আমার এলাকার একটি পুরাতন স্থাপন | | তাজহাট জমিদার বাড়ি
আ শা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সেলিম ভাইকে এতো সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। আজকের প্রতিযোগিতার বিষয় আপনার এলাকার একটি পুরাতন স্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা। তো চলুন বন্ধুরা আমার এলাকার একটি পুরাতন স্থাপন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
|
---|
রংপুর দিনাজপুরের এমন কোনো মানুষ নেই যে তাজহাট জমিদার বাড়ি সম্পর্কে জানে না। রংপুরের মধ্যে।এটি একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ও পুরাতন স্থাপনা। এই জমিদার বাড়িটি রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাত্র ২.২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একসময় এটি হাইকোর্ট হিসাবে ব্যবহার হলেও এখন এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে পুরানো যুগের অনেক জিনিসপত্র সংরক্ষিত আছে। এই জমিদার বাড়ির ভিতরে মানে যাদুঘরের ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ সেখানে পুলিশ পাহাড়া থাকে না হলে অবশ্যই যাদুঘরের ভিতরের ছবি তুলে আপনাদের দেখাতাম সেখানে কোন কোন যুগের নিদর্শন আছে।
|
---|
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা কুমার গোপাল রায়ের তত্ত্বাবধানে ১০ বছর ধরে এই প্রসাদটি নির্মিত হয়। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এই প্রাসাদটি রংপুর হাইকোর্ট হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিলো। প্রেসিডেন্ট এরশাদ বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীয়করনের লক্ষ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরে হাইকোর্ট বিভাগের আঞ্চলিক বেঞ্চ স্থাপন করেন যার একটি রংপুরে স্থাপিত হয়েছিলো। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রাসাদটিকে একটি সংরক্ষিত স্থাপনা হিসাবে ঘোষনা করে। বাংলাদেশের সরকার এই স্থাপত্যের গুরুত্ব অনুধাবন করায় ২০০৫ সালে রংপুর জাদুঘরকে স্থানান্তর করে এই প্রাসাদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে আসেন।
|
---|
বিশাল এই প্রাসাদটি ২১০ ফুট প্রসস্ত ও চারতলার সমান উচু। কিন্তু আসলে এটি ২তলা। এই প্রাসাদের নীচে অনেকগুলো গম্বুজ আছে। প্রাসাদটিতে মোট ৩১ টি সিড়ি আছে যেগুলো ইতালীয় ঘরনার মার্বেল পাথরে তৈরি। সিড়ি থেকে জাদুঘর পর্যন্ত মেঝের পুরোটাই একই পাথরে তৈরি। এই প্রাসাদে এই গোপন সিড়িও আছে তবে নিরাপত্তার কারনে বর্তমানে এটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ২ তলা মিলে প্রাসাদটিতে মোট ২২ টির মতো কামরা আছে। প্রাসাদটির খোলা প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত "U" আকৃতির মতো করে নকশা তৈরি করে। প্রাসাদের সিড়িতে উঠার আগে একটি বিশাল গেট আছে।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩ |
---|---|
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | তাজহাট, রংপুর। |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভূল-ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য @newtonb, @ogechukwu-martha এবং @weisser-rabe কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। |
---|
সত্যিই এটি রংপুর বিভাগের অন্যতম একটি ঐতিহ্য। রংপুরের তাজহাট জমিদার বাড়ি সবাই এক নামে চেনে। আমি কয়েকবার সেখানে গিয়েছিলাম। বেশ ভালো লেগেছে আমাকে চারপাশের পরিবেশটা। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি ভাই আর লিখেছেন অনেক সুন্দর। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/saikat01718/status/1699086313604141499?t=s-4LZDCXbBI4ji5MPrEtkQ&s=19
আপনি অনেক ভালো মানের ছবি তোলেন।তাজহাট জমিদার বাড়িতে আমার কখনো যাওয়া হয় নি। জাদুঘর হিসেবে আমার মনে হয় সবথেকে সুন্দর একটি জায়গা হলো জমিদার বাড়ি। রংপুরের এতো পুরাতনএকটি স্থাপনা এখনো দেখতে এতো সুন্দর দেখে অবাক হয়ে গেলাম ভাই। আপনি জমিদার বাড়ি নিয়ে সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
আপনার এলাকার পুরোনো স্থাপনা তাজহাট জমিদার বাড়ি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এরকম পুরানো জমিদার বাড়ি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। অনেক পুরনো স্থাপনা হলেও দেখে নতুন নতুন লাগতেছে। এছাড়াও আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
প্রথমে আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার এলাকায় অবস্থিত রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি নিয়ে অনেক সুন্দর ও বিস্তারিত একটা আলোচনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রংপুরের বিনোদন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। আমি এখনো অব্দি রংপুর বাসার জমিদার বাড়ি দুইবার গিয়েছিলাম। আমার কাছে বিনোদন কেন্দ্রটি অনেক ভালো লেগেছে। আপনি এই বিনোদন কেন্দ্রের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেগুলো আমার জানা ছিল না। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
তাজহাট জমিদার বাড়ি সম্পর্কে দারুন উপস্থাপন করেছেন ভাই, আমি তাজহাট জমিদার বাড়িতে গিয়েছিলাম ২০১৯ সালে, বেশ ভালো লেগেছিলো। পুরাতন জমিদার বাড়ি হলেও সাজসজ্জায় ভরপুর এই জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়িতে অনেক দর্শনীয় জিনিসপত্র রয়েছে, যা অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। আপনি তাজহাট জমিদার বাড়ির ইতিহাস তুলে ধরেছেন, আবারো যাবো রংপুর গেলে এই জমিদার বাড়ি দেখার জন্য। আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
তাজহাট জমিদার বাড়ির সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এটি "একসময় এটি হাইকোর্ট হিসাবে ব্যবহার হলেও এখন এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে" এবং এটি এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে এখানে প্রায় অনেক পর্যটকরা ঘুরতে আসে জায়গাটি দেখার জন্য। এবং জায়গাটি দেখতে অনেক সুন্দর। আমরা এখবার দেখতে গিয়েছিলাম এখানে একান্ত অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
তাজহাট জমিদার বাড়ি নিয়ে আপনি বেশ চমৎকার কিছু তথ্য এবং সুন্দর সুন্দর ছবিগুলো তুলে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনি এই জমিদার বাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারণা আমাদের দিয়েছেন। আমি কখনো এই জমিদার বাড়ি দেখতে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। তবে রংপুরে বেশ যাওয়া হয় কিন্তু এই জমিদার বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার সময় কখনো হয়নি। কোন সময় সুযোগ হলেও ইচ্ছে হয়নি যে এখান থেকে ঘুরে আসি। এই জমিদার বাড়ি সম্পর্কে অনেক তথ্য আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে আমি জানতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
রংপুরের ঐতিহ্যবাহী তাজহাট জমিদার বাড়ি নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়িতে আমি একদিন গিয়েছিলাম। কলেজ ট্যুরে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। তবে এর জাদুঘরের ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ। তাছাড়া জমিদার বাড়ির আশেপাশের প্রকৃতি অনেক সুন্দর। আমরা এর চারিদিকের আশপাশ ঘুরে দেখেছি। এর চারিদিক গাছপালা ও ফুল গাছ দিয়ে পরিপূর্ণ। আপনি অনেক সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিগুলো দেখেই বোঝা যায় আপনি একজন ভালো মানের ফটোগ্রাফার। এখানকার ভবনটি দেখতে খুবই সুন্দর। আর এর সিঁড়িগুলোতে বসে আমরা সবাই মিলে ছবি তুলেছিলাম,যেটা কলেজের ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু