গল্প: অনিকের জীবন যুদ্ধ শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে অনেকদিন পরে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি ।আসলে আশেপাশের মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে লিখতে গেলে সে লেখার কোন শেষ নেই । এভাবে মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে যদি ছোটখাটো করে গল্প আকারে লেখা যায় তাহলে সেটি সুন্দর একটি গল্প হয় । তাছাড়া বানিয়ে বানিয়ে লেখতে একই ধরনের গল্প হয় সব সময় মিলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে । আর একই রকম গদবাঁধা গল্পই হয়ে যায় ।এজন্য মানুষের জীবন কাহিনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ যদি আপনি গল্প আকারে তুলে ধরেন তাহলে সুন্দর একটি গল্প তুলে ধরা যায় । আজকে আমি একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । সেটা আমারই পরিচিত একজনের জীবন কাহিনী । গল্পটি একটি বৌদ্ধ ফ্যামিলির ছেলে অনিককে নিয়ে লিখা । প্রথম পর্বে শেষ করেছিলাম রিয়া নিজের থাকার জন্য একটি ফ্ল্যাট পায় এবং সেই ফ্ল্যাটে নিজের মেয়েকে নিয়ে চলে যায় এর কিছুদিন পরেই রিয়া আর অনিকের ডিভোর্স হয়ে যায় । সেই শোকে অনিক কিছুটা নেশার ভিতরে ঝুঁকে পড়ে এরপর থেকে শুরু করছি ।
এভাবে তার মা তাকে অনেকভাবে নেশা থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে এবং নিজের কাছে এনে রাখে । এভাবে আস্তে আস্তে ছেলেটা কিছুটা ভালোর দিকে আসতে থাকে । আর মাঝে মাঝে তার মেয়েটাকে এনে কিছু সময় এর জন্য তার কাছে রাখে । কিছুদিন এভাবে যেতে যেতে অনিকের একটা জব হয় এবং সেখানে সে আবার একটা মেয়ের রিলেশনে জড়িয়ে যায় । অনিক এবার মুসলমান একটা মেয়ের সাথে রিলেশন করে । ওরা দুজনে একই সাথে কাজ করে সেখান থেকে মেয়েটার সাথে অনিকের পরিচয় । মেয়ের নাম টিনা । শহরের শহরের বাইরে থেকে এসেছে । ঢাকা শহরে অনিকের বড় একটা বাড়ি আছে এবং অনিক দেখতে শুনতে অনেক লম্বা সুন্দর । যার কারণে টিনা অনিকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে ।
এভাবে বেশ কিছুদিন তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলতে থাকে । একদিন জানা যায় যে ওরা দুজন গোপনে বিয়ে করেছে ।এরপর দুজনে বাইরে কিছুদিন থাকার পরে অনিকের মা তাদেরকে বাসায় উঠিয়ে আনে । বাসায় অনিকের মা একা থাকে কাজের লোকজন নিয়ে । তারও বয়স হয়েছে যার কারণে তারও একটা বড় ছায়ার দরকার । সে কারণে মুসলমান হওয়া সত্বেও তারা সেটাকে মেনে নেয় এবং একই সাথে সুন্দরভাবে বসবাস করতে থাকে । এদিকে টিনারও আগের ঘরের একটা ছেলে রয়েছে । ছেলেটার বয়স ১২-১৩ বছরের হবে । কিছুদিন যেতে না যেতে দেখা যায় যে টিনা তার ছেলেটাকে তার কাছে নিয়ে আসে এবং তাদের ফ্যামিলিতেও এখনো আপত্তি থাকে না ছেলেটাকে রাখতে ।
টিনা তার ছেলেটাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয় এবং ছেলেটাও তাদের সাথে সুন্দর ভাবে মানিয়ে গুছিয়ে থাকতে থাকে । ওদিকে অনিক নিজের মেয়েকে অন্যের কাছে দেখছে আর সে অন্যের ছেলেকে বড় করছে । আসলে এটাই বুঝি বিধাতার নিয়ম কখন কার জীবনে কি নেমে আসে সেটা বলা যায় না । তবে এখন একটা দিক দিয়ে ভালই হয়েছে এখন যে মুসলমান মেয়েটার সাথে তার বিয়ে হয়েছে মেয়েটা অনেক ভালো তাদের সংসারটাও খুব সুন্দর ভাবে চলে যাচ্ছে এবং তারা সুখে শান্তিতে রয়েছে । আল্লাহ যখন যাকে যেভাবে রেখেছে সেটাই তাদের জন্য শুকরিয়া করা উচিত । আর অনিকের জন্য যেটাই পারফেক্ট ছিল সেটাই তার জীবনে মিলিয়ে দিয়েছে । প্রথম বিয়েটা রিলেশন করে নিজের লোকের ভিতরেই করেছিল কিন্তু সেটা তো টিকলো না । পরে বাইরে থেকে যে মেয়েটাকে আনল সুন্দরভাবে সে মানিয়ে গুছিয়ে চলছে । যার যার ধর্ম সে সে পালন করে তারা সংসারটা চালিয়ে যাচ্ছে । করো ধর্ম নিয়ে কারো কোনো অবজেকশন নেই । বরং টিনা তার শাশুড়ির ধর্মের কাজে অনেক হেল্প করে । অনিকও অনেক হ্যাপি আছে এখন ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস samsung galaxy s8
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
এটা আমাদের অবশ্যই মানতে হবে ভাইয়া যে আল্লাহ আমাদের যখন যেভাবে যে অবস্থাতেই রাখবেন সেটাই আমাদের জন্য কল্যাণজনক। যে কারণে অনিকের জন্য খুব সুন্দর একটি মেয়ে রেখেছিলেন। যার কারণে তার আত্মার ভেতর বিয়ে করা সত্ত্বেও সে বিয়ে টিকে নেই। আর এটাই নিয়তির খেলা নিজের মেয়েকে অন্য কোথাও রেখে অন্য ছেলেকে বড় করতেছে। সত্যিই অবাক করার বিষয়। দারুন একটি গল্প লিখেছেন ভাইয়া।
আমার গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । কিন্তু আমাকে আপনার কোন দিক থেকে ভাইয়া মনে হলো সেটাই আমি বুঝতে পারলাম না ।
যাক অনিকের মা অনিককে এ নেশার জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিল জেনে ভালো লাগলো। তাছাড়া অবশেষে অনিক তার জীবনে সত্যিকারের একজন ভালো স্ত্রী পেয়েছে। অনিকের নিজের মেয়ে তার কাছে থাকে না জন্যই তার স্ত্রীর সন্তানকে নিজের মত করে নিয়েছে। ভালোই লাগলো গল্পটি পড়ে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আমার গল্পটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
বাহ আপু আপনার গল্পটি পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। ভিন্ন ধর্মের হয়েও মেয়েটি তাদের সংসারে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। ব্যাপারটা বেশ ভালো লাগলো ।যার যার ধর্ম সে সে পালন করার মাধ্যমে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছে সত্যি অবাক করার মত। যাই হোক অবশেষে অনিক তার সঠিক জীবন সঙ্গী পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।