1000 DAYS OF STEEM:_The Diary Game - 13/08/2020
আসসালামুআলাইকুম
আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আর আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি।
প্রতিদিনের মত আজকেও সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম। আজকে ঘুম থেকে উঠতে একটু বেশি দেরি হয়ে গেল। সকালে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৮:৩০ বাজে। সাধারণত আমি সাতটার আগেই উঠে পরি। কিন্তু কেন জানিনা আজকে ঘুম ভাঙতে একটু বেশি দেরি হয়ে গেল। যাইহোক ফ্রেশ হলাম তারপর সকালের নাস্তাটা সেরে ফেললাম। সকালের নাস্তায় ছিল :-
• ডাল ভর্তা
• ডিম ভাজি
• পরোটা
আজকের ডিমটা আমার নিজেরই ভাজি করে খেতে হয়েছিল।কেননা আমি ডাল ভর্তা দিয়ে খেতে চাইনি বলে এটা আমার শাস্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। অবশ্য ডিম ভেজে খেলাম সাথে পরে ডাল ও খেয়েছি। ডালটা মজার ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আমার রুমে চলে এলাম। আর প্রতিদিনের মত আজও অনলাইনে বসে পরলাম।কিছুক্ষণ ফেইসবুকিং করলাম তারপর ইউটিউবে কিছু মজার ভিডিও দেখলাম।এভাবে অনলাইনে ঘুরতে ঘুরতে কখন যে ১২:০০ বেজে গেছে বুঝতেই পারিনি। এরপর অনলাইন থেকে বের হয়ে মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে দিলাম। আর একটু বাইরের আবহাওয়া টা উপভোগ করতে বেরিয়ে পরলাম। আজকের আবহাওয়াটা অনেকটা গরম। তাই বাইরে থেকে আবারও রুমে চলে আসলাম। এসে দেখলাম আমার ফোন বাজছে। ফোনটা রিসিভ করলাম আব্বু ফোন দিয়েছিল দোকান থেকে। বলল দোকানে আসো একটু কাজ আছে।
যেই কথা সেই কাজ চলে গেলাম দোকানে । আর কিছুক্ষণ কাজ করলাম।
আসলে আমাদের দোকান টা হচ্ছে একটা ওয়ার্কশপ। যেখানে লোহা ও স্টিল দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র দরজা-জানালা সহ আরো অনেক কিছু তৈরি করা হয়। আমরা সাধারণত প্রথমে অর্ডার নেই নিয়ে মাল কিনে তারপর কাজ করে দিয়ে মজুরি নিয়ে থাকি। আমাদের এই ব্যবসাটা মোটামুটি বেশ ভালোই লাভজনক। যাই হোক কিছুক্ষণ পর আব্বু বলল তার একটি ইমারজেন্সি কাজ আছে তাই তাকে শহরের দিকে যেতে হবে। আমি যেন দুপুরে বাসায় খেয়ে আসি এসে দোকান আজকের মতো দেখাশুনা করছি।
আমিও তাই করলাম আব্বু চলে গেল আর আমি দোকানে কাজ করতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পর জহর আজান দিল। তখন কাজ বন্ধ করে দোকানের কর্মচারী কে বললাম আপনি খেয়ে আসেন হোটেল থেকে টাকা দিয়ে দিলাম।তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে সে হোটেল থেকে খেয়ে আবারো দোকানে চলে এলো।তখন তাকে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে আমি বাসায় চলে এলাম দুপুরের খাবার খেতে। বাসায় এসে গোসল সেরে নিলাম। তারপর দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিলাম। খাবার শেষ করে আমি আমার রুমে চলে গেলাম কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার জন্য। রেস্ট নিতে নিতে পাটাত করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর আবার মোবাইলে কল আসলো সেই কলেজ রিং টোনেই আমার ঘুম ভেঙে গেল।এক বন্ধু কল দিয়েছিল বলল তার বাসায় যেতে হবে কালকে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে যাবো। এরপর ফোনটা রেখে দিল। ফোনটা রেখে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম।
অনেকক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর আবারও উঠে রওনা হলাম দোকানের উদ্দেশ্যে। তারপর আবারো দোকানে চলে এলাম এবং কাজ করতে লাগলাম। যদিও আমার দোকানের সব কাজ করতে পারিনা আমি। তবুও আমি দোকানে থাকলে সব কাজ খুব তাড়াতাড়ি হয়।কেননা আমি দোকানে থাকলে কর্মচারী সহজে কাজে ফাঁকি দিতে পারেনা।আর যদি দেখে কেউ দোকানে নেই তাহলে আর কি কাজে ফাঁকি দিয়ে যত আইস করা যায়। তাই আমি সুযোগ পেলেই দোকানে এসে দোকান দেখাশোনা করি। যাইহোক এরপর কর্মচারীদের তাজ বুঝিয়ে দিলাম সে তার কাজ করতে লাগল আর আমি আরেকটা কাজ করতে লাগলাম। কিছুদিন আগেই চলে গেছে ঈদুল আযহা।ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর দোকান খোলা হয়েছে তাই এখন দোকানে কাজের চাপ অনেকটাই বেশি। তাই কর্মচারীর সাথে সাথে আমারও বেশ ভারী পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
এভাবে কাজ করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে এলো। কর্মচারীর বলল এখন আমি বাসায় যাব বেশি রাত হলে গাড়ি পাওয়া যাবে না। কর্মচারীর বাড়ি অনেকটা দূরে তাই আমিও আর আপত্তি করলাম না। তাকে তার ডাকা বুঝিয়ে দিয়ে ছেড়ে দিলাম। সে টাকা নিয়ে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হল।তারপর আমি আস্তে আস্তে ঢোকান মেয়েদের সবকিছু গুছিয়ে দোকান বন্ধ করে ফেললাম। দোকানটা বন্ধ করে মোটরসাইকেল স্টার্ট করে একটু বাজারের দিকে চলে এলাম।কেননা বাসা থেকে বলে দিয়েছিল ডিম ও কাঁচামরিচ শেষ হয়ে গেছে। তাই আমি বাজারের দিকে এসে ডিম ও কাঁচা মরিচ কিনলাম। এরপর এগুলো নিয়ে বাসায় চলে গেলাম।
বাসায় আসার পর মুখ হাত ধুয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম। শেষ হবার পর আমি আমার রুমে গিয়ে মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে দিলাম। তারপর খাবার রুমে এসে রাতের খাবার টা সেরে ফেললাম। রাতের খাবারে ছিল:-
• ভাত
• লাউ শাক ভাজা
• করোলা ভাজি
• মাছের ডিম ভাজি
মাসির ডিম ভাজি টা খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। তাই ভরপেট হবার পরও আরো কিছু মাছের ডিম আমি এমনি এমনি ভাত ছাড়াই খেয়েছি। তারপর বুঝতে পারলাম একটু বেশি খাওয়া হয়ে গেছে।কি আর করার আছে যেহেতু ফেলেছি হজম তো করতেই হবে। তাই রুমে চলে গিয়ে শুয়ে পড়লাম টান হয়ে। কিছুক্ষণ রেস্ট নেওয়ার পর বুঝতে পেলাম এখন বেশি টুকু হজম হয়ে গেছে।তারপর পথে একটু বাইরে থেকে হাঁটাহাঁটি করে এসে আবারো মোবাইলটা হাতে নিয়ে অনলাইনে ঢুকে পড়লাম। অনলাইনে ঘুরতে ঘুরতে প্রায় রাত ১১:৪০ বেজে গেল। তারপর অনলাইন থেকে বের হয়ে ফোনটা চার্জে লাগিয়ে বিছানাটা ঠিক করলাম। এবং মশারিটা টানালাম । গতকাল মশারি না টানিয়ে ঘুমিয়েছিলাম সকালে উঠে দেখি হাত পা ফুলে গেছে মশার কামড়ে। তাই আজকে আর ওই ভুলটা করলাম না মশারিটা টানিয়ে তারপরে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পরলাম।
Thank you @steemitblog and @steemitcurator1 for creating this excellent challenge.
Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.
Keep following @steemitblog for the latest updates.
The Steemit Team
Thank you for your support @steemcurator01.
ভাই আপনার কয়েক জায়গায় ইম্পরট্যান্ট কিছু বানান ভুল হয়েছে, যেমন টাকা কে ডাকা লিখছেন৷ দোকান কে ঢোকান লিখছেন।
আসলে ভাই টাইপিং করতে হয়ত মিসটেক হয়ে গেছে খেয়াল করিনি।