হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ধানক্ষেতের ফটোগ্রাফি নিয়ে। প্রচন্ড গরমের দিনে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে যখন অবস্থান করেছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে ইচ্ছে হয়েছিল কিছুটা ধানক্ষেতের ফটো ধারণ করি যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারব। বেশ কিছুদিন ধরে ফসলের মাঠ নিয়ে অনেক কথা শুনতে পারছি প্রচণ্ড এই গরমের জন্য। আর সেই সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরবো ফটোগ্রাফির পাশাপাশি।
সবুজ ফসলের মাঠ থেকে ফটো ধারণ করতে তার না ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে যদি হয় কৃষকের ধান ক্ষেত। তাহলে তো আরো মনোমুগ্ধকর বিষয়। আমি প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে যেমন ফটো ধারণ করতে ভালোবাসি তেমনি ভালোবাসি ফসলের মাঠ থেকে ফটো ধারণ করতে। আমাদের পুকুরের নিকটে রয়েছে কিছুটা ধানের ক্ষেত। তবে বেশি পরিসর জুড়ে ধানের ক্ষেত আমাদের এদিকে দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে ধানের ক্ষেতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে গ্রামের শেষ প্রান্তে যেতে হয়। আমাদের এদিকে খুব কম সংখ্যক রয়েছে ধানের জমি। তবে যেটুকুই রয়েছে সেটুকুই দেখতে খুবই ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে ধানক্ষেতের ফটো ধারণ করি। ভালো লাগে। তবে কিছুদিন আগে হঠাৎ লক্ষ্য করে দেখলাম কবে যেন ধানের শীষ বের হয়ে পাকার সময় হয়ে আসছে। তবে এই প্রচন্ড রোদ গরমের সময় পাড়াগাঁয়ের বেশ কৃষক ভাইয়েরা চিন্তিত। গত কয়েকদিন আগে আমি যখন পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। রাস্তায় দেখে বেশ কিছু মানুষ ধান নিয়ে টেনশন করছে এবং ধান বিষয়ে অনেক কথা বলাবলি করছে। তখনই আমার মনে হল কিছুটা ধানের সুন্দর চিত্র ক্যামেরাবন্দি করব এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আপনারা জানেন সারাদেশ ব্যাপী প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। আর এই মুহূর্তে কৃষকের ফসলের মাঠে যে সেচ দেয়া হবে অনেক নলকূপে পানি উঠছে না। আবার অনেক কৃষক চিন্তিত ধান নাকি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধানে ফলন কম হবে চিটি হয়ে যাবে বেশি। এমন সব কথা শোনার পর খুবই খারাপ লাগলো আমার। কষ্ট করে কৃষক ভাইয়েরা তাদের সোনার ফসল ফলান। তবে প্রাকৃতিক পরিবেশের এমন দুর্যোগ যদি ক্ষতি করে যায় তাহলে সত্যি কতটাই না কষ্ট লাগে মনে। জানিনা কবে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করবে। তবুও পড়ন্ত বিকেলে এমন ফসলের মাঠ থেকে ফটো ধারণ করতে এবং এই নিয়ে ভাবতে আমার ভাল লাগল।
তবে আমি যতটা জানি আমাদের এখানে সেচ ব্যবস্থার কোন সমস্যা নেই। ইনশাল্লাহ এখনো খুব ভালোভাবেই প্রত্যেকটা পাইপে পানি উঠছে। তবে আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বাড়ির পাইপ অথবা মাঠের পাইপ কোনটাই তেমন পানি পাচ্ছে না। এজন্য কৃষকদের বেশ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আজকে আমাদের এক আঙ্কেল জুম্মার নামাজ শেষে আমাদের জানালেন। তাদের পাইপে পানি পাচ্ছে না তাই অনেক দূর গভীর করে খুলেছে। এরপর পাইপ কেটে ফেলে দিয়ে নিচে মেশিন স্থাপন করেছে। এরপর আর তথ্য জানা হয়নি পানি উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছে কিনা। তাহলে বুঝতে পারছেন কতটা কষ্টের মধ্যে রয়েছে আমাদের কৃষকেরা। আর এমন ঘটনা আশেপাশের গ্রামগুলোতে বেশ কয়েকদিন ধরে শুনতে পাচ্ছিলাম। এখন যে আমাদের গ্রামে ও প্রচন্ড এই তাপদাহর ফলে সমস্যা সৃষ্টি হয়ে গেছে শুনে অবাক হলাম আমি।
কিছুদিন আগে ফসলের মাঠ থেকে কয়েকটা ছবি ও সেলফি উঠিয়েছিলাম। পাড়াগাঁয়ের কৃষক ভাইয়েরা বলাবলি করছিল এবার ধানে খুবই ফলন হবে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই যখন কৃষকের মুখে এমন আতঙ্কের কথা, সত্যি অবাক করে তুলেছে। জানিনা অবশেষে কৃষকরা কতটা ফসল ঘরে তুলতে পারবে। তবে সারাদেশে প্রচুর ধান গাছ হয়েছিল। তবে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের ফলে হয়তো ফলন কেমন বেশি একটা হবে না।
এইতো কিছুদিন আগে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথে কত সুন্দর ফসলের মাঠ দেখেছিলাম। তবে এখন শুনতে পারা যাচ্ছে এই সমস্ত ধান ক্ষেতগুলো নাকি দিন দিন নষ্ট দিকে চলে যাচ্ছে। আগে সাপ্লাইয়ের পানি ছিল রাস্তার পাশের ক্যানাল থেকে। এখন নাকি সেই পানির ব্যবস্থা নেই। আলমডাঙ্গা শহরে লাল ব্রিজের নিচের পানি শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই। আর ঠিক এভাবেই যেন সারাদেশে কৃষিক খেতে বেশ খারাপ প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে দিন দিন। না জানি কবে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবেন। আগামীকাল আমাদের গ্রামে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ আদায় করা হবে। যেন মহান সৃষ্টিকর্তা এমন দুর্যোগ থেকে আমাদের হেফাজত করেন।
বিষয় | ফসলের মাঠ |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেহেতু শহরে থাকি তাই গ্রামের এমন সুন্দর দৃশ্য গুলো সব সময় মুগ্ধ করে। আপনি ভাইয়া আজ একেবারে মনের মত কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। গ্রামের ধানের ক্ষেতের এমন দৃশ্য দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধান খেতে কিছুটা সময় থাকলেই যেন প্রাণ খুঁজে পাওয়া যায়।
ধান ক্ষেতের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই অসাধারণ লাগছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বেশ কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।ফটোগ্রাফির পাশাপাশি এ বিষয় সম্পর্কে আপনি সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার এই পোস্ট কপড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সু স্বাগতম ভাই।
ভাইয়া শহরে থেকে গ্ৰামের এই সৌন্দর্য উপভোগ করা খুব বেশি হয়না। তবে যখন গ্ৰামে বেড়াতে যাই তখন গ্ৰামের এই সবুজ প্রকৃতি দেখে যেনো মুগ্ধ হয়ে যাই। যাই হোক আপনি আজ খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাদের দিকে দেখছি ধান পেকে গিয়েছে কিন্তু আমাদের দিকে কিছুদিন আগে দেখে আসলাম মাত্র ধানের শীষ বের হয়েছে। এই ধান পাকতে আরও বেশ কিছুদিন দেরি হবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রাম হচ্ছে সৌন্দর্যের অন্যতম স্থান। এখানে সব রকম সৌন্দর্য রয়েছে।