গ্রামবাংলায় ফসলি জমিকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয় কাকতাড়ুয়া।

in Steem For Traditionlast year (edited)


স্টিম ফর ট্রেডিশন

InCollage_20230824_154144162.jpg


ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে


আসসালামালাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি ভাল আছেন। আজকে আমি গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য কাকতাড়ুয়া সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে আমার পোস্ট।


InCollage_20230824_161348663.jpg



20230824_153713.jpg20230824_153651.jpg

আমাদের বাংলাদেশ হলো কৃষি প্রধান দেশ।এই দেশের মানুষ অনেকেই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা শুধু যে ধান আবাদ করেন তা নয় ধান ছাড়াও এদেশে অনেক মৌসুমী ফসল হয়ে থাকে। যেমন, আলু ,পটল, বেগুন,ভুট্টা আরো অনেক কিছুই। এসব ফসল সাধারণত উঁচু মাটিতে ফলানো হয়।তাই পশু পাখির অনেক ঝুঁকি থাকে এসব ফসলি জমিতে। কারণ বিভিন্ন রকম পশু পাখি ফসলি জমিতে অনেক ক্ষতি সাধন করে। তাই কৃষকেরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে এসব পশুপাখিকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করে থাকেন।


3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPg13dbw9cQZbWBAMsz6ohqaqkrCm7KQkkehxGNGyBHUtdhA93eZcSchXaVXZysREMB8zjUwUs3U28Dgq5...6GDBNJCmAd5JNGWLPSkuM888uyEzyBgMoeFJwAqVPrXj9kr2ZxfAAZ52YNYHTgxako2YfB8eBek887u6aX6V6xSrNFswxpNSqg9oo9aGj9PXQiHCj9R7TnZTvn.png


20230824_153651.jpg

ফসলি জমি থেকে পশু পাখি তাড়ানোর এক অন্যতম ব্যবস্থা হলো কাকতাড়ুয়া।কাকতাড়ুয়া তৈরি করে জমিতে লাগিয়ে দেওয়া। প্রাচীনকালের এক অন্যতম ঐতিহ্য হলো এই কাকতাড়ুয়া।সেই প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকেরা এটি ব্যবহার করে আসতেছেন। বিশেষ করে পাখিদের হাত থেকে ফসল কে রক্ষা করার জন্য এই কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মূর্তি যেমন করে তৈরি করা হয় অর্থাৎ মাটির মূর্তি গুলো তৈরি করার মতোই এটি তৈরি করা হয়।মাটির মূর্তির মূল ভিত্তি হল বাঁশ,খড়, মাটি ছাড়াও আরো অনেক জিনিস। তবে এই কাকতাড়ুয়াতে শুধুমাত্র খড় ও বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা হয়।

আমরা জানি কাকতাড়ুয়া দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো পশুপাখি তাড়ানোর জন্য। পশুপাখিরা যখন দূর থেকে এই কাকতাড়ুয়াকে দেখেন তখন যেন মনে হয় একটি মানুষ দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। তাই তারা সেই কাকতাড়ুয়ার কাছে আসতে চায় না অর্থাৎ তারা সেটিকে মানুষ মনে করে চলে যায়। ছোটবেলায় কাকতাড়ুয়া দেখতে অনেক ভয়ঙ্কর লাগতো আমাকে। আমাদের এদিকে কাকতাড়ুয়াকে মানুষের মতো করে সাজানো হয়।শার্ট পরে দেওয়া হয়, প্যান্ট পরানো হয়। আবার অনেকে তো চশমা পরিয়ে দেয় কাকতাড়ুয়ার মুখমণ্ডলে।


20230824_153632.jpg


কয়েকদিন আগে আমি আমাদের ধানক্ষেত দেখার জন্য গিয়েছিলাম আমাদের জমিতে।সেখানে আমি পাশের জমিতে লক্ষ্য করি যে আমার এক চাচা তার জমিতে তিনি অনেক বেগুন লাগিয়েছেন। আমি মাঝখানে লক্ষ্য করি যে একটি কাকতাড়ুয়া দাঁড়িয়ে আছে। আমি সেখানে যাই এবং বেগুনের ফুল ও কাকতাড়ুয়ার অনেক ফটোগ্রাফি করি।কাকতাড়ুয়াটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো আমাকে। যদিও ছোটবেলায় দেখে অনেক ভয় করতাম তবে এখন আর তেমন ভয় নেই। কারণ এর ভেতর তো আর জীবন নেই শুধুমাত্র একটি জড় পদার্থ এটি।


20230824_153616.jpg20230824_153555.jpg
20230824_153539.jpg20230824_153523.jpg

আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে এই কাকতাড়ুয়া দিন দিন বিলুপ্তির পথে। এখন আর তেমন দেখা যায় না। বর্তমানে কাকতাড়ুয়া দেখলে আমার নবম দশম শ্রেণীর বইয়ের সেই কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের কথা মনে পড়ে যায়। যেটি লিখেছিলেন সেলিনা বেগম।

যাইহোক আপনাদের সবাইকে কেমন লেগেছে আমার পোস্ট অবশ্যই আপনারা কমেন্টে জানাবেন। আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি।

Black & White Minimalist Business Logo.png


You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

Sort:  
 last year 

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। কাকতাড়ুয়া আমাদের গ্রাম অঞ্চলের একটা ঐতিহ্য বহন করে। গ্রামের কৃষকেরা তাদের ফসলি জমিতে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখতেন। যেন পশুপাখি ভয়ে এই ফসলি জমিতে প্রবেশ না করে এবং ফসলগুলো ঠিক থাকে। আমিও ছোটবেলায় কাকতাড়ুয়া খুব ভয় পেতাম। আর সেলিনা বেগমের উপন্যাসটি আমরা সবাই পড়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

 last year 

কাকতাড়ুয়া নিয়ে আপনি দারুন লিখেছেন।এই জিনিসটি ছোটবেলায় আমার খুবই ভয় লাগতো। আর আমি তখন জানতাম না যে এটি কেন লাগানো হয়। কাকতাড়ুয়া উপন্যাসটি আমিও পড়েছি। এগুলো মূলত ফসলে পাখি তাড়ানোর জন্য লাগানো হয়। তবে আমার মনে হয় এমন মানুষের প্রতিকৃতি তৈরি না করাই উচিত। তবে আপনার ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

 last year 

কাকতাড়ুয়া, ফসলকে পশুপাখির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কৃষক জমিতে রাখে। কাকতাড়ুয়া বহু আগে থেকে ফসলের জমিতে রাখা হয়। এটি আমাদের অনেক পুরাতন ঐতিহ্য । অনেক পর কাকতাড়ুয়া দেখলাম আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে। তবে বর্তমানে কাকতাড়ুয়া বিলুপ্ত পথে, আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই, ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো অনেক দিন পর কাকতাড়ুয়া দেখতে পেয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

ফসলের জমিকে পাখি হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এরকম কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করা হয়। কাকতাড়ুয়া সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

 last year 

গ্রামে বা শহরে কাকতাড়ুয়া ফসলি জমিতে দেখা যায়।আমি ছোট বেলায় কাকতাড়ুয়া দেখে ভয় পেতাম।তখন জানতামনা যে এটা পশু পাখি তাড়ানোর জন্য দাড়িয়ে রাখা হয়।ফসলের হেফাজতের জন্য এটি দেয়া হয়,যাতে পশু পাখি ভয়ে চলে যায়।আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে কাকতাড়ুয়া খুব কম দেখা যায় কারণ পশু পাখি তাড়ানোর জন্য অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ভাবে।আপনার পোস্টটি পড়ে ছোট বেলার ভয়ের কথা মনে পরে গেলো।অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

 last year 

জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন ফসলি জমি থেকে পশু পাখি তাড়ানোর জন্য কৃষকরা অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো এই কাকতাড়ুয়া। এই কাকতাড়ুয়াকে হঠাৎ করে দেখলে মানুষের মতোই মাঝে মাঝে মনে হয়। কাকতাড়ুয়া সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Loading...
 last year 

কাকতাড়ুয়া গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে একটি অতি পরিচিত বস্তু। বিভিন্ন সবজি খেতে এই কাকতাড়ুয়া দেখতে পাওয়া যায়। কাকতাড়ুয়া দেওয়ার কারনে বিভিন্ন ধরনের পাখি মনে করে জমিতে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে তাই ফসলের জমিতে নেমে কোনো ক্ষতি করতে পারে না। আপনার কাকতাড়ুয়ার ছবি দেখে প্রথমেই আমার কাকতাড়ুয়া গল্পের কথা মনে হয়েছে। অনেক সুন্দর লিখেছেন কাজি ভাই।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

 last year 

আমরা জানি কাকতাড়ুয়া দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো পশুপাখি তাড়ানোর জন্য। পশুপাখিরা যখন দূর থেকে এই কাকতাড়ুয়াকে দেখেন তখন যেন মনে হয় একটি মানুষ দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।

আপনি সঠিক বলেছেন ভাইয়া কাকতাড়ুয়া দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো জমি কে পশুপাখির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। আসলে পশুপাখিরা অনেক সময় ফসলি জমির অনেক ক্ষতি করে ফেলে। তাই নিজেদের জমিকে রক্ষা করতে তারা মানুষের আকৃতির এই কাকতাড়ুয়া তৈরি করে থাকে। যাতে করে দূর থেকে পশুপাখিরা মনে করে সেখানে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে আর ভয় পেয়ে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর একটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য