দোষ নির্ধারণ করে কপাল

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে ভাবলাম এমন একটা লেখা আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করি। যে লেখাটি হয়তো আমার নিজের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে কিংবা সকলের সাথেই আসলে এই লেখাটির সম্পর্ক রয়েছে বলেই আমি মনে করি। কারণ আমি সবসময় মানুষের সাধারণ চরিত্রগুলো কিংবা সাধারণ বিষয়গুলো অর্থাৎ জীবন সম্পর্কিত সাধারণ বিষয় গুলো নিয়ে লেখালেখি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।

তো আজকে আসলে তেমন একটা ব্যাপার নিয়েই কথা বলতে এসেছি। যেমন, আমরা সব সময় কোনো কিছু হলেই কপালের দোষ দেই। অর্থাৎ ব্যাপারটা যদি এমন হয় যে, আমার ব্যর্থতার কারণে আমি সে কাজটিতে সফলতা পাইনি। তারপরেও আসলে আমরা কপালের এই দোষ দেই।

কিন্তু আমরা এটা একবারও ভেবে দেখি না যে, আমাদের কপালটা কিন্তু বেশিরভাগ সময় নির্ধারণ করে আমাদের দোষ, গুণ। অর্থাৎ আমি যদি খারাপ কাজ করি। তাহলে আমার কপাল খারাপ হবে। এটা হয়তো একদিন আগে হবে। আর না হলে কয়েক বছর পরে হবে। কিন্তু আমি যে খারাপ কাজটা করবো।সেটা আমার লিস্টে কিন্তু থেকেই যাবে এবং প্রকৃতি কোনো কিছুই আসলে বাকি রাখতে পছন্দ করে না।

তাই কোনো কিছুর জন্য সব সময় কপালের দোষ দেওয়ার আগে আমাদের নিজেদের দোষ গুলো খুজে বের করা উচিত। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের নিজেদের দোষই বেশি থাকে। অর্থাৎ যেসব কারণে আমাদের কপাল বেশি খারাপ হয়। তাহলে আমাদের নিজেদের নির্বুদ্ধিতা, নিজেদের দোষ এবং নিজেদের দোষ স্বীকার না করার কারণে। এখানে কপালের কোনো হাত নেই।

কিন্তু মুশকিল এর বিষয় হলো এটা আমরা কেউ মানতে চাই না। অর্থাৎ নিজেরা সব রকম দোষ করার পরেও শুধুমাত্র কপালের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের শরীর থেকে সেই দোষের বোঝাটা ঝেড়ে ফেলে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করা শুরু করি। কিন্তু যে নিজের দোষ স্বীকার করে না। সে কখনো নিজের দোষটা শুধরাতেও পারে না। এটা যেনো বুঝতেই পারেনা মানুষ।

আমাদের এটা বুঝতে হবে যে, জনতা অনেক বড় একটা শক্তি। আমরা যদি কোনো অন্যায়ের সাথে আপোষ না করি। তাহলে কোনো অন্যায়ের সাধ্য নেই কিংবা কোনো অন্যায়কারীর সাধ্য নেই যে, আমাদের সাথে আমাদের মাঝে বসে কোনো অন্যায় করবে। কিংবা আমাদের দেশের মধ্যে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করবে। কারণ জনতা এতো বড় একটা শক্তি, যে শক্তিকে পরিচালিত করতে পারে কিছু মানুষ খুব সহজেই। কারণ ওই যে বললাম, মানুষকে যেহেতু খুব সহজেই মেনিপুলেট করা যায়। তাই আসলে জনশক্তিটাকে মানুষ অনেক বেশিরভাগ সময়েই খারাপ ভাবে কাজে লাগিয়ে ফেলে।

তাই সকলের উদ্দেশ্যে আমার একটাই রিকোয়েস্ট। আমার একটাই সাজেশন থাকবে যে, আমাদেরকে যেনো কোনো অপশক্তি কাজে লাগাতে না পারে। সেদিকে খেয়াল রাখার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আমাদের।