ঘরোয়া ভাবে সোনালি মুরগি দিয়ে সুস্বাদু কাচ্চি রেসিপি।
আজকে আমি @santa14 আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম। একটু অসুস্থ হওয়াতে একদম একটিভ ছিলাম না। তবে এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। এর মধ্যে আম্মু আগে থেকেই অসুস্থ আবার আমিও অসুস্থ ছিলাম। বাসার সব রান্না বান্না ছোট ভাই করেছে। যাইহোক আজকে শরীল টা অনেক ভালো লাগছিলও।তাই ভাবলাম ছোট ভাই কে একটু মজার খাবার তৈরি করে খাওয়াবো।তাই ইফতারের জন্য কাচ্চি তৈরি করবো ভেবে নিলাম। যেই ভাবনা সেই কাজ শুরু করে দিলাম। ঘরোয়া ভাবে সোনালী মুরগির দিয়ে কাচ্চি রেসিপি।বাজার থেকে কাচ্চি তৈরির জন্য সব কিছু নিয়ে আসলো ছোট ভাই। খেতে সত্যি অসম্ভব মজাদার হয়েছে। আর এমন স্বাস্থ্যসম্মত কাচ্চি বাসায় তৈরি করে খেলে তো আর কোন কথাই নেই।চলুন তাহলে শুরু করি আজকের রেসিপি পোস্ট।
উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
---|---|
সোনালী মুরগি | ৮০০ গ্রাম। |
আলু | তিনটি। |
পেঁয়াজ | নয়টি। |
বাসমতি চাল | ৫০০ গ্রাম। |
রাঁধুনী কাচ্চি মসলা | একটি। |
আদা ও রসুন বাটা | তিন চামচ। |
জিরা গুঁড়ো | এক চামচ। |
গরম মসলা গুঁড়ো | এক চামচ। |
গোলমরিচ গুঁড়া | হাফ চামচ। |
হলুদ গুঁড়ো | এক চামচ। |
শুকনো মরিচ গুঁড়ো | এক চামচ। |
কমলা ফুড কালার | এক চামচ। |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো। |
লবণ | পরিমাণ মতো। |
ময়দা | অল্প পরিমাণে। |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো। |
প্রথমে আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে বড় বড় টুকরো করে কেটে নিয়ে নিবও।এরপর পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে কুচি করে কেটে নিয়ে নিবও।সাথে কাঁচা মরিচ গুলো ধুয়ে নিয়ে নিবও।
এখন সব গুলো মসলা নিয়ে নিবও। সাথে রাঁধুনীর গোটা মসলা গুলো নিয়ে নিবও।
এবার সোনালী মুরগির মাংস গুলো বড় বড় টুকরো করে কেটে নিবও। এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিবও।
এবার ধুয়ে রাখা সোনালী মুরগির মাংসে সব গুলো মসলা মাখিয়ে নিয়ে নিবও। সয়াবিন তেল দিয়ে দিবও। এরপর ৩০ মিনিটের জন্য রেস্টে রেখে দিবও।
এবার আমি আলুতে লবণ ও হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে নিয়ে নিবও। এরপর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে আলু গুলো লাল লাল করে ভেজে নিবও।
এবার বাসমতী চাল গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিবও। এরপর একটি চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে দিলাম। এরপর রাঁধুনী গোটা মসলা ও সয়াবিন তেল পানিতে দিয়ে দিবও।এরপর পানি গরম হলে ধুয়ে রাখা চাল গুলো দিয়ে ৯০% সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে নিবও।
এবার চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে দিলাম। এরপর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিবও। এরপর কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে দিবও। এরপর পেঁয়াজ গুলো কে বেরেস্তা বানিয়ে নিব।কিছু পেঁয়াজ বেরেস্তা তুলে রাখবো।এবার রেস্টের রাখা মাংস টা দিয়ে দিবও।
এবার ভালো করে মাংস নেড়ে দিবও। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে রান্না করে নিবও।যখন রান্না হয়ে মাংসে তেল ভেসে উঠবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিবও।
এবার অপর একটি হাঁড়িতে অল্প পরিমাণে মাংস ও আলু দিয়ে দিবও।এরপর উপরে বাসমতি চাল দিয়ে দিব। এরপর দুইটি কাঁচা মরিচ ও কিছু পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দিবও।
এখন ধাপে ধাপে সব গুলো উপকরণ দিয়ে দিবও। এরপর এক চামচ ফুডকালার দিয়ে দিবও। এরপর অল্প ময়দা মাখিয়ে চার পাশটা বন্ধ করে দিবও।
এখন দশ মিনিটের জন্য দমে রেখেছিলাম অল্প আঁচে। দশ মিনিট পর ঢাকনা তুলে নিয়ে নিবও।দশ মিনিট পর কাচ্চির আসল রূপ কি লোভনীয়।
এবার ইফতারের জন্য পরিবেশন করে নিলাম। খেতে অসম্ভব মজাদার হয়েছে। একদম রেস্টুরেন্টের মতো খেতে ছিলও।অসাধারণ একটি টেস্ট।আর এমন খাবার খাওয়ার জন্য কোক ছাড়া অসম্ভব।তাই সাথে কোক ছিলও।
আমার নাম শান্তা হাবিব। আব্বুর আদরের মেয়ে ছিলাম তাই আব্বুর নামের সাথে মিল রেখে আমার নাম।আমার স্টিমিট আইডি @santa14।আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে জয়েন করেছি।আমি বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় থাকি।আমি একজন ছাএী ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছি।আমি গান করতে অনেক বেশি ভালোবাসি।তার পাশাপাশি রান্না করতে আর নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি,আর্ট,ডাই করতে বেশি পছন্দ করি।ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালোবাসি যদিও তা বেশি হয়ে উঠে না।আমার বাংলা ব্লগ কে অনেক বেশি ভালবাসি কারণ এখানে নিজের মাতৃভাষায় লিখতে পারি।
কাচ্চির কথা শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। আপনি অনেক লোভণীয়ভাবে এটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি বরাবরই ফার্মের মুরগিগুলো খেতে পছন্দ করি না। সত্যি কথা বলতে ফার্মের মুরগিগুলো কেমন যেন একটা গন্ধ লাগে। তবে আপু আপনি আজকে ঘরোয়া ভাবে সোনালী মুরগি দিয়ে যে সুস্বাদু কাচ্চি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রান্না দেখে আমারই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুব সুন্দর করে রান্না করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে আপু সোনালী মুরগির দিয়ে কখনো কাচ্চি খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। একদিন অবশ্যই তৈরি করব। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার বাসার সবাই অসুস্থ হওয়ায় ছোট ভাই রান্না করেছে বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটা। তবে আপনি এখন সুস্থ হয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।ছোট ভাইয়ের জন্য দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ।বাসায় কখনো এভাবে কাচ্চি তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপিটি এতটাই লোভনীয় লেগেছে যে আমার কিন্তু জিভে জল চলে এসেছে। দারুন বানিয়েছেন আপনি । দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এরকম মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি সাজানোর ধাপ গুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। রান্নাটা অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন পোস্টের মাঝে। আশা করি আপনার এই সোনালি মুরগির মাংসের রেসিপি সুস্বাদু ছিল।
আপনার আজকের এই কাচ্চি বিরিয়ানির পোস্টটি দেখে আমার বাংলাদেশের সেই কাচ্চি বিরানির কথা মনে পড়ে গেল। আসলে কাচ্চি বিরিয়ানির স্বাদ আমি এখনো ভুলতে পারিনি। যে কয়বার আমি বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে যাবো সেই কয়বার আমি কাচ্চি বিরিয়ানি খাবো। আর আপনার এই পোস্টটি পড়তে পড়তে আমার বারবার জিভে জল চলে আসছিল। আসলে বিরিয়ানিটি দেখতে যতটা সুন্দর হয়েছে খেতে হয়তোবা এর থেকে বেশি সুন্দর হবে। এছাড়াও বিরিয়ানির তৈরীর প্রতিটা ধাপ অনেক সুস্পষ্ট ভাবে আমাদের মাঝে আপনি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সত্যি কথা বলতে, কাচ্চির কথা শুনলে খাওয়ার লোভ সামলানো যায় না। কাচ্চি আমার খুব পছন্দের। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। ঘরোয়া ভাবে সোনালি মুরগি দিয়ে সুস্বাদু কাচ্চি রেসিপি তৈরি করছেন খুব অসাধারণ হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঘরে বসেই ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বেশ কয়েকদিন যাবৎ কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়া হয় না। আজকে আপনার তৈরি কাচ্চি বিরিয়ানি রেসিপি দেখে কাচ্চি খাওয়ার ইচ্ছা জাগলো। সময় করে গিয়ে খেয়ে নিবো। আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে এতো সুন্দর একটি বিরিয়ানি রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
সোনালি মুরগি দিয়ে খুব চমৎকার কাচ্চি রান্না করেছেন আপু। একটু দেখতে যেমন লোভনীয় খেতেও নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে কাচ্চি খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। তবে এভাবে কখনো সোনালি মুরগি দিয়ে কাচ্চি রান্না করে খাওয়া হয়নি অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।