হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নার্সারি ভ্রমণ ও ফুল গাছ কেনার অনুভূতি নিয়ে। আশা করি আমার এই নার্সারি ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যেকোনো জায়গা আমার জন্য পারফেক্ট। তবে সেটা দেশের বিভিন্ন স্থান অথবা কোন পার্ক অথবা কোন নার্সারি দেখাদেখি নাই। নতুন অচেনা কোন সুন্দর জায়গা হলেই যথেষ্ট। হ্যাঁ বন্ধুরা ফুলের গাছ কেনার উদ্দেশ্যে নার্সারিতে গেছিলাম। এটা আমাদের গাংনী মেহেরপুরের ধানখোলা নামক স্থানে। সেখানে আমি নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। পাশাপাশি দুই তিনটা নার্সারি ছিল। আর এই নার্সারিতে ছিল ফলের গাছ ফুলের গাছসহ চেনা পরিচিত অপরিচিত বিভিন্ন রকমের গাছ। যাহ দেখে আমি সত্যি অবাক হয়েছিলাম। একদিন আমি আর মোস্তাফিজের প্রচন্ড রোদ গরমের মুহূর্তে বেশ কিছু ফুলের গাছ নেওয়ার উদ্দেশ্যে নার্সারির দিকে গেছিলাম। প্রথম একটি নার্সারিতে যায় সেখানে নার্সারী তালা মারা ছিল। বিষয়টা আমাদেরই ভুল ছিল। ঠিক দুপুর টাইমে হয়তো নার্সারির মানুষজন বাসায় চলে গেছিল। আর আমরা দুজন উপস্থিত হয়েছিলাম টিফিনের পর। এদিকে দায়িত্ব ছিল ক্লাস নেওয়া, কি আর করার। সেই নার্সারি থেকে ঘুরে আরেকটি নার্সারিতে এলাম প্রায় তিন চার কিলো পথ অতিক্রম করে।
সেখানে এসে উপস্থিত হয়ে দেখলাম নার্সারি টা খোলা রয়েছে। আর এ নার্সারি টা এত বড় ছিল, আমি কখনো এভাবে নার্সারির মধ্যে প্রবেশ করি নাই দেখিয়ে নাই। এজন্য আমি একটু বেশি অবাক হয়েছিলাম। এরপর আমি খুব মনোযোগ সহকারে বিভিন্ন প্রকার গাছ দেখতে থাকলাম। এমন মুহূর্তে মোস্তাফিজুর আমাকে বলছিল ভাই আপনি ফুলের গাছ বাছাই করেন। আমি ফুলের গাছগুলাই সেভাবে চিনি না কি বাছাই করব। তাই তাকে বললাম তোমার যে সমস্ত ফুলের গাছ দরকার তুমি দেখতে থাকো আর আমি আমার মত ফটো তুলতে থাকি। এরপর আর কোন কথা নেই, মন প্রাণ ভরে দেখতেই থাকলাম। তবে এই সমস্ত গাছগুলোর সঠিক নাম আমার তেমন জানা ছিল না। পাতাবাহার জাতীয় গাছের সংখ্যা বেশ অনেক ছিল। তবে আমি একটা বিষয় বেশি লক্ষ্য করলাম নির্দিষ্ট জায়গা ভাগ করে এখানে গাছ লাগানো হয়েছে। একটি অবাক করা বিষয়ে এখানে আমি জানতে পেরেছিলাম পাতাবাহার জাতীয় গাছগুলো তারা নিজেরাই ডাল কেটে কেটে তৈরি করে। আর গাছ হয়ে গেলে তার মূল্য ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দেড়শ টাকা পর্যন্ত। এমন কিছু কিছু গাছ সম্পর্কে পরিচয় লাভ করলাম যা পূর্বে কোনদিন দেখিনি।
আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল এখানে ফুলের মালিক একজন ছিলেন উনি খুবই ভালো মানুষ। সে খুব ভালো ব্যবহার করছিল এবং আমাদের দুজনাকে ঘুরে ঘুরে গাছ দেখিয়েছিলেন। কিছু কিছু জায়গায় অপরিচিত গাছ দেখলেও আঙ্গুর ফল গাছ দেখে চিনতে কিন্তু আমার ভুল হয়নি। কারণ ইন্টারে পড়াকালে আমি আমার বাড়িতে একটা আঙ্গুর ফলের গাছ লাগিয়েছিলাম। এই গাছটা অনেক বড় হয়েছিল এবং আঙ্গুর ফল ধরেছিল বেশ কয়েকবার। অতিরিক্ত ঝাঁকড়া হওয়ায় সাপের ভয়ে গাছটা কেটে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন বেশ আফসোস করতে হয় আঙ্গুর ফলের গাছটার জন্য। যাইহোক নার্সারিতে আঙ্গুল ফলের চারা দাম জিজ্ঞেস করেছিলাম। গাছ বুঝে দাম বলেছিল। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত আঙ্গুর ফলের চারার দাম। তবে জাত ভেদ রয়েছে।
যায় হোক আমি অনেক তথ্য গ্রহন করলাম। নার্সারিটা প্রায় 15-20 বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে। সারা বছর এখানে বিভিন্ন প্রকার ফুল ফলের গাছ জন্মানো হয়। আর প্রতিনিয়ত তারা পরিচর্যা করতে থাকে। এদিকে আমাদের মত অনেক কাস্টমার আসা-যাওয়া করতে থাকে গাছ কেনার উদ্দেশ্যে। তবে সিজন বুঝে ফুলের চাহিদা বাড়ে। বিশেষ করে শীতের সময় মানুষের আনাগোনা একটু বেশি থাকে ফুল গাছ নেয়ার জন্য। আর প্রাকৃতিক পরিবেশ বেশ উপযোগী হওয়ায় নার্সারিটা দীর্ঘদিন ভালোভাবেই টিকে রয়েছে। এরপর মোস্তাফিজুর অনেকগুলো ফুলের চারা বাছাই করে তাদেরকে দিতে বললেন। অবশেষে ১৫ থেকে ২০ টা গাছ আমারা কিনেছিলাম। এরপর টাকা পরিশোধ করে মোটরসাইকেল যোগে আমরা গাছগুলো স্কুলে এনেছিলাম। আর এভাবেই নার্সারি ভ্রমণ ও ফুলের গাছ কেনা হয়েছিল আমাদের।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.