ঐতিবাহি খাবার নিমকপরা ও বাতাসা
স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকলকে সদস্যকে জানাই আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম এবং অন্যান্য জাতীর প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা ও বুক ভরা ভালবাসা। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে গ্রাম বাংলার খাবার নিমকপারা এবং বাতাসা নিয়ে আলোচনা করাব । আশা করি সকলেই আমার পোস্টটি পড়বেন ।
নিমকপারা :
আসলে আমি অনেক কমেই বাজারে যাই আর অনেক দিন পর বাজারে গিয়ে দেখলাম । গ্রাম বাংলার বাজারের দোকান গুলাতে সেই আগের মতো আর বিক্রয় হয় না , গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিমকপারা ,আমাদের গ্রামের বাজারে এই রকম নিমকপারা খাবারের মতোই অনেক খাবারেই পাওয়া যায় । আর আপনারা ছবির মধ্য দেখতেও পাইতেছেন সেই নিমকপারার মতোই অনেক রকমের খাবার। আমার জানা মতো নিমকপারা শহর এলাকায় ও পাওয়া যায় , আর বাংলাদেশের সকলের মানুষের অনেক প্রিয় খাবার হচ্ছে নিমকপারা । শুধু গ্রাম এ নয় শহরেও পাওয়া যায় এই নিমকপারা খাবার ,আমি নিজেও বলতে পারব না নিমকপারা কতদিন থেকে ২০ টাকা মূল্য বিক্রি করে। এই নিমকপারা সাধারণত ময়দা,কালো জিরা, লবন, ইত্যাদি ,এসব উপকরণের সাহায্যে নিমকপারা বানিয়ে দোকানদারা বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করে থাকে । আর দোকানদার আমাকে বললো এখন নাকি 20 টাকা করে নিমকপারা বিক্রি করে তাদের পোশায় না ,আসলে উনি অনেক ভাল কথায় বলছেন আমার মনে হয় সব কিছুর এ তো মূল্য অনেক বেশি ,শুধু তাদের নিমকপারার মতো ওই সব খারার মূল্য বারে না।
বাতাসা :
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে যে কয়েকটি খাবার মিশে আছে তার মধ্যে একটি হলো বাতাসা। আমার অনেক ছোট্ট বেলার প্রিয় খাবার বাতাসা ,আর আপনারা ছবি মধ্য দেখতেই পাইতেছেন বাতাসা । গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি খাবার বাতাসা নিয়ে কিছু কথা বলব ?বাতাসা বাংলার একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মিষ্টি খাবার টি চিনি অথবা গুড় থেকে তৈরি হয়। কড়াইতে চিনি অথবা গুড়, জল একসঙ্গে ফোটাতে হয় । ফুটে উঠলে দুধ দিয়ে ফেনার মতো ময়লা পরিষ্কার করে খাবার সোডা দেয়। ঘন ঘন হলে গোল চামচের এক চামচ করে বাঁশের ডালায় ফেলে ঠান্ডা করে জমিয়ে নিয়ে বাতাসা তৈরী করে ।বাতাসায় চিনি বা গুড়ের পরিমান বেশি থাকায় এটি খেলে তাত্ক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায় । আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি ও বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে l তবে বাতাসা এক ধরনের মিষ্টিজাতায়ী খাবার বলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
বাতাসা হাত দিয়ে ও মেশিন দিয়ে দুইরকম ভাবেই তৈরি করা যায় । গ্রামের মানুষরা হাত দিয়েই বাতাসা তৈরি করে থাকে,আর বাতাসার মধ্যে বাতাস ভরা থাকে সে জন্য ভেতরটা ফাঁকা হয় ।আজকের এই ছিল আমার পোস্ট নিমকপারা আর বাতাসা নিয়ে আমার যা কিছু জানা ছিলও সবকিছুই এই পোস্ট মধ্যে লেখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম । স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির বন্ধুদের বাতাসা আর নিমকপারা খেতে কেমন লাগে অবশ্যই কমেন্টের মধ্যে দিয়ে জানাবেন ।
বাতাসা ছোটবেলায় অনেক চেয়েছি । এখন তেমন একটা খাওয়া হয় না। ভাই নিমকপারা নাকি নিমকপরা কোনটা হবে। পোস্ট করার আগে ভাই কয়েকবার রিভিশন দিয়ে নেবেন বানান ভুল থাকলে পড়তে তেমন একটা ভালো লাগেনা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ঠিক আছে ভাইয়া , আপনাকে পোস্ট পড়ে কমেন্ট করার জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাই
নিমকপড়া আমার অনেক পছন্দের খাবার। আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। মার্কডাউন কিভাবে করতে হবে সেটাও বুঝলাম। ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ
বাতাশা কথা টা শুনলেই ভেসে ওঠে সেই শৈশবের কথা, আগে মসজিদে নামাজ শেষে এই বাতাশা দেওয়া হতো, বিশেষ করে শুক্রবারে, নিমকপরা খাবার খাও খেতে অসাধারণ লাগে।
ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্ট করার জন্য
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
নিমকপরা আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। আমি বাজারে গেলে নিমকপারা নিয়ে আসি বাসায়। ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো সম্পর্কে ভাল বর্ণনা দিয়েছেন । পোস্ট কোয়ালিটি ভাল করুন আর পোস্ট, কমেন্ট আর ডিসকোর্ডে সময় দিন।
ঠিক আছে ভাই ,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী হাটবাজারে এরকম অনেক দোকান আছে মিষ্টি নিমকরা এরকম খাবার পাওয়া যায় যখনই আমরা হাট বাজারে যাই সেই ঐতিহ্যবাহী খাবার কথা মনে পড়ে যায় অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্ট।
ধন্যবাদ
বাতাসা আমাদের দেশে প্রাচীন একটি খাবার। অনেক সুন্দর পোস্ট লিখেছেন আপনি। বাতাসা খেয়ে শেষ করা যায় না। আগে মসজিদে মিলাদ দিলে মুড়ি আর বাতাসা দিত। খেতে খুবই মজার ছিলো। ধন্যবাদ ভাই
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ ভাই
আমিও বাড়িতে থাকলে এগুলো খাবার অনেক খাই।তবে এখান এগুলো খুঁজে পাওয়া যায় নাহ। সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
০এই খাবারগুলো বেশ পুরাতন ঐতিহ্য এখন আর তেমন দেখা যায় না শুধু হাটে গেল দেখা যায়। খুব চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখেছেন ভাই, বাতাসা খেতে খুব ভালো লাগে,আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমি ওনেক বাতাসা খেতাম,খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে, ধন্যবাদ
ধন্যবাদ