RE: রহস্যগল্প 'মাশরুম" - পর্ব ০৩ [শেষ পর্ব]
গল্পটি পড়ে আমি বিভিন্ন ভাবে গবেষণা করে আমি যতটুকু বুঝতে সক্ষম হয়েছি সেটা তুলে ধরা হলো।
প্রথম পর্বে আমি একটি কথা পেয়েছিলাম যেটার নাম জিনোম সিকোয়েন্স:
জিনোম সিকুয়েন্স সম্পর্কে আমি এটা জানতে পেরেছি যে, জিনোম সিকোয়েন্স হলো ডি এন এ আর ক্রম বিন্যাস।এর সাহায্যে খুব নিপুণ ভাবে কোন জীবের জিনেটিক কোডকে আলাদা করা হয়।
তারপরে পোস্টটিতে বলেছেন যে মাশরুম চাষ করা হবে সেটা টক্সিক! অর্থাৎ চাষকৃত মাশরুম টি হবে বিষাক্ত।যেটা খাওয়া যাবে না।
তারপর আমি গল্পে পেয়েছিলাম ড: সোম আমেরিকা থেকে গিয়ে এসে একটি পান্ডব বর্জিত জঙ্গলে একটি গবেষণাগার তৈরি করেছিলেন।এখানে পান্ডব বর্জিত জঙ্গল বলতে আমি পাহাড় এবং জঙ্গল কে বুঝেছি।আমি মনে করি তার গবেষণাগার কোন পাহাড়ে ছিল যেটা জঙ্গলে পরিপূর্ন।যেই গবেষণাগারে মধ্যপ্রদেশের সরকার একজন পরিদর্শককে পাঠায় যার নাম ছিল বালাপরিয়া।
ডা: সোম যে মাশরুম গুলো নিয়ে গবেষণা করেন মাশরুম গুলো ব্রাজিলিয়ান মাশরুম ছিল। কিন্তু পরিদর্শক হিসেবে মি: বালাপোরিয়া সেখানে গিয়ে তার গবেষণাগারে কোন মাশরুম পায়নি। উত্তরে ডা: সোম বলেছিলেন যে তার গবেষণা মূলত জিন নিয়ে। থেকে আমি পরিষ্কার হয়েছি যে গল্পটি জিন নিয়ে। মি: বালাপোরিয়া যখন মাশরুমের কথা বলে তখন ডা: সোম তাকে একটি লম্বা প্লাস্টিকের সেড লক্ষ্য করতে বলেন।সেখানে যাওয়ার জন্য বালাপোরিয়া বেশ আগ্রহ পোষণ করে থাকে।কিন্তু সেখানে সবাইকে যেতে নিষেধ করে থাকে ডা: সোম।কেননা সেট একটু বিপদজনক জায়গা।
কিন্তু সেখানে মি:বালাপোরিয়া যাওয়ার জন্য এক পায়ে খাড়া, তাই ডা: সোম তাকে মাশরুম টাচ না করার শর্তে সেখানে নিয়ে যায়।মাশরুম ঘরে মাশরুম গুলো প্লাস্টিকের চাঁদর দিয়ে ঘেরা ছিল।
সেখানে মি:বালাপোরিয়া একটি মিষ্টি গন্ধ পেয়েছিল যেটা একটি পিতলের গামলা থেকে এসেছিল।পিতলের হামলার কাছে যাওয়া মাত্র ডা:সোম তাকে কর্কশ ভাবে সরে যেয়ে বলেন।
তারপর রাতের খাবার শেষে বালাপোরিয়া শোয়ার ঘরে গিয়ে জানালা খুলে গভীর রাতে ডা:সোম কে মাশরুম ঘরে যেতে দেখেন।
যখন বালাপোরিয়া ডা: সোম এর ডাইরির পাতা উল্টাচ্ছিল এমন সময় মাস্টারপিস নামের লেখাটা তার চোখে লাগে এবং পিতলের গামলা এবং নীল রঙের ঘেরা পর্দার ভেতরে কি আছে সেটা সম্পর্কে জানার জন্য কৌতুহল হয়ে পরেন।
পরে বালাপোরিয়া রুম থেকে একটা পাতলা টি শার্ট এবং চপ্পল পড়ে গেটের বাহিরে যায়।তারপর ধীরে ধীরে বালাপোরিয়া মাশরুম ঘরে প্রবেশ করেন এবং পিতলের গামলার কাছে যায়।অতি মিষ্টি গন্ধটা যেন আরো বেশি তীব্র ছিল।গামলার দিকে ঝুঁকে বালাপোরিয়া নিজেকে প্রশ্ন করেন গামলাতে এখনও কোন মাশরুম নেই তবে মাশরুম কি আগে ছিল?এখন নেই?
তারপর বালাপোরিয়া নীল পর্দার পেছনে কি রয়েছে সেটা দেখার জন্য গেলেন এবং নিকষ কালো অন্ধকার দেখতে পায়।তখন তার মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে নেয়।সেখানে বালাপোরিয়া দেখতে পায় কিছু গিনিপিগ (দেখতে খরগোশের মত)সেখানে মরা গিনিপিগ ও ছিল।
তারপর সে পুনরায় পিতলের গামলার কাছে এসে দাঁড়ায় এবং কালো মাটি গুলো লক্ষ্য করে এবং গিনিপিগের কয়েকটি লোম দেখতে পায়।তারপর বালাপোরিয়া একটি মারত্মক ভুল করে লোম গুলো টাচ করে।
টাচ করা মাত্র লক্ষ্য করেন শত শত মাশরুম।সেগুলো দেখতে নিকষ কালো আলপিনের মতো ছিল।বালাপোরিয়া মাশরুম গুলো উপরিভাগ স্পর্ষ করা মাত্র ক্ষণিকের জন্য সেন্সলেস হয়ে পড়েন।তিন মিনিট পর সে বুঝতে পারে তার হাত কাদ পর্যন্ত অবস হয়ে গেছে।ক্রমান্বয়ে তার শরীর একদম নাজুক অবস্থা হয়ে পড়ে।পরবর্তীতে সে লক্ষ্য মাশরুম গুলো লাল বর্ণ ধারণ করেছে।যেটা আমার কাছে মনে হচ্ছে রক্ত।আমি মনে করি মি: বালাপোরিয়া নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার কারণটা ছিল তার শরীর থেকে মাশরুম রক্ত শুষে নিয়েছিল।
গল্পটি পড়ে আমি বুঝতে আরো ভালো করে বুঝতে পারলাম মি: বালাপোরিয়া একজন নির্বোধ লোক।এখানে এসে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেনি।সে একজন সরকারি প্রতিনিধি সেটা ছিল তার গৌরব।ডা:সোম এর নিষেধ করা সত্ত্বেও গামলার ভেতরে থাকা মাশরুম স্পর্শ করা ছিল তার জন্য একটি বড় ভুল।তাছাড়া আমি এই গল্পের মাধ্যমে জানতে পারলাম একটি মাংসাশী মাশরুম সম্পর্কে।
গল্পটির তিনটি পর্ব পড়ে আমি এই বিষয় গুলো উপলব্ধি করতে পেরেছি।জানি না কতটুকু সফল হবে।