হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ বিকেলে আমি আর আমার বন্ধু দুজন মিলে বালি সিমেন্ট কেনার উদ্দেশ্যে একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম। ঠিক সেই উদ্দেশ্যে আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো নতুন এই পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি এই থেকে বেশ কিছু জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করি।
প্রথমে আমি আর আমার বন্ধু মোটরসাইকেল যোগে চলে গেলাম পার্শ্ববর্তী মড়কা বাজারে। সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠান। যেখানে বালি সিমেন্ট রডসহ আরো অনেক কিছু বিক্রয় হয়। এদিকে আমার বন্ধু মারুফ ঘর নির্মাণ করছে। তাই তার এই সমস্ত জিনিস গুলো একান্ত প্রয়োজন। এইজন্য সে আমাকে বলে রেখেছিল দুইজন একসাথে বিকেল বেলায় সেখানে যাব। ঠিক সে মোতাবেক আমরা দুইজন উপস্থিত হলাম ওয়াদুদ ভাইয়ের রড সিমেন্টের দোকানে।
আমরা তার প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কোন মানুষের দেখা পেলাম না। হঠাৎ করে দেখলাম ভিতর থেকে একজন মহিলা বের হয়ে চলে আসছেন আমাদের দুজনাকে দেখে। প্রশ্ন করলাম তুফান ভাইয়া কোথায়। তুফান হচ্ছে ওয়াদুদের বড় ভাই। দুইজনের সাথে আমার ভাল পরিচয় রয়েছে অনেক আগে থেকে। তারা আমাদের নিকটস্থ আত্মীয়। আর এদিকে আমি যখন মড়কা বাজার স্কুলে শিক্ষকতা করেছি তাদের মেয়ে আমার ছাত্রী। এজন্য তাদের সাথে আমার সম্পর্ক একটু বেশি। যাইহোক যে মহিলা দূর থেকে আসলেন তাকে প্রশ্ন করলাম তুফান ভাইয়ের কথা। উনি সর্বদা মুখে মার্কস রাখেন। এরপর তাকে অনুমান করতে পারলাম আমার ছাত্রী ওয়াসিফার আম্মু। উনি আমাকে দেখে হেসে সুন্দর করে বললেন স্যার ভালো আছেন। এরপর বিস্তারিত কথা হল উনার সাথে।
এরপর উনি উনার হাজবেন্ড এবং হাজবেন্ডের বড় ভাইয়ের কাছে ফোন দিলেন আমাদের বিষয়ে। তারা নিকটে একটি জায়গায় ছিলেন। আমরা কিছুক্ষণের জন্য বসে অপেক্ষা করলাম। তাদের প্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম ভেতরে। বিভিন্ন সাইজের পাইপ এলবো থেকে শুরু করে একটা ঘরে যাবতীয় যে সমস্ত জিনিসগুলো ব্যবহার করা হয় সব কিছু রয়েছে এখানে। সহজ ভাবে বলতে গেলে হার্ডওয়ার্কের দোকানে যা পাওয়া যায় সে সমস্ত জিনিসগুলো রয়েছে এখানে। এরপর ওয়াসিফার আম্মু আমার সাথে বেশ কিছু কথা বললেন স্কুল বিষয় নিয়ে এবং বর্তমানে কি করছি না করছি এই সমস্ত বিষয় নিয়ে।
ওয়াসিফার আম্মুর মুখের একটা কথা আমাকে খুবই খুশি করিয়াছিল তা হচ্ছে উনি বললেন স্যার আপনার মত নম্র ভদ্রতা এখানে কোন শিক্ষকের মাঝে নেই। আপনিও চলে গেছেন এবিদ্যালয়ের শিক্ষকের নম্র ভদ্রতা হারিয়ে গেছে। যতটুকু রয়েছে তা আপনার থেকে কম। তবে যাই হোক তার মুখের একটু প্রশংসা আমাকে মুগ্ধ করলো। কারন আমিও পরিবেশ অনুসারে সেভাবে কথা বলা এবং ব্যবহার পছন্দ করি। যেখানে মূর্খ পরিবেশ আমিও তার সাথে খাপ খাওয়ার চেষ্টা করি, যেখানে ভদ্র পরিবেশ আমিও সেখানে সেভাবেই খাপ খাওয়ার চেষ্টা করি, এটাই আমার বিশেষ গুণ।
এরপর উনি ওনার কাজে চলে গেলেন আমি আর আমার বন্ধু মারুফ দুজন বসে গল্প শুরু করলাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তার কিছুক্ষণ পর ওয়াদুদ ভাই এবং তুফান ভাই এসে পড়লেন। এরপর মারুফ তার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তাদের সাথে আলোচনা করলেন। আর এদিকে আমিও তাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অনেক কিছু জানার চেষ্টা করলাম। একটা বিষয় শুনে খুবই অবাক হলাম বর্তমান তাদের 17 লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে মানুষের মাঝে অর্থাৎ বাকিতে মাল দিয়েছেন ওনারা। তবে উনারা আইডিয়া করছেন হয়তো এত টাকা উঠবে না খুব জোর ৪ লক্ষ টাকা উঠতে পারে। এদিকে ওয়াদুদ ভাই বললেন একটা কোম্পানিতে নাকি ৯ লক্ষ টাকা লোন করা রয়েছে, এই থেকে পরিশোধ হবে। আসলে বাকির কাজ খুবই কঠিন, আর এতে মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়।
যাওয়ার পূর্বে জুম্মার নামাজ পড়তে যাওয়ার মুহূর্তে মারুফ আমার সাথে কিছু কেনাকাটার বিষয় বলেছিল। পাশাপাশি বলেছিল সে ষাট হাজার টাকার কাজ করবে ঘরে। হয়তো এতে কিছু বাকি থাকতে পারে। যদি তারা রাজি হয়। তাহলে এখন কাজ শুরু করবে। আর যদি রাজি না হয় তাহলে একটু পরে কাজ শুরু করবে অর্থাৎ দুই তিন মাস পর। অতঃপর তাদের কথা শোনার পর মারুক তার সে পরিকল্পনা মনে মনে বাদ রাখল এবং যে সমস্ত জিনিসগুলো কেনা হলো তার টাকা পরিশোধ করলো। তবে আমরা এটাতেই খুশি বাকি কাজ মোটেও ঠিক নয়। কারণ মারুফ জানে সে নিজেও এমন কাজ করেছে,যেখানে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার মত লোকের হাতে রয়েছে সে এখনো উঠাতে পারেনি। তাই বালি সিমেন্টের দাম পরিশোধ করে মারুফ সিদ্ধান্ত নিল পরবর্তী কাজগুলো টাকা ম্যানেজ করার পর করবে। আর এখনকার মতো যে কাজ চলছে সে কাজগুলো সম্পন্ন করে ফেলবে নগদ টাকায়।
বিষয় | সিমেন্ট বালি কিনতে হার্ডওয়ার্কের দোকানে |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় খেয়াল করি যখনই কিছু দরকার হয়, আপনি মারুফ বন্ধুর সাথে চলে যান একসাথে। আজকে বিশেষ প্রয়োজনে হার্ডওয়ারের দোকানে গিয়েছিলেন। ওখানকার মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাদের বন্ধুত্ব এভাবে অটুট থাকুক। এই বাজারটা আমি চিনি।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আমরা দুজন সব সময় একসাথে চলি। সে খুব শীঘ্রই আমার বাংলা ব্লগে ফিরে আসবে
বিকেল মুহূর্তে আপনারা বাইরে গিয়েছিলেন সেটা আমি জানি। কিন্তু কেন গিয়েছিলেন সেটা কিন্তু আমি জানতাম না। তবে আপনার এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে জানতে পারলাম মারুফ ভাইয়ার সাথে সিমেন্ট বালির তুফান ভাইয়াদের দোকানে গিয়েছিলেন। আরো বিস্তারিত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ বিকেলে হুট করে সেখানে গেছিলাম।
আসলেই ভাই বাকির কাজ কখনোই ভালো না। যাই হোক আপনি এবং মারুফ ভাইয়া মিলে মারুফ ভাইয়ের ঘর নির্মাণের জন্য হার্ডওয়ারের দোকানে প্রয়োজনীয় কিছু কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করি যতটুকু পেরেছেন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেটা আপনারা বাড়ি ফিরেছেন। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও সহমত পোষণ করি।
আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে বালি সিমেন্ট কেনার উদ্দেশ্যে একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।আমিও আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি।আসলেই বাকিতে মাল দিলে সেই টাকা তোলা কঠিন হয়ে যায়, আর উনাদের তো অনেক টাকা পাওনা রয়েছে।নগদে জিনিস কিনলে মন থেকে যেমন ভালো লাগে তেমনি ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে।ভালো করেছেন আপনারা নগদে মাল কিনে,ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আমি সেটাই আমার বন্ধুকে বলেছিলাম এবং শেষ পর্যন্ত তাই হল। দু তিন মাস পরে সম্পূর্ণ কাজ হোক তবুও বাকি তো থাকবে না।