রেসিপি পোষ্ট : কয়েক সেকেন্ডে ভাপা পিঠা তৈরি সম্পূর্ণ ।।

🥰..... আসসালামুয়ালাইকুম .....🥰

🥰.....এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.....💗🙏।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে প্রসার কুকারে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভাপা পিঠা তৈরি হওয়ার রেসিপি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশ ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

ভাপা পিঠা বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহ্যবাহী একটি পিঠা।শীতকাল মানে পিঠার সময়। শীতকাল এসেছে আর আমরা কোনো পিঠাই খাননি, তাহলে আমদের শীতের সময়টাই বৃথা। আর গ্রামাঞ্চলে তো শীত বলতে পিঠার উৎসবকেই বোঝায়। শীতকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠা হলো ম্যারা,ভাপা ও চিতয় পিঠা। গ্রামীণ অঞ্চলে ভাপা পিঠা দিয়েই যেন শীতকালকে বরণ করে নেওয়া হয়। তাছাড়া গ্রাম অঞ্চলে নতুন ধানের নতুন চাল দিয়ে পিঠা বানানো হয়ে থাকে বেশি ।যা প্রধানত শীত কালে নতুন ধান দিয়ে প্রস্তুত করা হয় ও খাওয়া হয়। এটি প্রধানত চালের গুঁড়া দিয়ে জলীয় বাষ্পের আঁচে তৈরী করা হয়। মিষ্টি করার জন্য দেয়া হয় সুস্বাদু খেজুরের গুড়। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য নারকেলের শাঁস দেয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে এটি একটি গ্রামীণ নাস্তা হলেও বিংশ শতকের শেষভাগে প্রধানত শহরে আসা গ্রামীণ মানুষদের খাদ্য হিসাবে এটি শহরে বহুল প্রচলিত হয়েছে। রাস্তাঘাটে এমনকী রেস্তোরাঁতে আজকাল ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। এই পিঠা অনেক অঞ্চলে ধুপি নামেও পরিচিত।

ভাপা পিঠা বানানোর নিয়ম আমার সকলেই জানি। আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে আসতেছি। আমার মা চাচি রা ভাতের পাতিলে বা মাটির হরিতে এই ভাপা পিঠা তৈরি করে।আর যেদিন তৈরি করে সেই দিন বংশের মধ্যে বাড়ির আশেপাশে যারা আছে সবাই কে ভাপা পিঠা তৈরি করে আর দিয়ে আছে ।ধরতে গেলে এটা একটি আমাদের নিয়মের মধ্যে পরে। নতুন ধানের চাল ভেঙ্গে আনে সেই চালের আটা তৈরি করে , পিঠা বানিয়ে সবাইকে দিয়ে খেতে হয়।এই রকম আয়োজন অনেক জায়গায় হয় । আপনার এলাকায় কারা কেমন করে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।চলুন এবার রেছিপি দেখে নেই ।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

• চালের আটা।
• খেজুরের গুড়।
• দুধ।
• পরিমাণ মত পানি।
• পরিমাণ মত লবণ।

ধাপ : ১

প্রথমে চালের আটা গুলোতে পরিমাণ মত লবণ,তারপর পরিমাণ দুধ ও পানি অল্প অল্প করে দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি ।

ধাপ : ২

এরপর আটা গুলো একটি বাঁশের চালনি তে আস্তে আস্তে চেলে ভাপা পিঠার ঝুরি বানিয়ে নিলাম।

ধাপ : ৩

অনেক ঝুরি একসাথে করলে একসঙ্গে লেগে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।তাই অল্প অল্প করে চেলে নিতে হয় আর পিঠা বানাতে হয় । এরপর আটার ঝুরি গুলোর অল্প করে একটি পত্র নিয়ে, একটি বোতলে তেল ঢুকানো কুফা গুলো আমরা সবাই চিনি হয়তো ।এই কুফাতে আটার ঝুরি গুলো দিয়ে। সেখানে গুড় গুলো দিয়ে তার উপরে আবার একটু ঝুরি গুলো দিয়ে নিলাম।

ধাপ : ৪

এরপর প্রেসার কুকার এ বসিয়ে দিলাম। মাত্র ৩০/৩৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ভাপা পিঠা বানানো হয়ে গেলো।

🍽️🤩পরিবেশন 👨‍🍳🍽️

খেজুরের গুড়ের মিষ্টি ভাপা পিঠা গুলো মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ সেকেন্ড সময়ে মধ্যে প্রেসার কুকারের মধ্যে তৈরি হচ্ছে পার্ফেক্ট ভবে দেখতেও অনেক সুন্দর লাগছে খেতে ও বেশ মজা হয়েছে ।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি।আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি।আমি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি। আমি কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর গ্রামে অবস্থিত ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।