অতি সুস্বাদু খাবার খৈ ও এ সম্পর্কে কিছু বর্ননা।

in Steem For Tradition2 years ago (edited)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

রবিবার
তারিখ:১৯-মার্চ-২০২৩

গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্যের নিদর্শন

বাংলাদেশ ঐতিহ্যে পরিপূর্ণ একটি দেশ। এ দেশের প্রতিটি স্থানে ঐতিহ্যের সন্ধান মেলে। আমাদের গ্রাম বাংলায় অনেক খাদ্য ঐতিহ্য রয়েছে। তার মধ্যে ধৈ ও মুড়ি অন্যতম। যখন নাস্তা কিংবা হালকা কোনো কিছু খাওয়া প্রয়োজন হয় তখন মুড়ি কিংবা খৈ খাওয়া হয়। আমাদের দেশে মুড়ি এবং খৈ এর প্রচলন আদি যুগ থেকেই। আমাদের দাদিরা বা নানীরা এই ঐতিহ্যটিকে এখন পর্যান্ত ধরে রেখেছে। আগে নাবান্নের ধান উঠার পর চিকন ধানটি খৈ এর জন্য রাখা হতো। খৈমূলত ধান থেকে তৈরি করা হয়। আর মুড়ি হয় ধান থেকে বেরকরা চাউল থেকে। ধান সেদ্ধ করে রোদে শুকনোর পর, সেই ধান গুলো ভাঙ্গার পর যে চাল পাওয়া যায়, তাকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া করে মুড়িতে রুপান্তর করা হয়। মুড়ি ও খৈ বাংঙ্গাীর নিজস্ব খাদ্য সংস্কৃতির অংশ।

received_1138357760175872.jpegreceived_763529661724433.jpeg

আমাদের দেশে এখনো এই সংস্কৃতিটি টিকে আছে। আজও মানুষ মুড়ি ও খৈ খায়। তবে এখন আর আগের মতো করে মিড়ি কিংবা খৈ তৈরি দেখা যায় না। এখন আধুনিক যুগ, বিভিন্ন মেশিনের সাহ্যযে এখন সহজে মুড়ি ও খৈ তৈরি করা যায়। আমরা যারা গ্রামে বাস করি তারা সাবই দুড় দিয় খৈ খেয়েছি। সে সব সোনালি দিনগুলো মনে করলে আজো মাুষের জিভে জল আসে। তবে সেই সোনাভরা অতীতকে তো আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বর্তমানে যা রয়েছে তাকে ঠিকিয়ে রাখতে পারলে এর কিছুটা ফল পওয়া যাবে। আমারা সকলে মুকি চিনি হয়তো।

এই অতি সুস্বাদু মিরকি কিন্তু খৈ আর গুর দিয়ে তেরি করা হয়। যাইহউক, এখন কার আধুনিক যুগের মানুষদের এসবের কথা হয়তো কখনো শোনেনি। গ্রাম বাংলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে নবান্নের সময় ধান আসে। সেই ধান থেকে আরো যে কতো ধরণের খাবার তৈরি হয়, তা হয়তো অনেকেই জানি না। কিন্তু গ্রামে যারা বসবাস করে তারা সকলেই এই সকল খাবার খেয়ে অভস্ত। তারা তাদের আতীতের বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব ভালো জানে। তবে বর্তমানের যে হারে মানুষ আধুনিক হচ্ছে,, তাতে মনে হয়, এই তুচ্ছ জিনিস গুলোর প্রচলন হয়ত আর দেখা মেলবে না। কারণ মানুষ নতুনকে পছন্দ করে, নতুন কোনো কিছু আসলে তারা আর পুরাতনটিকে আর মনে করতেই চায় না।

received_906978770358769.jpegreceived_223630923485748.jpeg

আগে যখন, শীতকালীন ছুটি দেওয়া হত,, তখন নানীর বাড়িতে গিয়ে খৈদিয়ে অনেকেই দুধ খেয়েছে। সেই সব আজ শুধু সৃতি, তবে আধুনিক যন্ত্র-পাতির কল্যানে এখনো খে ও মুড়ি টিকে আছে৷ শহরের মানুষও আজ এগুলো চিনতে শুরু করেছে। এখন মানুষ সকালে ও বিকালের নাস্তায় মুড়ু, চিরা কিংবা খৈ খায়। সেগুলো আমাদের এখন নিত্যদিনের খাদ্য আচরণ। হয়ত কোনো এক সময় আমরা আমদের সকল অতীকে হারিয়ে ফেলবো একদিন। কিন্তু যতদিন থাকবে ততদিন আমরা সেই গুলোকে স্মরণ করবো, এবং সেইগুলো রক্ষায় কাজ করবো।

received_922776449063193.jpegreceived_922901019072205.jpeg

সকলকে ধন্যবাদ
@naeem


Vote for @bangla.witness

Sort:  
 2 years ago 

খৈ খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। এখন ও অনেক অনেক অনুষ্ঠানে দই এর সাথে এই খৈ খেতে দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে।অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ধরনের।

 2 years ago 

গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো খই। খই খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আগে আমাদের বাসায় খই ভাঁজত। এখন সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। আগের মতো আর কেউ বাড়িতে বাড়িতে খই ভাঁজে না। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আর খই ভাঁজার চিত্র গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ

 2 years ago 

ধন্যবাদ

 2 years ago 

বাংলাদেশের এক ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম হলো খই।খই খেতে কাকে না ভালো লাগে।আমাকে তো সব থেকে বেশি ভালো লাগে খই খেতে। আগে প্রায় আমাদের বাড়িতে খই ভাজা হতো। আমার দাদী খই ভাজতো সেখানে বসে বসে আমি দেখতাম।যে কেমন করে খই ভাসতেছে। খই ভাজার পরপর গরম খইগুলো পরিষ্কার করে খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনি ঠিকই বলেছেন এখনো অনেক মানুষ মুড়ি ও খই খায়। এর মধ্যে আমি একজন তবে আমাদের বাড়িতে এখন আর তেমন কেউ ভাজে না। তাই খাওয়াও হয় না। খই নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন।খুব সুন্দর ছবিগুলো দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

Loading...
 2 years ago 

হয়ে আমাদের দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবারের মধ্যে অন্যতম। তবে এই ছবি বানানোর প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠিন এবং কষ্টসাধ্য। ধান থেকে খই হওয়ার পরে সেখান থেকে ধানের খোসা ছাড়ানোর প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে আমার কাছে মনে হয় জটিল একটি প্রক্রিয়া। খৈ এর চেয়ে মুড়ি বানানোর প্রক্রিয়ায় বেশি সহজ। আপনি প্রতিটি ধাপের ছবি সহ চমৎকারভাবে এই পোস্টটি করেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ধন্যবাদ

 2 years ago 

ধন্যবাদ

 2 years ago 

খৈ আমার পছন্দের একটি খাবার। আদিমকাল থেকে এই খৈ বাসায় ভাজা হয়ে থাকে। আমি ছোটবেলা থেকে সকালবেলার এই খই দিয়ে নাস্তা করতাম। আমার দাদি অনেকদিন ধরে এই খইয়ের ধান জমাই রাখত। আমাদের জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার খৈ। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

 2 years ago 

অনেক দিন ধরে খই খাওয়া হয়নি। খই দেখে জিবে জল চোলে আসল। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।এটি আমাদের গ্রামঅঞ্চলের ঐতিহ্য। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

 2 years ago 

গ্রামের মানুষের প্রিয় খাবার হলো খই, এটি গ্রামের মানুষের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো এই খই। বিকালের নাস্তা করতেও এ খাবার খাওয়া হয়। চানাচুর দিয়েও এই মুড়ি খাওয়া যায়। আপনি মুড়ি তৈরি করার পুরা প্রক্রিয়া অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এবং ছবিগুলো অসাধারণ তুলেছেন। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

ধন্যবাদ

 2 years ago (edited)

ছোটবেলা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম, তখন দেখতাম প্রায়ই এরকম ধান থেকে খৈ ভাজা হতো। খৈ এর স্বাদ সত্যিই অসাধারণ। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেকদিন পর খৈ ভাজা দেখতে পেলাম। আপনি লিখেছেন ভালো কিন্তু ভাই পোস্ট কোয়ালিটির উন্নতি করতে হবে। শুভকামনা রইল

 2 years ago 

অসাধারণ পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। খই খেতে আমারও ভালো লাগে। সারা বাংলাদেশে বিন্নি ধানের খই অনেক পরিচিত । গ্রামের বাড়ি গুলোতে খই বাড়িতেই ভাজা হয় এবং বিক্রিও করা হয়। খই দিয়ে মুড়কি তৈরি করা হয়। যা বাজারে বেশ কদর রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে অন্য রকম একটি পোস্ট অসাধারণভাবে গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 67368.20
ETH 2618.26
USDT 1.00
SBD 2.68