তু আবার উনি ভালো কিছু করুক এটাও তো চাইছিলেন। বেশ ভালোই করেছেন যাওয়ার আগে ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন। তাছাড়া কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছেন এগুলো ভীষণ ভালো লাগলো।
যাক এতদিন পরে আবার ফেরদৌস দাদার সাথে আপনার আরেকটা ব্লগ পেলাম।আপনারা সময়টা বেশ ভালই কাটিয়েছেন দেখছি। তবে ঘোরাফেরার পরে যে চপ খেয়েছেন সে চপের ছবিতো দেখলাম না। না, মানে এমনি আর কি। যদি হতো লোভ দিতাম। হিহিহিহি। বেশ ভালো অভিজ্ঞতা।প্রিয় বন্ধু যখন ফেরে তার সঙ্গে এভাবে আড্ডা দেওয়া । আর যখন চলে যায় তখন একটা মন খারাপ জন্মায়।আবার খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের দেখা হোক এই কামনা করি।
,ফেরদৌস ভাইয়ার চাকরি হয়েছে জেনে অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া। কিন্তু তার সাথে আপনার কাটানো সময়গুলো মিস করব আসলে।আপনারা দুজন খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন দেখে খুব ভাল লাগলো ভাইয়া।আর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
ফেরদৌস ভাই এর চাকরির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। চাকরির জন্য বন্ধুকে দূরে চলে যেতে হবে সেই জন্য মন খারাপ করাটা স্বাভাবিক। বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলো সত্যিই অনেক স্পেশাল হয় যা অন্য কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যায় না। বন্ধুর সাথে অনেকটা সুন্দর সময় ঘোরাফেরা করে কাটিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো।