The Diary Game:: August 10, 2020 :: যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।
সেই যে রাতে ঘুমিয়েছিলাম তারপর ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই ফোন হাতে নিয়ে স্টিমিটে ঢুকে পরি। ঘড়ির কাটার দিকে খেয়ালেই ছিল না। আসলে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়েই ঘুম ভাঙ্গে। সেই ধান্দায় ছিলাম।
হঠাৎ করে আবিষ্কার করলাম সকাল ১০:১৭ মিনিট। ফোন রেখে ধরপরিয়ে উঠলাম। ব্রাশ তোয়ালা লুঙ্গি নিয়ে সোজা দৌড় গোসল খানায়। ১০ মিনিটের মধ্যেই সব কিছু সেরে কাপড় চোপড় পরে মানিব্যাগ চাবি সানগ্লাস নিয়ে দৌড়।
-কিরে নাস্তা খেয়ে যা।
-না মা, সময় শেষ। স্টুডেন্ট অপেক্ষা করতেছে।
-আরে শুনে যা। এইভাবে না খেয়ে যাইতে হয় না ।
-মা, সম্ভব না। আমি বাইরেষনাস্তা করে নিব।
বাইরে এসে রিক্সায় উঠে পরলাম। আমার এলাকার রিক্সাওয়ালাদের বলতে হয় না । তারা সবাই জানে সকাল সকাল আমার গন্তব্য স্থল কোথায়।
যাক অনেক দেরি হয়ে গেছে ১০:৪৫ মিনিট। যেতে যেতে পোস্ট অফিসের কাছে আসতেই পড়লাম বিপাকে। রেল ক্রসিং এ আটকে গেলাম। মাল গাড়ি ট্রেন যাবে। মাল বললে আবার আমরা অন্য কিছু বুঝি। যাই হোক মাল গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের পন্য সরবরাহ করা হয়। এই গাড়ি খুব ধীর গতিতে চলে আর অনেক গুলো বগি থাকে। যাক এই ক্রসিং এ আটকে গেলাম পুরো পুরি। ১৫ মিনিট সময় সেখানেই গেলো।
বুঝেন মেজাজটা কি আর ঠিক থাকে। তারপরেও ঠিক রাখতে হয়। যাক অবশেষে সেন্টারে আসে দেখি স্টুডেন্টরা দাঁড়ায় আমার অপেক্ষা করতেছে। তারাহুরা করে সেন্টার খুলে পরিস্কার করে ক্লাস শুরু করি।
আমি খুব রসিক মানুষ। স্টুডেন্টদের ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে রসিকতা করাটা আমার অভ্যাস । এতে স্টুডেন্টদের মন ভালো থাকে।ক্লাস করে আনন্দ পায়। আসলে আমাদের প্রতিটা কাজেই আনন্দ খুঁজে নেওয়া উচিত। ব্যবস্যা করবেন সেটাতে আনন্দ খুঁজে নেওয়া উচিত, চাকরী করবেন সেটাতে আনন্দ খুঁজে নেওয়া উচিত, আপনি হাউজ ওয়াইফ, বাসায় কাজ করেন সেটাতে আনন্দ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবেন পড়া শুনা করলে পড়াশুনার মধ্যে আনন্দ খুঁজে নেওয়া উচিত। যদিও বা আমি সেটা করতে পারি নিই বলে স্কুল কলেজে গ্রেট ফাঁকি বাজ নামেই স্যারদের কাছে সুপরিচিত ছিলাম। যাই হোক প্রতিটা কাজেই নিজ নিজ স্থান থেকে আনন্দ খুঁজে বার করতে পারলেই আপনি সফল ভাব।
এরই মধ্যে বনফুল হোটেলে গিয়ে রাস্তাটা সেরে ফেলেছি । জোহরের আজান হচ্ছে নামাজে যেতে হবে তাই স্টুকে রাখে নাই আদায় করে আসলাম। মসজিদ প্লাজার তৃতীয় তলায়। নামাজ শেষে মসজিদের প্রবেশ পথে আল্লাহ্ পদত্ত শীতল বাতাসটি উপভোগ করার মত। সেখানে কিছুক্ষন থেকে চলে আসলাম নিজের অফিসে।
আগে বিকালে কোচিং থাকতো ৩ টা বাড়লেই কোচিং এ চলে যেতাম। কিন্তু কোভিড-১৯ এর আক্রমনের সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হাট বাজার বিভিন্ন অফিস সব কিছু খুলে দেওয়া হলেও এখনো স্কুল কলেজ ভর্সিটি আর কোচিং সেন্টার গুলো খুলে দেয় নিই সরকার।
যাক বিকাল চারটা হয়ে গেছে। এখন বাসায় যাওয়ার পালা। আজকে একটু আবহাওয়া ভালো। বৃষ্টি নেই তবে মেঘাচ্ছন্ন। তাই হেঁটেই রওনা দিলাম। মাঝে মধ্যে হাঁটতে ভালোই লাগে।আর যদি মেঘাচ্ছন্ন আকাশ হয়।
বাসায় গিয়ে দুপুরের লাঞ্চ শেরে আসরের নামাজ আদায় করে একটু রেস্ট। আসর হতে মাগরিবের সময় টা খুব কম। তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই মাগরিবের আজান সাথে সাথে নামাজ ও আদায় করে নিলাম। সন্ধ্যায় একটু চা নাস্তা খাওয়া অভ্যাস আমাদের। যথারীতি চা নাস্তা খাওয়া শেষ করলাম।
আজ রাতে ১০:৩০ মিনিটে steem-bangladesh কমিউনিটির ডিসকোর্ডে ভয়েস মিটিং ছিল তাই রাতের ডিনারটা দ্রুত শেরে ডিসকোর্ডে উপস্থিত হই।
সময় স্বল্পতার কারনে ডিসকোর্ড মিটিং শেষে ইসার নামাজ আদায় করে শুয়ে শুয়ে আজকে পোস্ট লিখে ফেললাম।


Good work brother
Thank you brother.....