এক তরুণ উদ্যোক্তার সংগ্রামী জীবনের গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)
তানিমের মনে হলো যে, তার ব্যর্থতার কারণগুলো বুঝতে হলে আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সে অনলাইন কোর্স করা শুরু করলো—ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং, এবং প্রযুক্তি নিয়ে। তারপর সে একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নাম মাত্র বেতনে কয়েক মাস কাজ করে। এরপর সে নিজেকে আরও প্রস্তুত মনে করলো। এই সময়ে, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিলো। তানিম এই সুযোগটি কাজে লাগাতে চাইলো। সে একাই এবার নিজের একটি ই-কমার্স সাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নিলো।
তার ব্যবসার আইডিয়া ছিল স্থানীয় কুটির শিল্পের পণ্যগুলো অনলাইনে বিক্রি করা। সে সরাসরি গ্রামের হস্তশিল্পীদের সঙ্গে চুক্তি করে তাদের পণ্য সংগ্রহ করতো এবং অনলাইনে বিক্রি করতো। শুরুতে তার চ্যালেঞ্জ ছিল প্রায় সব কিছু। পুঁজি ছিল সীমিত, তাই সে নিজেই প্যাকেজিং, ডেলিভারি, ওয়েবসাইট পরিচালনা, সবকিছু করতো। তাই তাকে প্রচুর সময় ও শ্রম বিনিয়োগ করতে হয়েছিলো। সে প্রথম কয়েক মাসে খুবই কম অর্ডার পেতো। কিন্তু সে হাল ছাড়েনা। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে ব্যর্থতা থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। তানিম যেমন সাহসী তেমন মেধাবী। তানিম পরিশ্রমের মাধ্যমে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। যদিও তানিম এখন স্ট্রাগল করছে। আশা করি তানিমের ভালো দিন খুব শীঘ্রই চলে আসবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।