ঢাকা টু বগুড়া || ১০ লাজুক খ্যাকের জন্য ||

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার রহমতে বগুড়া এসে পোছে গেলাম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। সব কিছু শেষ করে আজ বাসার সবাই ঢাকা ত্যাগ করেছি। বাবা গিয়েছে তার শশুর বাড়ী, আমি এসেছি আমার শশুর বাড়ী। বগুড়া আসার পথে বেশ কিছু মজার ঘটনা ঘটে গেলো সেগুলো শেয়ার করবো আজ।

সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়েছি। আমরা যাবো এয়ারপোর্ট বাবা মা যাবে গুলিস্তান। তার মানে তারা এক দিকে আমরা ভিন্ন দিকে। মা বলতেছে আমরা রিক্সায় করে গিয়ে বাসে যাবো। আমিও নাছোড়বান্দা তাদের সি এন জি তেই উঠাবো। কারন আমি সি এন জি তে যাবো তারা কেন রিক্সায় যাবো বিষয়টা ভালো লাগে নাই আমার। যাই হোক এয়াপোর্ট এসেছি ৯.৩০ এ ট্রেন ১০.০০ বেজে যায় ট্রেন আসছে না। মেজাজটা কেমন খারাপ লাগছিলো। যাই হোক ট্রেনে উঠেই দেখি আমার সিটে বসে গেছে আরেকজন। মেজাজটা খারাপ লাগে না। এমনি বৈশাখী অসুস্থ। আমি সুন্দর মতন বললাম ভাইয়া এই সিট আমাদের প্লিজ উঠুন। উনি বলে আমি টিটিকে টাকা দিয়েছি আপনি টিটির কাছে যান। মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো। রাগ হয়ে বললাম উঠেন মিয়া মজা নিচ্ছেন আমি টিকিট কেটেছি না। পরে রাগ হয়ে পুলিশকে ডাকলাম পুলিশ এসে তাকে উঠিয়ে দিলো। এবার আমি আর বৈশাখী বসলাম। কিন্তু খারাপ লাগলো ওই লোকের সাথে তার বউ ছিলো সাথে একটা বাচ্চা। পরে আমি আমার সিটে তার বউকে বসতে দিলাম। বললাম বাচ্চা নিয়ে কিভাবে দাড়িয়ে যাবেন। আপনি আপু বসেন। আর ওই ভাইকে বললাম আপনি সিট এর ব্যবস্থা করে দিতে বলেন টিটিকে। এর পরে উনারা চলে গেল।

যমুনা সেতু বর্তমানে খুব রিস্কে রয়েছে। ট্রেনে যখন সেতুতে উঠে ভয় করে খুব। কারন প্লানিং ছাড়াই এই সেতু নির্মান কাজ শেষ করে পরে ট্রেন এর প্লানিং করা হয়। যদিও বর্তমানে এখন ট্রেন এর জন্য আলাদা সেতু নির্মান এর কাজ চলছে। তবে ট্রেনে বসে বাহির এর ভিউটা দেখতে খুব সুন্দর লাগে।

আমরা আলহামদুলিল্লাহ তিন জন একটা ছবি ক্যাপচার করে নিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আর বড় কথা এখানে রেখে দিলে আজীবন থাকবে এই ছবি। যাই হোক সব মিলিয়ে বেশ মজায় সময় কাটলো।

এর আগে আমি ট্রেনে অনেক বার উঠেছি। তবে কোন দিন ট্রেনের ক্যান্ট্রিন এর খাবার খাওয়া হয় নাই। আজকে একটু সখ করেই খেয়েছিলাম। সখ করাটাই আমার অন্যায় ছিলো।

চিকেন বিরিয়ানি মাশাল্লাহ ১০ এর ভিতর ১ ও দিবো না হাহহাহহা। ফেলে দিয়েছি এতোটা বাজে হয়েছে। মুরগি তো খেতেই পারলাম না। কি আর বলবো আল্লাহ। শেষে পেয়ারা কিনেছি ১০ টাকার সেটাও মনে হলো সিদ্ধ হয়ে আছে হহাহ। যাই হোক সব মিলিয়ে জার্নি ভালো ছিলো।