Steem bangladesh Contest || Science Technology and Computing || Science || 2nd March 2022 Eng.
বিজ্ঞান
সারাবিশ্বে আধুনিক বিজ্ঞান এমন কিছু গবেষণা করেছে যে তা আমরা কখনো ভাবতে পারেনি আসুন আমরা জেনে নেই বিজ্ঞানের কিছু মহৎ সাফল্য।
সৌরজগতের চেয়েও পুরনো কণা আবিষ্কার
আমাদের চিরচেনা সূর্য জন্ম নেওয়ার আগে একটি মৃতপ্রায় অবস্থায় থাকা নক্ষত্র তার ভেতরের পর্দাগুলো মহাশূন্যে ছড়িয়ে দিচ্ছিলো। এরকম পদার্থের কিছু অংশ একটি উলকায় আটকা পড়ে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল। উল্কা টির মাঝে অন্যান্য পাথরের সাথে মৃত নক্ষত্রের কনা একত্রিত হয়ে ১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার আকাশে প্রবেশ করে এর নাম দেওয়া হয়েছিল মারচিসন উল্কা। এ উল্কা কে নতুন করে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা নক্ষত্রের কনাটি খুঁজে পেয়েছেন জেটি 4.6 বিলিয়ন থেকে 7 বিলিয়ন এর মাঝামাঝি পুরনো হবে। সম্পূর্ণ উল্কা টির মাত্র 5 শতাংশ জুড়ে এই কনা বিরাজ করছে জাদুর বে আট মাইক্রোমিটার এর কাছাকাছি হবে অর্থাৎ এটি মানুষের চুলের প্রস্থের চেয়েও ছোট। পরিমাণে তা অতি সামান্য হ্যালো বিজ্ঞানীদের কেতা নিরুৎসাহিত করতে পারেনি। আমাদের গ্যালাক্সির ইতিহাস বুঝতে এই ক্ষুদ্র কণা টি সাহায্য করতে পারে।
ডাইনোসরের ভ্রুন আবিষ্কার
গবেষকরা টিরানোসর ডাইনোসরের ভ্রূণের কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছেন। তবে এই ভ্রূণগুলো দুটি ভিন্ন জায়গায় খুঁজে পাওয়া গেছে,2018 সালে কানাডার আলবার্টাতে ভ্রূণের ভেতরে অপরিপক্ক ডায়নোসরের পায়ের থাবা পাওয়া গিয়েছিল,এর আগে 1983 সালে মাল্টায় নিচের চুল পাওয়া গিয়েছে বিশ্লেষণে বের হয়েছে ভ্রূণ গুলো 71 থেকে 75 মিলিয়ন বছরের পুরনো। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এগুলোকে ভ্রুণ হিসাবে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এই আবিষ্কারের ফলে জানা গেছে টিরানোসররা বিস্ময়কর ভাবেই অনেক ছোট আকারে জন্ম নেয় যার দৈর্ঘ্য প্রায় তিন ফুট। চিহুয়াহুয়া প্রজাতির কুকুরের আকার হলো তাদের বেশ লম্বা লেজ ছিল,অবশ্য এই আকারটি একটি পরিপূর্ণ টিরানোসরাস দশভাগের একভাগ।এই আবিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীরা এখনো অন্য কোন ভ্রুন খুঁজে পাননি কেন সেই রহস্যের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে বেশিরভাগ গবেষক ঐ এত ছোট আকারের ডাইনোসর খোঁজার চেষ্টা করেননি।
ল্যাবে উৎপন্ন মাংস আবিষ্কার
এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে পৃথিবীর জনসংখ্যার 9 বিলিয়ন স্পর্শ করবে। এত বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য জীবন বৈচিত্র ধ্বংস না করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গুণাগুণ সমৃদ্ধ খাবারের যোগান কোথা থেকে আসবে? ইতিমধ্যে মুরগি এবং ট্রাকের মধ্যে যে পরিমাণ বায়োম্যাস তা অন্য সব পাখি কে ছাড়িয়ে গেছে। যেসব প্রাণী আমরা খাই তাদের বায়োম্যাস বনের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের তুলনায় 10 গুণ বেশি। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে খাদ্য বিজ্ঞানে উদ্ভাবন প্রয়োজন। তবে কিছু সম্ভাব্য পদ্ধতি নিয়ে এর আগে কাজ হয়েছে পোকামাকড় কে উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের উপর অন্তন করা এমন একটি প্রচেষ্টা 2015 সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় এ কোম্পানি ভেজিটেবল প্রোটিন থেকে কৃত্রিম মাংস তৈরি করেছে। তারা সে সময় থেকেই এই মাংসের বার্গার বিক্রি করে আসছে। কিন্তু মাংস প্রিয় মানুষের রুচি পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারেনি এই বার্গার। বায়োকেমিস্ট্রি বছরে চমৎকার একটি উপায় দেখিয়েছেন। প্রাণীদেহের কিছু কোষ নিয়ে উপযুক্ত পরিপোষক পদার্থ দিয়ে যে সেখানে মাংস উৎপন্ন করা সম্ভব। কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টারডাস্ট দাসের প্রস্তুত করা এরকম কালচারড মাংসকে সিঙ্গাপুরের ফুট রেগুলেটরি এজেন্সি অনুমোদন দিয়েছে। এই ধরনের মানুষের বিকল্প আমাদের খাদ্যাভাসে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।এই পদ্ধতির আবার বাস্তুসংস্থান গত উপকার রয়েছে। ফ্যাক্টরিতে প্রাণীদেরকে যেভাবে বড় করা হয় এটা অনেকেই অনৈতিক হিসেবে বিচার করে সে ক্ষেত্রেও ল্যাবে তৈরি মানুষ একটি বড় ধরনের নেতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
বন্ধুরা বিজ্ঞান নিয়ে এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়, আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।
আমি @avibauza ও @maulidar এই দুইজনকে এই কনটেন্টটিতে অংশগ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
La tecnología ha tenido muchos avances interesantes, gracias por la invitación 😊.
Thank you.
ওয়াটারমার্ক ফ্রী ছবি ব্যবহার করুন। আপনার পোস্টটি ডিসকোয়ালিফাইড। ধন্যবাদ।
Ok its my mistake.thank you.
অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই।
Thank you .
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER: