কম হোক ছেড়ে যেও না । । ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ক্যাপশনটাই একটু অন্যরকম আজকের। কম হোক ছেড়ে যেও না। আমরা মানুষ খুব সার্থপ। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন আবার আল্লাহ নিজেই বলেছেন মানুষ খুব সার্থপর বেইমান। আমরা শুধু পাওয়ার চিন্তায় থাকি কিন্তু দিতে জানি কয়জন? আবার কিছু কিছু জায়গাতে আপনি দিতে গেলেও বলবে যে আপনি তেল দিচ্ছেন। সব জায়গাতেই সমস্যা আর সমস্যা।

আমি বিশ্বাস করি, একজন মানুষ কেমন সেটা তার লেখা দেখেই বুঝা যায়। আমি কিছু লিখতে গেলেই আমার প্রচুর রাগ চলে আসে, আমার আশে পাশের মানুষ গুলা আমাকে নিয়ে এতো নাটক করেছে আর ধোকা দিয়েছে যে এখন কিছু বলতে গেলে সেই সব বিষয় মাথায় আগে চলে আসে। যাই হোক সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

সত্যি বলতে ছোট থেকেই আমার ইচ্ছে ছিলো আমি কারো গোলামি করতে পারবো না। নিজে কিছু একটা করবো। আর এটাও সত্যি যে কোন জায়গা থেকে যদি আমি প্রচুর টাকাও পাই তার পরেও আমি শুধু মাত্র সেই জায়গার উপর ডিপেন্ড থাকি না। উইমেন ই-কমার্স একটা প্লার্টফম, এখান থেকে আমি নিজেকে অনেকের মাঝে পরিচিতি করেছি অনেক টাকা উপার্জন করেছি কিন্তু তার পরেও আমি স্টিমিটে কেনো কাজ করতে এলাম। আসলে এই যে বললাম এক জায়গার উপর ডিপেন্ড থাকতে পছন্দ করি না। দাদার ভালোবাসায় আমি এখান থেকেও অনেক টাকা উপার্জন করেছি মাঝে বেশ কিছুদিন কাজ করিনি এখন আবার শুরু করেছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু একটা সত্যি কথা কি আমি কোথাও টাকার চিন্তা করি না আমি চিন্তা করি যেখানে কাজ করবো সেখানে যাতে বেস্ট কিছু করতে পারি।

এবার বলি হেডিংটা এমন দেয়ার কারন কি ছিলো। আসলে অনেক মানুষ আছে কোথাও গেলো কিছু নিলো পরে সেখান থেকে চলে গিয়ে বদনাম শুরু করে দিলো। আমি এই জায়গাটায় একটু ব্যাতিক্রম। প্রতিটা মানুষ কারো সাথে খারাপ ব্যাবহার করার পেছনে তিনটি কারন থাকে।

আমি যদি মনে করি কেউ ৩ নাম্বার কাজ টা করছে তাকে ছেড়ে দেই না। আমাকে অনেকে ছোট বলে কিন্তু বয়স একদম কম না আর দায়িত্ব একদম কম না। কিছু মানুষ বলতে পারেন ইচরে পাকা তাদের বলবো আমার জায়গাতে এসে ২ মাস চালিয়ে যান একদম আমি যেখান থেকে শুরু করেছি সেখান থেকে। প্রতিটা কথা কিন্তু আমি বাস্তব বলে যাচ্ছি। এখান থেকে কিছু যদি না নেয়া থাকে আমি সরি।

আমি বর্তমানে উইতে তেমন একটা পোস্ট করি না। কারন অনেক বেশি সময় সেখানে দিতে হয়। আর ফেসবুক প্রোফাইলে বিজনেস করা আর পেজে বিজনেস করা অনেক তফাত। এবার কথা হচ্ছে আমি উই তে কাজ করি না কিন্তু তাদের মিটিং তাদের প্রতিটা সেক্টরে টাকা দিয়ে রেজিস্টেশন কেনো করি? একটাই কারন আমাকে উদ্দোক্তা বানিয়েছে উইমেন ই-কমার্স গ্রুপ। আমি কোন দিন নিশা আপুর ঋন শোধ করতে পারবো না। আমার বিজনেস এর ধরন চেঞ্জ হলেও আমি সব সময় তাদের সব কাজের সাথে থাকি এবং থাকার চেষ্টা করবো। এবারর কথা হচ্ছে আমি আমার বাংলা ব্লগে কেনো ফিরে আসলাম। আমি সত্যি টাকা উপার্জন করার চিন্তা করে আসি নাই এখানে। আমি এসেছি আমার খারাপ সময়ে দাদার দেয়া সাপর্টে আমি চলেছি। দাদার দেয়া টাকায় আমি আমার মায়ের ঔষুধ কিনেছি কিস্তি টাকা দিয়েছি। যে জায়গা আমাকে এতো দিলো আমি একদম তাকে ভুলে যাবো এতোটাও খারাপ মানুষ আমি না। এবার কথা হচ্ছে এতো দিন তাহলে ছিলাম না কেনো? আমি এতো দিন চাইলেও আসতে পারি নাই অনেক ব্যাস্ত ছিলাম শারিরিক পরিশ্রম করে আসলে বাসায় ফিরে কিছুই ভালো লাগবে না এটাই সত্যি। আমার স্যার একটা কথা বলেছে যে নিজেকে ভালোবাসতে জানে না সে দুনিয়াকে, নিজের দেশ কে ভালোবাসতে জানে না।