আকাশের স্বপ্ন পূরণ ( দ্বিতীয় পর্ব)
হবে। কারণ হঠাৎ করে এই টিউশনি চলে গেলে তার এবং তার পরিবারের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে। কিন্তু আকাশ এটাও জানে। তার মতো সমাজবিজ্ঞানে পড়া ছাত্রের পক্ষে নতুন টিউশনি জোগাড় করা বেশ কষ্টের। বেশিরভাগ গার্জিয়ান সাইন্সের স্টুডেন্টদেরকে পছন্দ করে বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য। আকাশ এখন সময় পেলে মাঝে মাঝেই পার্কের বেঞ্চে এসে বসে থাকে। পার্কে বিভিন্ন ধরনের লোক এসে ঘোরাফেরা করতে থাকে। এগুলো দেখতে তার ভালই লাগে। সেদিনও বেশ অনেক রাত পর্যন্ত সে পার্কের বেঞ্চে বসে রইলো। বসে বসে জীবনের হিসাব মিলানোর চেষ্টা করছিলো।
কিন্তু এ হিসাব যে সহজে মেলার নয়। রাতে আকাশ রুমে ফিরে দেখতে পেলো মেসের মালিক তার রুমে এসে বসে আছে। আকাশ ঘরে ঢুকতেই সে জিজ্ঞেস করল গত মাসের ভাড়া টা এখনো দেননি টাকাটা কবে দেবেন? আকাশ তখন তাকে জানালো আর কয়েকদিন পর বেতন পেলেই আপনাকে একবারে দুই মাসের ভাড়া দিয়ে দেবো। এই কথা শুনে লোকটা বলল এরপর থেকে আর কখনো ভাড়া বাকি রাখবেন না। ভাড়া বাকি রাখা আমি পছন্দ করি না।
এই কথা বলে মেস মালিক সেখান থেকে চলে গেলো। তারপর আকাশ কাপড় চোপড় পাল্টে হাতমুখ ধুয়ে মেসের ডাইনিংয়ে গেল খাওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখে তার জন্য অল্প কয়টা ভাত আর সামান্য একটু তরকারি রাখা হয়েছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।