আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায়।আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন।আজকে আমি আপনাদের মাঝে মাটির চুলায় হাঁসের মাংস ভুনা রেসিপি।হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ ভালো লাগে, বিশেষ করে চাউলের রুটির সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে ।আর এভাবে ভুনা করে রান্না করলে ভাতের সাথেও বেশ মজা লাগে। তো ঈদ করার জন্য আম্মুর বাসায় আছি। আম্মু আমাদের সকলের জন্য হাঁসের মাংস খাসির নিহারি আর চাউলের রুটি তৈরি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমি ভাবলাম আজকে আমি আমার মত করে মাংস রান্না করে সকলে কে খাওয়ায়। এতে করে আম্মুর সহযোগিতা ও হলো আমার রান্নাটা ও সকলে টেস্ট করা হলো। এটা আমি একটুও বিভিন্নভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি যাতে করে আপনারা শিখতে পারেন। প্রতিনিয়ত প্রতিটা ইউজারের কাছে আমরা শিখতেছি। প্রতিটা মানুষ একই জিনিসকে বিভিন্নভাবে তৈরি করে বলে ইউনিক ইউনিক রেসিপি শিখতে পারি। তো চলুন শুরু করা যাক প্রক্রিয়াগুলি দেখে নেওয়া যাক।
উপাদান | পরিমাণ |
হাঁসের মাংস | ২ কেজি |
পিয়াজ | ২ কাপ |
ঝাল | ১০ টা |
লবণ | পরিমাণ মতো |
ঝাল গুড়া | ৪ চামচ |
হলুদ গুড়া | ১/২ চামচ |
ঝিরা বাটা | ৩ চামচ |
গরম মসলা | ২ চামচ |
ধনিয়া গুড়া | ১ চামচ |
তেল | পরিমাণ মতো |
আদা বাটা | ২ চামচ |
রসুন বাটা | ৪ চামচ |
পিয়াজ বাটা | ৩ চামচ |
এলাচ | ৪ টা |
দারচিনি | ৪ টা |
লবঙ্গ | ৪ টা |
রাধুনি মসলা | ২ চামচ |
⤴️১ম ধাপ ⤵️
প্রথমত আমি একটি পাত্র নিলাম ও পাত্রটি মাটির চুলায় দিলাম।পাত্রটি ভালোভাবে গরম করার পর আমি পরিমাণ মতো সরিষার তেল ঢেলে দিলাম।সত্য কথা বলতে সরিষার তেল দিয়ে যে কোন কিছু রান্না করলে ভীষণ স্বাদ হয়।
↙️২য় ধাপ ⤵️
তারপর আমি এলাচ, লবঙ্গ, জয়ত্রী, দারচিনি তেজপাতা তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম। আমি পেঁয়াজ কুচি গুলো পাত্রের মধ্যে ঢেলে দিলাম। অনেক সুন্দর ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিলাম।
↙️৩য় ধাপ ↘️
তারপর আমি তেলের মধ্যে আদা বাটা,রসুন বাটা,পেঁয়াজ বাটা,কাঁচামরিচ, জিরা বাটা,গুঁড়ো মসলা,গুড়ো মরিচ, গুঁড়ো হলুদ, লবণ, রাধুনী মশলা সব ভালো করে কসাই নিলাম ।
↙️৪র্থ ধাপ ⤵️
তারপর আমি মসলাটি আরো ভালো ভাবে কসাই নিলাম। একটুখানি পানি দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট কষানোর পর মসলা থেকে যখন তেল ছাড়লো এর মধ্যে মাংসগুলো দিলাম। । |
↙️৫ম ধাপ ⤵️
এরপর ভালো ভাবে ১০ মিনিটের মতো আমি হাঁসের মাংস খুব ভালো করে কসাই নিলাম। যাতে করে মাংসটি খেতে সুস্বাদু হয়। যত বেশি কষানো হবে তত বেশি মাংস খেতে সুস্বাদু হবে। তাই আমি অনেকক্ষণই কসাই নিলাম।
↙️ষষ্ঠ ধাপ ⤵️
অতঃপর কষানোর পর আমি এর মধ্যে ঝুলের পানি দিলাম। যাতে করে মাংস খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়। পানি দেওয়ার পর অনেকক্ষণ জ্বাল করে নিলাম। এটা আমি যেহেতু ভুনা,ভুনা মতো বা মাখা, মাখা করব তাই আমি ঝোলের পানি শুকায় ফেললাম। |
↙️ফাইনাল ধাপ ⤵️
অতঃপর সম্পূর্ণ হয়ে গেল মাটির চুলা ও পাটায় বাটা মসলার হাঁসের মাংস ভুনা রেসিপি।আপনারা তো সবাই জানেন মাটির চুলা আর পাটায় বাটা মশলা হলে যে কোন রান্নায় খেতে কত সুস্বাদু হয়। আশা করি আপনাদের আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আপনারাও তৈরি করবেন সত্যি বলতে সবাই খেয়ে অনেক প্রশংসা করছিল। ভীষণ মজা হয়েছিল,সবাই মজা করে খেয়েছিল। আসলে এটাই আনন্দের যেটার জন্যই আমি কষ্ট করলাম। সবাই তৃপ্তি সহকারে মজা করে খাবে এবং আমি সেটা দেখব এটাই হচ্ছে আনন্দের। ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন আমার পোস্টি দেখার জন্য। আপনাদের মূল্যবান সময় আমাকে একটু দেওয়ার জন্য। সকলে সব সময় ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় করি। আমার জন্য একটু খানি দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।
Device :Oppo
💗💗💗
মাটির চুলায় হাঁসের মাংস ভুনা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি আমার খুবই ভালো লেগেছে। হাঁসের মাংস আমার প্রিয় যার কারণে রেসিপিটা বেশি ভালো লাগলো।
আপু হাঁসের মাংস খেতে এমনিতেই ভীষণ সুস্বাদু হয়ে থাকে ।আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই চমৎকার হয়েছে। আর চুলায় রান্না করা যে কোন খাবারই খেতে দারুন হয়ে থাকে। আর পাটায় বাটা মসলা হলে তো কোন কথাই নেই ।সব মিলে দারুন ছিল আপনার রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল।
একদিকে মাকে সাহায্য করেছেন অন্যদিকে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। হাঁসের মাংস খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে এই মাংসের রেসিপি তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার মন্তব্যটি আমার ভীষণ ভালো লাগলো আপু, আপনি বরাবরের মতোই বেশ ভালো কাজ করতেছেন ও সবাইকে মন্তব্য করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর।
বেশ ভালো রান্না করলেন তাহলে। আমরা গ্যাসে রান্না করি আর বিদ্যুতে রান্না করি রান্নার ক্ষেত্রে অনেক আধুনিকতা এসেছে এখন। কিন্তু সব চেয়ে সেই সনাতন পদ্ধতি আমার এখনো ভালো লাগে। বিশেষ করে মাটির চুলায় রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা। কারণ সেই তরকারি গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। কিন্তু গ্যাস কিংবা বিদ্যুতের মধ্যে রান্নাগুলো আমরা খাই যা আসলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকি। হাঁসের মাংস রান্না দেখে খুবই ভালো লাগলো।
মাটির চুলার রান্নার স্বাদ অনেক বেশি হয়ে থাকে।হাঁসের মাংস আমার ভীষণ প্রিয় মাংস। আপনি চমৎকার সুন্দর করে হাঁসের মাংস ভুনা করেছেন এবং তা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় হাঁসের মাংস রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হাঁসের মাংসের রেসিপি খুবই মজা লাগে বিশেষ করে আমি এই রেসিপিটা অনেক পছন্দ করি। আর আজকে আপনি আমার প্রিয় সেই হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন অনেক লোভনীয় ছিল আপু পর্যায়ক্রমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাটির চুলায় তৈরি খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। গ্ৰামে গেলে এখনও আমার শ্বাশুড়ির হাতে মাটির চুলায় রান্না করা খাবার খাওয়া হয়। মাটির চুলায় স্বাদ কখনো গ্যাসে পাওয়া যায় না। আপনার হাঁসের মাংস ভুনা দেখে বুঝতে পারছি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হাঁসের মাংস নেহারি এগুলো দিয়ে পরোটা কিংবা চালের রুটি খেতে খুবই ভালো লাগে । আর ঈদের পরে এসব খাবার গুলো সত্যি অনেক মজাদার হয় । আপনি ভালই করেছেন নিজের হাতে হাঁসের মাংস রান্না করে সবাইকে খাইয়ে দিয়েছেন । হাঁসের মাংস দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে ।
খাবারগুলি অনেক মজাদার হয় , চেষ্টা করি নিজের হাতে রান্না করার জন্য। আশা করি সব সময় এভাবেই পাশে থাকবেন।
হাঁসের মাংস খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করে। বিশেষ করে আমি তো অনেক বেশি পছন্দ করি হাঁসের মাংস খেতে। হাঁসের মাংস এমনিতেই রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। আর মাটির চুলায় রান্না করলে আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যায়। আপনি তো দেখছি মাটির চুলায় হাসের মাংসের ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। সেটা দেখে অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমার কিন্তু অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে আপনার তৈরি আজকের রেসিপিটা। গরমের সময় এমনিতে হাঁসের মাংস খাওয়া উচিত না। শীতের সময় অথবা বৃষ্টি হলে হাঁসের মাংস খেলে ভালোই লাগে।
ঠিক বলেছেন আপু চালের আটার রুটি দিয়ে হাঁসের মাংস খেতে খুবই ভালো লাগে। আর মাটির চুলায় যে কোন কিছু রান্না করলে তো তার স্বাদ মনে হয় অনেক বেড়ে যায়। ঈদের ছুটিতে বাবার বাড়িতে গিয়ে বেশ মজা করে খেয়েছেন দেখছি। খাসির নেহারি, হাঁসের মাংস শুনেই তো লোভ লেগে গেলো। খাসির মাংস দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে।