পলওয়েল পার্ক ভ্রমণ ( দ্বিতীয় পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।
গত পর্বে আপনাদের সাথে রাঙামাটি শহরের পলওয়েল পার্ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতার প্রথম পর্ব শেয়ার করেছি। পার্কে আমরা বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছি ।সেজন্য এক পর্বে পুরো অনুভূতি ব্যক্ত করা একটু মুস্কিল। এজন্যই দ্বিতীয় পর্ব করতে হলো। আমি আপনাদেরকে জানিয়েছি এই পার্কটি খুবই সুন্দর একটি জায়গা সময় কাটানোর জন্য।আর এখানে আপনাদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা আছে।
পার্কে আমি আর আমার বন্ধু ফেরদৌস দুজন ঘুরেফিরে দেখছিলাম। হঠাৎ একটি জিনিস দেখে আমি একটু অবাক হলাম। পার্কে ঘুরতে ঘুরতে সামনে তাকিয়ে দেখি সেখানে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ। আমি চিন্তা করছিলাম ঝুলন্ত ব্রিজ শুনেছি অনেক বড় এবং সেটা অন্য জায়গায় অবস্থিত। এই পার্কের ভিতর ব্রিজ দেখে আমি একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলাম। ব্রিজের কাছে যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম এটা আসলে মূলত ব্রিজ এর আদলে তৈরি একটি ছোট ব্রিজ। যেটা পার্কে দর্শনার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজে উঠে আমি আর আমার বন্ধু কিছুটা সময় কাটালাম।
এই পার্কে আসার আমাদের একটা উদ্দেশ্য ছিল। এই পার্কে কায়াক রাইড এর ব্যবস্থা আছে। কায়াক নিয়ে লেকের ভেতরে ঘুরে বেড়ানোর একটা পরিকল্পনা আমাদের মাথায় আগে থেকেই ছিল। যদিও আমি এর আগে জীবনে কখনো কায়াক চালাইনি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুভিতে বা ডকুমেন্টারিতে কায়াক চালানো দেখেছি। এটা আমি চালাতে পারবো কিনা সেটা নিয়েও নিজের মনে একটু সন্দেহ ছিল। কিন্তু যখন আমরা দুজন কায়াক চালানো শুরু করলাম। তখন দেখলাম ব্যাপারটা খুবই সহজ এবং খুবই মজার। এই পার্কে আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছে কায়াক রাইড। আমরা দুজন কায়াক নিয়ে লেকের ভেতরে আধাঘন্টা ঘুরেছি। সময়টা আমরা দুজনই খুবই উপভোগ করেছি।
কায়াক নিয়ে ঘোরাফেরা শেষ করে আমরা পার্কের অন্য অংশে গেলাম দেখতে আর কি কি আছে। সেখানে দুটি মজার জিনিস আমরা দেখতে পেলাম। একটি হচ্ছে ক্যাপসিকাম এর মত দেখতে একটি ছোট দোকান। যদিও দোকানটি বন্ধ ছিল। কিন্তু আমার কাছে এই ব্যবস্থাটা দেখে খুবই ভাল লেগেছে। আরেকটি ছিল কোন কিছু দিয়ে লাভ সিম্বল তৈরি করা। সেই সিম্বলের সামনে দাঁড়িয়ে সবাই ছবি তুলছিল। আমার বন্ধু সেখানে কিছু ছবি তুলেছিল।
এগুলি দেখে আমরা একটু নিচের দিকে নামলাম। সেখানে দেখি সাড়িসাড়ি নৌকা দাড়িয়ে ছিল। এই নৌকা নিয়ে আপনি কাপ্তাই লেকে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। লোকমুখে শুনেছি এখান থেকে নৌকা ভাড়া কিছুটা কম পরে। আরো কিছুক্ষন ঘোরাফেরা করার পরে আমাদের পানি পিপাসা লাগলো। পরে আমি দুটি জুস কিনলাম। তারপর আমি আর আমার বন্ধু পার্কের একটি সুন্দর জায়গায় বসে জুস খেলাম। পরে আর কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে আমরা আমাদের হোটেলে ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র | হুয়াই নোভা ২আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | লিংক |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩
আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।
খুবই ভালো একটা স্থান ভিজিট করছেন, কখনো যাওয়া হয় নায়। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কফি কর্নার খুবই ভালো লাগছে একদম ইউনিক। আপনার ফটোগ্রাফি দারুন ছিল।
আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে কাপ্তাই লেকে ভ্রমণ করতে যাব কিন্তু আজও যাওয়া হয়নি । আপনার এই ফটোগ্রাফি দেখে অনেকটা মন প্রবল হোলো,চেষ্টা করব কোন একদিন ভ্রমণে যাওয়ার জন্য । আপনার এ পোস্টটি আমার অনেক ভালো লেগেছে। কায়াক চালানোর ইচ্ছে আমার অনেকদিনের কিন্তু আজও হয়ে ওঠে নাই।
আপনার ভ্রমণের সময়টুকু অনেক মধুর ছিলো। আর ছবিগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে।
তবে সবগুলো ছবির মাঝে কফি কণারটা আমাকে অনেক সুন্দর লেগেছে।
আপনার এত সুন্দর একটি সময় আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,, ❤️❤️❤️
খুব সুন্দর পার্ক। বেশ ভালো লাগলো। ব্রিজ টা আর নদীতে রাখা নৌকা গুলো বেশি মন কেড়ে নিল। এমন পরিবেশে প্রতিটা মুহূর্ত খুব সুন্দর হয়। আর আপনিও দারুণ উপভোগ করেছেন। শুভেচ্ছা রইল দাদা।
একটি খুব আকর্ষণীয় কন্টেন্ট এবং আমার অর্ন্তদৃষ্টি যোগ, শুভ নববর্ষ !!
পলওয়েল পার্ক টি আসলেই অসাধারণ, ভ্রমণ করার জন্য এমন মনোরঞ্জন পরিবেশ ওই তো দরকার । আপনি দারুন একটা জায়গা ভ্রমন করেছেন। এই জায়গাতে দেখলাম দারুন দারুন সব মূর্তি রয়েছে এবং সময় কাটানোর জন্য সুন্দর জায়গা তৈরি করা রয়েছে যেখানে আমরা নিমেষেই আমাদের প্রিয় জন এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটাতে পারি। আপনি অনেক সুন্দর জিনিস আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যার মাধ্যমে জায়গাটি অনেকখানি উপলব্ধি করতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শুরুতেই জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা, হ্যাপি নিউ ইয়ার ভাইয়া, ভাইয়া আপনার ফোটোগ্রাফি দেখে এবং জায়গাটির বর্ননা পরে খুবই যাইতে ইচ্ছে করতেছে, অনেক সুন্দর ছিলো আপনারা ভ্রমণ যাত্রা ভাইয়া, আপনার পোস্টি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া, অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া
সময় নিয়ে একবার ঘুরে আসেন। অনেক সুন্দর একটি স্থান। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
সুযোগ পেলে অবশ্যই যাবো ভাইয়া
রুপক ভাই আপনার রাঙামাট ভ্রমনের প্রতিটি পর্বই খুবই সুন্দর এবং অমায়িক ছিল ।রাঙামাটির ভ্রমনের প্রত্যেকটি পর্ব আমি খুব সুন্দর ভাবে মন দিয়ে দেখেছি ।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যদি ও আমি রাঙ্গামাটি যাই নাই । তবুও আপনার মাধ্যমে সব যায়গাগুলো দেখতে পেলাম। আজকের পার্কের প্রতিটি ফটো চমৎকার স্থানগুলোও চমৎকার ছিলো ।ধন্যবাদ ভাই
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পলওয়েল পার্ক ভ্রমণের দ্বিতীয় পরবর্তী পড়ে মনে হচ্ছে উক্ত জায়গাটি খুবই সুন্দর এবং অত্যন্ত মনমুগ্ধকর পরিবেশ। যদিও এই জায়গায় আমি কোনদিন যাইনি। তবে আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিজে কল্পনা করে চলে গেলাম। ভাইয়া আপনার পোস্ট এর বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। অত্যন্ত সুন্দর একটি স্থান ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বটি চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করে আমাদের উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
পার্কটি আসলেই সুন্দর। সুযোগ থাকলে একবার ঘুরে আসবেন । ভালো লাগবে। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।