জেনারেল রাইটিং - আঠারো বছর বয়স।
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসি, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করব। যার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, ১৮ বছর বয়স এবং তার পরবর্তী সময়।

শুরু করছি তরুণ কবে সুকান্ত ভট্টাচার্যকে দিয়ে। আমরা যখন কলেজে ছিলাম, তার আঠারো বছর বয়স নামে একটা কবিতা পড়েছিলাম। কবি কবিতাটি সম্ভবত তার ১৮ বছর বয়সেই কিংবা তার কিছুদিন পরে লিখেছিলেন। কবিতার ভাষা, শব্দ চয়ন, এবং মূলভাব; সবকিছুই ১৮ বছর বয়সের উজ্জীবিত তরুণ-তরুণীদের দারুন ভাবে প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের অদম্য সাহস, হার না মানা মানসিকতা, এবং সবকিছু ভেঙেচুরে গুঁড়িয়ে দেওয়ার একটা মানসিকতা, তা দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন।
আমরা যদি বাস্তবতার দিকে তাকাই, তাহলে এই কবিতাটি আরও দারুণভাবে উপলব্ধি করতে পারি। আমি আমাদের বাংলাদেশের কথাই যদি বলি, সেই ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে বাংলার জমিনে যুবকরা বারবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, লড়াই, সংগ্রাম করে গেছেন। সেই ক্ষুদিরাম বসু, প্রীতিলতা থেকে শুরু করে বায়ান্ন ভাষা আন্দোলনের শহীদ রফিক, জব্বর, বরকত এবং ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানেও তরুণরা সাহসী ভূমিকা রেখেছিল। সেই অভ্যুত্থানে তরুণ আসাদ শহীদ হয়েছিল।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার নানারকম আন্দোলন ঘটেছিল। ৮৬ সালে এবং ৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন। ৯৬ সালের গণতন্ত্র আন্দোলন, ২০১৪ কি ১৫ সালে সড়ক আন্দোলন, এবং ২০২৪ সালের গণআন্দোলন। সবকিছুতেই নেতৃত্ব দিয়েছিল আমাদের তরুণরা। বিশেষ করে সড়ক আন্দোলনের কথা আলাদা ভাবে বলতে হয়। ওই সময় স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল, কিভাবে চাইলেই সুন্দর সড়ক ব্যবস্থা করা যায়।
আঠারো কিংবা তার একটু বেশি বয়সের তরুণ তরুণীরা আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের ভবিষ্যৎ। তারা যদি সঠিক পথে থাকে তাহলে এটুকু বলা যায় যে, এখন না হোক, একটা সময় আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হবেই হবে। তারা আমাদের স্বপ্ন দেখায়। তারা আমাদের আবার বাঁচার তাগিদ দেয়। এই কারণেই তো সুকান্ত ভট্টাচার্য, কাজী নজরুল ইসলামরা তাদের মধ্যে দেখেছিলেন আমাদের ভবিষ্যৎ।
