অচেনা পথিক

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো। আশা করি আপনারা আপনাদের মূল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে আমার এই লেখাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন। আর আমি যদি কোন ভুল বলে থাকি। তাহলে আমার ভুলটি ধরিয়ে দিবেন। যাতে ভুলগুলো শুধরিয়ে নিতে পারি।

link
আমি একটি ছোট্ট গ্রামে থাকতাম । আমি একজন সাধারণ কৃষক, সারাদিন মাঠে কাজ করতাম। আমার পরিবারে স্ত্রী আর দুই সন্তান আছে । আমার জীবনে সুখ-দুঃখ সবই ছিল, কিন্তু কখনো নিজের গ্রামের বাইরে যাওয়া হয়নি। শহরের জীবন আমার কাছে কল্পনার মতো ছিল। একদিন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে শহরে যাবো, কারণ আমার ছোট ছেলের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ডাক্তারের প্রয়োজন ছিল। শহরের নাম শুনে আমি, প্রথমে খুবই ভয় পেয়েছিলাম, কারণ আমার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু ছেলের জন্য আমাকে যেতেই হবে। গ্রাম থেকে প্রথমবার শহরে যাওয়ার সময় আমরা একেবারে অচেনা পথিক ছিলেন। বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে আমি অনেকটাই অস্থির হয়ে পড়লাম। বাসের টিকিট কাটা, বাসে চড়া, শহরের রাস্তা সবকিছুই আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। শহরের ব্যস্ততা আর কোলাহল আমাকে অস্থির করে তুলছিল, কিন্তু ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি ধৈর্য ধরলাম। বাস থেকে নেমে আমি আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে হাঁটা শুরু করলেন। অনেক পথ হাঁটার পর, একটা বড় হাসপাতালের সামনে পৌঁছালাম। সেখানে একটি দারোয়ানকে জিজ্ঞাসা করে ঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছিলাম। ডাক্তারের চেম্বারে পৌঁছানোর পর আমি বুঝতে পারলাম, আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য এখানে, আসাটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পারলাম ছেলের চিকিৎসা সম্ভব। আমার চোখে আনন্দের অশ্রু ঝরল। শহরের অচেনা পথিক হয়েও আমি ছেলের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। সেদিনের পর আমার মনে, আর শহর নিয়ে কোনো ভয় রইল না। আমি বুঝতে পারছিলাম যে , জীবনের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে সাহস আর ধৈর্য ধরে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। অচেনা পথিক হয়েও আমি সাহস করে এগিয়ে গিয়ে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছিলাম। অচেনা পথিক হয়েও আমি শিখেছিলান, জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহস আর ধৈর্য থাকলে সবকিছুই জয় করা সম্ভব।
( সমাপ্ত)