আমার সিলেট ভ্রমণ কাহিনী :
সবাই কে আসসালামুয়ালাইকুম । আশা করি আল্লাহর রহমতে এই করোনা মহামারী থেকে সবাই সুস্থ আছেন । আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ২০২১ সাল এর সিলেট ভ্রমণ এর কাহিনী শেয়ার করবো । তাহলে চলুন শুরু করা যাক:-
আমার বাসা সিরাজগঞ্জের সদর এ,আমি একজন ছাত্র আমি এইবার ২০২১ এ ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছি সিরাজগঞ্জের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ থেকে । পরীক্ষা শেষ হবার পর এ আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ঠিক করি যে আমরা কোথাও ঘুরতে যাবো । তারপর আমরা সবাই কিছুক্ষণ আলোচনা করে ঠিক করি যে আমরা সিলেট ভ্রমণ এ যাবো । তো যে কথা সেই কাজ ঠিক করার ২-১ দিন এর ভিতর এই আমরা সিলেট এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি । আমরা বাস এ সিলেট যাবার সিদ্ধান্ত নেই । তার পর আমরা সিলেট এর টিকেট কেটে সিলেটগামীএকটি বাস এ উঠে পরি । আমাদের বাস ছাড়ে সন্ধ্যা ৭ টায় । আমরা ৬ জন বন্ধু ছিলাম এই ভ্রমণ এ । এর পর বাস চলতে শুরু করে । সেদিন আবহাওয়া বেশ ভালই ছিল । এর পর বাস চলতে চলতে কুমিল্লা তে একটা রেস্টুরেন্ট এ থেমে একটা যাত্রা বিরতি দেয় । সেখানে আমরা ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু খেয়ে নেই আর রাত এ খাবার জন্য কিছু খাবার কিনে নেই । এরপর বাস আবার চলতে শুরু করে।বাস চলতে চলতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি তা নিজের ও মনে নেই । এর পর ঘুম ভাঙে সিলেট শহর এ তখন প্রায় সকাল ৬:৫০ বাজে বাস থেকে নেমে দেখলাম ভোর এর সিলেট শহর খুব সুন্দর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর । তারপর আমরা লোকজন এর থেকে শুনতে পারি সিলেট এর যে ঐতিহ্যবাহী ''হযরত শাহজালাল (র:)'' মাজার আমাদের অবস্থানরত স্থান থেকে খুব কাছেই এবং ৫-৬ মিনিট হাঁটলেই নাকি আমরা মাজার পেয়ে যাবো ।
তার পর আমরা সবাই হাঁটা শুরু করি এবং কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমরা সেই সিলেট এর ঐতিহ্যবাহী মাজার এ পৌঁছে যাই । সেটি আসলেই অনেক সুন্দর ছিল । আমরা মাজার এর ভিতর এ যাই মাজার টি আকার এও ছিল অনেক বড় । মাজার এর ভিতরে অনেক মানুষ এর ভিড় ছিল । এরপর আমরা মাজার এর ভিতর কিছু ছবি তুলি এবং অনেক নতুন নতুন ঐতিহ্যবাহী জিনিস দেখতে পারি এবং অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারি।
এর পর মাজার পুরো পুরি দেখা শেষ করে আমরা সকাল এর নাস্তা করে নেই একটি হোটেল থেকে । তারপর আমরা রওনা দেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জাফলং এর উদ্দেশ্যে আমরা সেখান থেকে জাফলং এর একটি বাস এ উঠে পরি তারপর দুই আড়াই ঘণ্টা পর আমরা জাফলং পৌঁছে যাই । আহ সে কি সৌন্দর্য জাফলং এর যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না । আমরা বাস থেকে নেমে জাফলং এর সৌন্দর্য উপভোগ করা শুরু করি । এর পর আমরা জাফলং এর নদী তে নামী গোসল করার জন্য । পানি তে নামার পর দেখলাম পানি অসম্ভব রকম এর ঠান্ডা যাক যেকোনো রকম এই হোক আমরা ওই ঠান্ডা পানি তেই গোসল করে নেই ।
তার পর আমরা গোসল করে ওঠার পর আমরা সেখান থেকে একজন ক্যামেরাম্যান নিয়ে কিছু ছবি তোলার জন্য ভাড়া করি । তারপর আমরা সবাই বেশ কিছু ছবি তুলে নেই । তো ছবি তোলা শেষ এ আমাদের সবার ই তখন প্রচুর খুদা লেগেছিল তখন আমরা একটা হোটেল এ গিয়ে দুপুর এর খাবার খেয়ে নেই । খাওয়া শেষ এ আমরা জাফলং এর বাজার থেকে কিছু জিনিস কেনাকাটা করতে যাই । যেমন : চকলেট,সাবান, কাঠ বাদাম ইত্যাদি আরো নানান রকমের জিনিস । এবার কেনাকাটা শেষ এ আমরা আর কিছুক্ষণ জাফলং এ ঘোরা ফেরা করি তার কিছুক্ষণ পর সূর্য অস্ত যেতে শুরু করে আমরা জাফলং থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ করি । সে দৃশ্য টি ছিল অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর । এরপর জাফলং ভ্রমণ শেষ এ আমরা আবার সিলেট মূল শহর এ ফেরত আসলাম রাত্রিযাপন করার জন্য এবং আমরা ২ টা রুম ১ রাত এর জন্য ভাড়া নিলাম ।
পরদিন সকাল সকাল নাস্তা করে আমরা সবাই বেরিয়ে পড়লাম শ্রীমঙ্গল এর উদেশ্যে সকাল ১০ টার দিক আমরা শ্রীমঙ্গল গিয়ে পৌছালাম । শ্রীমঙ্গল এ প্রচুর চা বাগান আর চা বাগান । শ্রীমঙ্গল এ পাহাড় ও দেখলাম অনেক পাহাড় এর ওই চূড়ায় উঠলে নিজেকে অনেক তুচ্ছ মনে হয় প্রকৃতির কাছে । এরপর শ্রীমঙ্গল ঘুরে দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে যায় এবং আমরা হোটেল থেকে দুপুর এর খাবার খেয়ে নেই । এরপর বিকেল এ একটু সিলেট শহর এর ভিতর কিছু জায়গায় ঘোরা ফেরা করে আল্লাহর নাম করে আমরা সন্ধায় সিরাজগঞ্জ এর বাস এ উঠে পরি ।
তো এই ছিল আমার সিলেট ভ্রমণ কাহিনী । আশা করি সবাই উপভোগ করেছেন।লেখায় কোনো ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাশীল দৃষ্টি তে দেখবেন এবং আমাকে সবাই স্টিমিট এ সাপোর্ট করবেন । সবাইকে ধন্যবাদ ।
আসসালামুয়ালাইকুম ।
nice your post
Have a enjoy
Suppar
Good job
Wow
You have a good writer