নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৬০ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৬০ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
| নাম | ফকির গ্রাম। |
|---|---|
| পরিচালনা | ঈগল টিম |
| প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
| প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
| স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
| অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
| প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
| সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
| সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই মানিকের বাবা তাকে নিয়ে তার বাড়িতে এসেছে। আর তখনই মানিকের বাবাকে ডাক দেয়। আর তখন মায়ের সাথে ছেলের পরিচয় করিয়ে দেয়। তখন মা ছেলে দুজন একে অপরকে দেখে জড়িয়ে ধরে অনেক বেশি কান্না করতে থাকে। তখন সে ভিক্ষা করার বিষয়টা বলে, তখন তো তার মা আরো বেশি কষ্ট পায়। মা বাবা তাদের ছেলেকে পেয়ে অনেক খুশি হয়। আর মানিকও অনেক খুশি হয়। এরপর আমরা দেখি সায়েম আর তার বউ ভিক্ষা করছিল। এখন তারা মানিককে নিয়ে কথা বলছিল। তারা যখন কথা বলছিল তখন ওখানে সায়েমের শশুর আসে। তখন তারা এসব কিছু নিয়ে কথা বলে।
তখন ওর বাবা বলে চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে বিচার দিবে। তারপর তারা আবারো ভিক্ষা করার জন্য চলে যায়। মানিক কে ps ওর রুমে নিয়ে আসে। ওতো এগুলো দেখে অবাক হয়ে যায়। আর নরম নরম বিছানা পেয়ে অনেক আনন্দ করতে থাকে। এরপর তাকে বাথরুমের বিষয়ে বলে। কিন্তু ও কিছুই বুঝতে পারে না। তারপর পিএস তাকে সবকিছু ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়। তারপর সায়েম ফকিরকে দেখি, তার বউকে খাবার দেওয়ার জন্য অনেক ডাকছিল। তারপর সায়েম ভালোভাবে সবকিছু জিজ্ঞেস করে। আর তার বউ তখন বলে মর্জিনা চন্দুকে নিয়ে এসেছিল খাবারের জন্য। কিন্তু যেহেতু কিছু ছিল না, তাই কিছুই দিতে পারেনি, মুড়িও দেয়নি।
কারণ এই মুড়ি গুলো তার খাওয়ার জন্য রেখেছিল। তখন সায়েম মুড়িগুলো নিয়ে কোথাও চলে যায় তাকে বকা দিয়ে। তারপর আমরা চান্দু আর মর্জিনাকে দেখি বাহিরে বসে রয়েছে। তারা কিছু খেতে পারেনি। আর তারা গান গাওয়া শুরু করে যেন খিদে না পায়। গান গাওয়ার কিছুক্ষণ পর ওখানে সায়েম আসে তাদেরকে মুড়ি দেয় খাওয়ার জন্য। আর তারা সবকিছু শুনে তো অনেক খুশি হয়। আর চান্দু সায়েমকে জড়িয়ে ধরে। তারপর তারা সবাই ভাগ করে মুড়ি খায়। রাতের বেলায় পুকুর পাড়ে আসমানিকে দেখা যায় পুলিশ অফিসারের জন্য অপেক্ষা করছে। তারপর পুলিশকে প্রতিটা তথ্য দেয়।
তারপর আমরা রতন আর ডাক্তার আমাকে দেখতে পাই কোথাও যাচ্ছিল। আর তখন রতন টিক্কা ফকির আর তার বউ এর কথা বলে দেয়। এটাও বলে তাদেরকে ফকির থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর টিক্কা ফকির আর তার বউকে দেখি ভিক্ষা করছে। এরপর তাদের গ্রামকে ধ্বংস করে দেওয়ার কথাটা তাদেরকে বলে। আর রতন তখন সব ফকিরকে সব কিছু বলার কথা বলে। তারপরে আমরা মানিকের বাবা-মাকে দেখি খাবার টেবিলে বসে আছে মানিকের জন্য। মানিক তো এতগুলো খাবার দেখে অনেক খুশি হয়ে যায়। ও যখন খাবারগুলো খাচ্ছিল, তখন ওর রতনের কথা মনে পড়ে। আর তার বাবা-মাকে রতনের কথা বলে। আর তার বাবা বলে রতনকেও নাকি এখানে নিয়ে আসবে।
আর মানিক তো এই কথা শুনে অনেক খুশি হয়ে যায়। এবার তার মা ভাত নিয়ে তাকে খাইয়ে দেয়। এরপর আমরা বিদেশী আকাশ আর তার বোনকে দেখতে পাই। আর তখন তারা প্ল্যান করে তারা দেশ ছেড়ে চলে যাবে বাড়িঘর বিক্রি করে। আর এসব কিছু চম্মন শুনে ফেলে। চম্মনকে দেখে আকাশের বউ অনেক মারে। এরপর আকাশ তাকে ঘরে নিয়ে অনেক বেশি মারতে থাকে। এরপর আমরা দেখি প্রিন্স আসমানীকে নিয়ে তার বাড়িতে এসেছে আর তার বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। আর এটাও বলে তার স্বভাব নাকি ফকিরের মত হয়েছে। কারণ তার শরীরে ফকিরের রক্ত। কিন্তু প্রিন্স এর কিছুই বুঝতে পারে না। এখন দেখা যাক বিষয়টা আসলে কি।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বটা অনেক সুন্দর হয়েছে আর দেখতেও খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু এটা ভেবে খারাপ লেগেছে, কারণ চম্মন অনেক বেশি কষ্টে রয়েছে তার শ্বশুরবাড়িতে। আসলে প্রত্যেকটা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই সবকিছু ভালোভাবে দেখে শুনে বিয়ে দেওয়া উচিত, শুধু টাকা দেখে বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে আবার মানিক অনেক আনন্দে আছে তার বাবা মাকে ফিরে পেয়ে, তার বাবা মা ও খুব খুশি। রতনকে ও ঢাকায় নিয়ে আসবে বলেছে তার বাবা, তার জন্য মানিক আরো বেশি খুশি। অন্যদিকে আবার বিদেশী আকাশ দেশ ছেড়ে পালানোর চিন্তা করছে তার বোনকে নিয়ে। আর শেষে আমরা দেখতে পাই, প্রিন্সকে তার বাবা বলছে ও নাকি ফকিরের ছেলে। আসলেই কি প্রিন্স তাহলে ফকিরের ছেলে?? এটা আমরা পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো। একটার পর একটা বিষয় সবার সামনে আসছে। আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।









https://x.com/TASonya5/status/1885689380628725887?t=np4bwTPptg_s9Qhc2JzFFA&s=19
দেখতে দেখতে ফকির গ্রাম নাটকের কয়েকটি পর্ব আমাদের মধ্যে রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। আসলে আপু মেয়েদের বিয়ে দেয়ার সময় টাকা পয়সা দেখে নয় ভালো পরিবার দেখে বিয়ে দেয়া দরকার। আপনার নাটকের রিভিউটি পড়ে ভালো লাগলো। তবে আগামী পর্বে হয়তো আরো চমক আসছে। প্রিন্স কি সত্যি ফকিরের ছেলে কিনা তা জানা যাবে।
আমি চেষ্টা করবো পরবর্তী পর্বের রিভিউ খুব শীঘ্রই শেয়ার করার জন্য।
ফকির গ্রাম নাটকের দেখছে অনেক পর্ব আছে। আপনার রিভিউ করা পর্বগুলো আমি বেশ কয়েকটি দেখেছি। আজকের পর্বটি ও ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে এই পর্বে বেশিরভাগ সময় মানুষকে তার জায়গাটা বুঝিয়ে দেয়। এ ধরনের নাটক গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমার নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। নাটকের এই পর্ব পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আজকে আপনি ফকিরগ্রাম নাটকের 60 তম পর্ব রিভিউ করেছেন। আপনার রিভিউ এর মধ্য দিয়ে এই পর্বের বিস্তারিত বিষয়গুলো জানার সুযোগ হয়েছে আমার। আমি এই নাটকের বেশ কিছু পর্ব দেখেছি। কিন্তু এ পর্বটা আমার দেখা ছিল না। আপনার রিভিউ পোস্ট করতে গিয়ে কিছুটা ধারণা পেলাম আবার কিছুটা দেখার সুযোগ পেলাম।
আপনি এই নাটকের বেশ কিছু পর্ব দেখেছেন শুনে ভালো লাগলো।
খুবই সুন্দর করে ফকির গ্রাম নাটকের ৬০ তম পর্বের রিভিউ শেয়ার করেছ তুমি। আসলে নাটকের রিভিউ পোস্ট দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যে নাটকটি আমি দেখি নাই সে নাটক দেখার সুযোগ হয়। কারণ সব সময় আপনারা সুন্দর নাটক গুলোর রিভিউ করে থাকেন। চমৎকার ভাবে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চমৎকারভাবে নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে পেরে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
ধারাবাহিক নাটক গুলো আমি সব সময় অনেক বেশি পছন্দ করে থাকি। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধারাবাহিক নাটক গুলোর মধ্যে ফকির গ্রাম অন্যতম একটা নাটক। এই নাটকে অনেক ভালোলাগার অভিনয় রয়েছে শিক্ষনীয় অভিনয় রয়েছে। ঠিক তেমনি ৬০ তম পর্বে অনেক কিছু শেখার ও কষ্টের অভিনয় খুঁজে পেলাম।
আসলে সবাই অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। আমার অনেক ভালো লেগেছিল এই নাটকটা।
ফকির গ্রাম খুবই দারুন একটি নাটক অনেক হাসির নাটক আপনি খুব চমৎকার ভাবে গুছিয়ে নাটক টা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই শেয়ার করবো।
ফকির গ্রাম নাটকটি খুবই সুন্দর। আপনি ফকির গ্রাম নাটকের বেশ অনেকগুলো পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই নাটকের অধিকাংশ পর্ব আমি দেখেছি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এবং এটা অনেক হাসির নাটক। ধন্যবাদ আপু পুরো নাটকটি অনেক সুন্দর করে রিভিউ করার জন্য।
ঠিক বলেছেন নাটকটা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর। আমার কাছে ভালো লাগে নাটকটা দেখতে।