প্রাচীনকালের পিতলের আবাসপত্র বিলুপ্তির শেষ যাত্রায়
প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসতেছে পিতলের জিনিস।এক সময় পাওয়া যেতো এই পিতলের জিনিস সবার বাড়িতে বাড়িতে।বিশেষ করে আগে রান্নাঘরের ব্যবহার সামগ্রীর ক্ষেত্রে পিতলের থালা, বাটি, গ্লাস, রান্নার হাঁড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো। এই রকম আরো অনেক জিনিস প্রত্র পিতলের পাওয়া যেতো। আমাদের বাসায় পিতলের একটা পানের বাটা ছিল। পানের বাটা এখনো আছে। বাট আগের মতো আর ব্যবহার হয় না।
এই রকম পানের বাটা,থালা জগ,ইত্যাদি জাতীয় পিতলের জিনিস আগে সবার বাড়িতে পাওয়া যেতো। এখনো যদিও পাওয়া যায়,তাহলে পড়ে রয়েছে কোনো ঘরের কোনার মধ্যে অথবা অন্য কোনো জায়গায়। এই পিতলের জিনিসের সাথে জড়িত আছে আমাদের দাদা, দাদি,নানা,নানিদের পুরোনো এক স্মৃতি।পিতলের তৈরি থালাতে আগের মানুষ খাওয়া দাওয়া করতো।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নতির কারণে দিন দিন এসব জিনিসপত্র ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমাদের বর্তমান সভ্যতার সমাজে। পিতলের তৈরি জিনিসপত্র এখন আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। এই পিতলের জিনিস পত্র অনেক ওজন হয়ে থাকে এবং মজবুত হয়।এই রকম পিতলের আবাস পত্র বছরের পর বছর টেকসই হয়।আগে পিতলের জিনিস খুব ব্যবহার হত।
বর্তমানে পিতলের আবাস পত্রের ব্যবহার নাই বললে চলে। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের বাসায় কিছুটা বিরাজমান রয়েছে। তারা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যবহার করে থাকেন। তবু্ও প্রায় বিলুপ্তের পথ যাত্রীর শেষ ঠিকানায়। আর বর্তমান প্রজন্ম জানেয় না জে পিতলের জিনিস পত্র কি। আর না জানারি তো কথা কারণ পিতলের জিনিস পত্র এখন দেখতে পাওয়া যায় না। আর এখনো যদিও পিতলের জিনিস পাওয়া যায় তবে তা চড়া দামে ক্রয় করতে হয়। চড়া দামে মানুষ ক্রয় করতে চায় না।তাই বর্তমানে বের হয়েছে মেলা মাইনের জিনিস পত্র।মেলা মাইনের জিনিস পত্র অল্প মূল্যে পাওয়া যায়।
তাই মানুষ এখন বর্তমানে মেলা মাইনের জিনিস পত্র বেশি ব্যবহার করে। এই আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গিয়েছে পিতলের দামি জিনিস পত্র। এখন এগুলা আমাদের ঐতিহ্য হয়ে গেছে। এখন আমরা যেগুলা ব্যবহার করি হয় তো কালের পরিবর্তন সেগুলাও হারিয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ পিতলের জিনিস গুলো চড়া দাম হলেও দুই একটা রাখা দরকার। যাতে আমাদের ছেলে মেয়েরা এই পিতলের জিনিস সম্পর্কে জানতে পারে। এই ছিলো আজকের পিতলের জিনিস নিয়ে আলোচনা। ভুল হইলে হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
অসাধারণ পোস্ট, পিতলের আসবাবপত্র অনেক ঐতিহ্যের সাক্ষী, আগের দিনের মানুষ এসব আসবাবপত্র বেশি ব্যবহার করতো, এখন তেমন দেখা যায় না। আমার বাবা এখনো পিতলের থালায় ভাত খায় এবং পিতলের গ্লাসে পানি খায়। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
পোস্ট কোয়ালিটি ঠিক করুন। সঠিক মার্কডাউন ব্যবহার করুন। এই ধরনের মার্কডাউন করে পোস্টের উন্নতি কখনো সম্ভব নয়।
আপনি পিতলের আসবাবপত্র নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, এইরকম পিতলের আসবাবপত্র এখন দেখা যায় না, আগের মানুষ এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করতো,আগের মানুষ সবার ঘরে ঘরে পিতলের আসবাবপত্র জিনিস ছিল, তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই ধরনের পিতলের আসবাবপত্র দেখা যায় না। আমার বাসায় একটা পিতলের প্লেট ছিল আমি শুনছি ঐ প্লেটে নাকি আমার দাদা খাওয়া দাওয়া করতো,তবে এখন আর এই পিতলের প্লেট টি নাই, কোথায় থেকে কোথায় গেছে কেউ জানে না।আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, তবে।সব পিতলের আসবাবপত্র গুলো অনেক ওজনের হয়ে থাকে, এগুলো সব ওজনের, আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন এগুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাজ থেকে আর সেগুলো আমাদের মাঝে ঐতিহ্য হয়ে দাড়াচ্ছে।আমার উচিত এই ধরনের পিতলের আসবাবপত্র আমাদের বাসায় রেখে দেওয়া। তবো যাদের বাসায় এি পিতলের আসবাবপত্র রয়েছে তাদের বাসায় খোঁজ নিলে দেখা যাবে,এই পিতল কি জিনিস, আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই আপনার পোস্ট পরে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ
প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে পিতল কাঁসার শিল্প ব্যবহার হয়ে আসছে। নতুন বর জামাই থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজনকে এই কাঁসা বা পিতলের থালিতে করে খাবার দেওয়া দেওয়া হইত। কিন্তু এখন আর তেমন দেখা যায় না এই শিল্পটি। প্রযুক্তির ভিড়ে আজ বিলুপ্তি প্রায় দারপ্রান্তে এই কাসা শিল্প।
ধন্যবাদ
যুগ যুগ ধরে পিতলের তৈরি এসব আসবাবপত্র আমাদের ঐতিহ্য বহন করে।পিতলের তৈরি আসবাবপত্রগুলো আগে মানুষ ভালো ব্যবহার করত তবে বর্তমানে এসব বিলুপ্তির পথে।আমাদের বাড়িতে একটি পিতলের তৈরি কাঁসা রয়েছিল কিন্তু বর্তমানে সেটি নাই।খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ রাহুল কাজি ভাই।
আপনার মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপি🥀🖤
পিতলের তৈরি আসবাবপত্র আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক।এক সময় পিতলের তৈরি সব ধরনের জিনিস এই বাংলায় ব্যবহার হত। কিন্তু এখন পিতলে তৈরি শিল্প আর দেখ যায় না।কিছু কিছু হিন্দু পরিবার ছাড়া আর তেমন চোখে পরে না।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
পিতলের দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ব্যবহার করতেও অনেক সুবিধা জনক। টক জাতীয় ফল দিয়ে এটি পরিষ্কার করলে তা নতুনের মত চকচক ঝকঝক করে। আপনার ছবিতে দেখে জগ দেখা যাচ্ছে ওরকম একটা জগ আমাদেরও আছে।সেটি আমার দাদীর হাতের জগ।ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।