ভ্রমণ :- মুসাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। (পর্ব ২)

in আমার বাংলা ব্লগ13 days ago

IMG-20240314-WA0033.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

IMG-20240330-WA0005.jpg

কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে মুসাপুর ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আসলে মুসাপুরের মধ্যে সময় কাটানোর মত প্রায় দুই থেকে তিনটা জায়গা রয়েছে সময় কাটানোর মতো। আমি যদিও প্রায় কয়েকবার মুসাপুর গিয়েছিলাম। তবে এবারে মশা পড়ে গিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রথমে আমরা একদম সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটানোর পর আবারও সামনের দিকে চলে আসলাম। এখানে ছিল আলাদা একটা সৌন্দর্য। এটা ছিল সমুদ্রের পাড়ের একটা অংশ। যার পাশে আবার বড় একটা জায়গা এমনকি বড় একটা বাগান ও রয়েছে।

IMG-20240330-WA0004.jpg

IMG-20240330-WA0003.jpg

এখানে আবার অনেক বড় একটা ঝাউবন রয়েছে। সমুদ্রের পাড়ে অনেকগুলো দোকানপাট রয়েছে। আসলে এখানে যারা আসে এখান থেকেই খাওয়া-দাওয়া কিংবা বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা করতে পারে। তবে আমরা এখানে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম। এখানে বসার জন্য একটা খুব সুন্দর জায়গা ছিল । দেখলাম এখানে একজন রং চা বিক্রি করতেছে। পরে আমরা তার থেকে রং চা নিলাম খাওয়ার জন্য। আসলে চাটা এত বেশি মজার ছিল কি বলবো। আমার কাছে এই ধরনের চা খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে এই চায়ের মধ্যে চাল ভাজা দিয়েছিল।

আসলে রং চা এর সাথে চাল বাজা খেতে ভীষণ মজা। তো চা খেতে খেতে এখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। যদিও আমরা এখানে বিকেলের দিকে এসেছিলাম কিন্তু প্রায় সন্ধ্যা হতে চলল। এখানে কিছুক্ষণ বসার পর নাশিয়াতো তো বায়না ধরেছে বাড়িতে যাওয়ার জন্য। পরে ওকে বললাম কয়েকটা ফটোগ্রাফি করি। ফটোগ্রাফি করবো বলার সাথে সাথেই ও বিভিন্ন রকমের পোজ দেওয়া শুরু করল। আসলে সেটা দেখে আরো বেশি হাসি পেল। নিচের দিকে বিভিন্ন রকমের স্টাইল করছিল। মনে হচ্ছিল যেন কেউ শিখিয়ে দিচ্ছে।

IMG-20240330-WA0001.jpg

IMG-20240314-WA0036.jpg

আসলে এখনকার বাচ্চাদের কোন কিছু শিখিয়ে দেওয়া লাগেনা। ওরা আগে থেকেই স্মার্ট। ওর কিছুটা ফটোগ্রাফি করার পর সমুদ্রের কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে আমি সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটাতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে যত বেশি সন্ধ্যা হয়ে আসছিল এখানে সময় কাটাতে ও ভীষণ ভালো লাগতেছিল। আমি তো ভাবলাম এখানে সন্দেহ কাটিয়ে তারপর যাবো। শুনেছি এর পাশে একটা মেলা বসেছে। ভাবলাম দেখে আসি মেলা বসেছে কিনা। পরে সেখানে গিয়ে দেখি সবেমাত্র মেলা দোকানপাট গুলো সাজাচ্ছিল।

IMG-20240314-WA0033.jpg

মানে এখনো কোনো কিছুই গোছানো হয়নি। এমনকি মেলাটা শুরু হয়নি। যদি মেলাটা শুরু হতো তাহলে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগতো। চারদিকে একটু ঘুরে দেখতাম। পরবর্তীতে যখন মেলা বসিনি আমরা আবারো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে যেহেতু বাড়িটা অনেক দূরে এখানে বেশিক্ষণ থাকা ঠিক হবে না। তার উপরে আবার বাইক নিয়ে লং জার্নি। আমরা বাড়িতে আসতে আসতে প্রায় রাত হয়ে গিয়েছিল। বাইকে করে এতদূর এসে অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। তবে ওইখানে কিন্তু ভীষণ ভালো সময় কাটিয়েছি। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবার ও নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

IMG-20240314-WA0028.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  
 13 days ago (edited)

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মুসাপুর ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তের দ্বিতীয় পর্ব। আপনার ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতিমূলক পোস্টটি পড়ে সত্যি বেশ ভালো লাগলো। আপনার মেয়ের ছবি দুইটা বেশ অসাধারণ হয়েছে আপু। সমুদ্র সৈকতের ফটোগ্রাফি সত্যি বেশ অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 12 days ago 

আমার মেয়ের ছবি দুটা অসাধারণ হয়েছে শুনে ভালো লাগলো। দোয়া করবেন আমার মেয়েটার জন্য।

 13 days ago 

অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টের লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার। আপনার ভ্রমণ করার স্থানের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আমি। অসাধারণ সুন্দর একটি স্থান ভ্রমন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 12 days ago 

চেষ্টা করেছি ভ্রমন করার পাশাপাশি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য। দেখে মুগ্ধ হয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।

 13 days ago 

মুসাপুর ঘুরতে গেলেন প্রথম পর্ব পড়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। কাজের চাপের কারণে সব সময় ঘরে বন্দি থাকতে ইচ্ছে করে না। মাঝে মধ্যে দূরে কোথাও যেয়ে ঘুরে আসতে ইচ্ছা করে। আপনি তো দেখছি সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গেলেন আপু। আপনার শেয়ার করা নদীর দৃশ্য গুলো দেখে মনে হচ্ছে যে আমি মহেশখালী নদী দেখতেছি। সব গুলো দৃশ্য মহেশখালী নদীর মতই মনে হচ্ছে আমার কাছে। অনেক আনন্দ করলেন বেশ ভাল লেগেছে আপনার ব্লগটি পড়ে।

 12 days ago 

হ্যাঁ বন্দী থাকতে ভালো লাগে না। তাইতো চেষ্টা করি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করার জন্য। আমার ঘুরাঘুরি করার পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।

 12 days ago 

আসলে আপু, বাইকে করে এতদূর লং জার্নি করেছেন বলেই হয়তো বাড়ি এসে কিছুটা অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মেলাটা যদি তাড়াতাড়ি বসতো তাহলে আপনারাও একটু মেলাটা দেখে আসতে পারতেন। নাশিয়ার পোজ গুলো কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে, হি হি হি। তাছাড়া সমুদ্র পারের ফটোগ্রাফি গুলো অত্যন্ত সুন্দর ছিল। রং চা চাল ভাজা দিয়ে কখনো খেয়ে দেখি নি।তবে খাওয়ার ইচ্ছা রইল।

 12 days ago 

আসলে নাশিয়া এখন ছবি তোলার সময় এরকম করে। তার দুষ্টামি দেখলে আরো বেশি ফটোগ্রাফি করি, কারন এরকম গুলো আরো সুন্দর হয়।

 12 days ago 

যেসব জায়গায় ঘুরাঘুরি করার জন্য কয়েকটি স্পট থাকে, সেসব জায়গায় ঘুরতে খুব ভালো লাগে। যাইহোক সমুদ্রের পাড়ে সময় কাটানোর পর, সামনে গিয়েও তো মনে হচ্ছে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। কারণ জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। সমুদ্র বা নদীর পাড়ে এমন দোকান থাকলে খুব ভালো লাগে। ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি কিছু কিনে খাওয়া যায়। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। তাছাড়া নাশিয়াকে দেখতে খুব কিউট লাগছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

তবে এবারে মশা পড়ে গিয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

আপু এখানে একটু ভুল হয়েছে। আশা করি ঠিক করে নিবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 63867.81
ETH 3135.89
USDT 1.00
SBD 3.84