||একজন মুরগি বিক্রেতা||steemCreated with Sketch.

in STEEM FOR TRADITIONN8 months ago

Hello friends
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন



একজন মুরগি বিক্রেতা



Polish_20230921_115258754~2.jpg





Logo_Maker_com.ist.logomaker_Mon_Sep_04_21_21_35_GMT_06_00_2023_1693840895188~2.jpg



IMG_20230815_181046_420-01.jpeg
IMG_20230815_180334_476-01.jpeg

মুরগির মাংস আমরা সকলেই কম বেশি পছন্দ করি। মুরগির মাংসের দাম তুলনামূলক একটু কম থাকার কারণে সকলেই ক্রয় করতে পারে। প্রতিটি বাজারে দেখা যায় বেশ কিছু মুরগির দোকান রয়েছে। এসব দোকানগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে যে দোকানটি দেখতে পাচ্ছেন এটি একজন বৃদ্ধ লোকের। এই দোকানটির অবস্থান বগুড়া শহরে।



IMG_20230815_180335_982-02.jpeg

এই মুরগি বিক্রেতার বাড়ি বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলায়। প্রতিদিন সকালে তিনি লোকাল ট্রেনে বগুড়ায় আসেন। সারাদিন এখানে তিনি ব্যবসা করার পর রাতে বাড়ি ফিরে যান। রাতে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় ট্রেনে যাতায়াত খুব কম হয়। কারণ রাত্রে আটটার পরে কাহালু যাওয়ার আর কোন ট্রেন নেই।তখন তিনি সিএনজিতে করে বাড়ি ফিরেন। এভাবে তিনি এখানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসতেছেন।



IMG_20230815_180454_632-01.jpeg
IMG_20230815_180340_822-01.jpeg

তিনি প্রায় দশ বছর যাবৎ এই ব্যবসার সাথে জড়িত। আমি কিছুদিন আগে দোকান থেকে একটি মুরগি কিনেছিলাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সাথে মুরগির দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। গত কিছুদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এক কেজি বয়লার মুরগির ১৯০ টাকায় এখানে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে আরও বেশি ছিল। সোনালি মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি খুব কম পাওয়া যায়, দাম অনেক বেশি। এক কেজি দেশি মুরগির দাম 600 টাকা।



IMG_20230815_181042_602-01.jpeg

তিনি জানালেন সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হওয়ার পর থেকে ব্যবসা অনেক কমে গিয়েছে। আগে মুরগির দাম অনেক কম ছিল তখন বিক্রিও অনেক বেশি ছিল। বর্তমানে দাম বেশি হওয়ার কারণে তেমন একটা বিক্রি হয় না। এই দোকানে সোনালী, দেশী এবং ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন এখানে আরও বেশ কয়েকটি দোকান ছিল।সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হওয়ার পর ব্যবসার পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। তখন দুইজন দোকানদার এই ব্যবসা ছেড়ে দেন। তিনি বলেন বর্তমানে যে পরিস্থিতি আমাকে হয়তো এক সময়ে এই ব্যবসা ছেড়ে দিতে হবে। তাছাড়া এখানে বড় বড় দোকান রয়েছে তাদের সাথে আমরা পেরে উঠতে পারতেছি না।



IMG_20230815_180337_954-01.jpeg

তিনি জানালেন আমার দোকানের ক্রেতা ছিল মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমানে তারা মুরগি খাওয়া অনেক কমিয়ে দিয়েছে। তিনি জানালেন আমি অনেক বছর ধরে এই ব্যবসা করতেছি তাই এটা ছেড়েও যেতে পারতেছিনা।




লোকেশন: বগুড়া
ফটোগ্রাফার : @selimreza1
camera: Tecno pro8
Sort:  
 8 months ago 

আসলেই ভাই দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি হওয়ার কারনে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে।এই দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারনে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তের লোকদের মুরগী মাংস খাওয়া কমে গিয়েছে। এই মুরগীর মাংসের দোকান গুলো মুলত হাটে-বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। মুরগীর মাংসের কম থাকায় সবশ্রেনীর লোকদের জন্য সুবিধার ছিল কিনে খেত পারত। বর্তমান বাজারে ব্রয়লার মুরগীর দাম ১৯০ টাকা কেজি। আপনি একজন মুরগী বিক্রেতা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

 8 months ago 

আপনি একজন মুরগি বিক্রেতা এবং তার দোকান নিয়ে বেশ চমৎকার কিছু তথ্য আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন। আসলেই এখন সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে মানুষ তাদের ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এই তো কিছুদিন আগেই মুরগির দাম একমাত্র মানুষের হাতের নাগালে ছিল। কিন্তু সেটিও এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবুও অন্যান্য মাংসের তুলনায় মুরগির মাংসের দাম কিছুটা কম রয়েছে। আমাদের এইদিকে ব্রয়লার মুরগির মাংস যেগুলো কেটে রাখে সেগুলো ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই এক কেজি পরিমাণ খাসি অথবা গরুর মাংস নিতে গেলে অনেক টাকার দরকার আছে। তাই সবাই মুরগির মাংসের দিকে নজর দিচ্ছে। কিন্তু মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা একটু খারাপ হওয়ার ফলে মুরগির মাংস বিক্রি কমে গিয়েছে। এজন্য অনেক দোকানদার তাদের দোকান টিকিয়ে রাখতে পারছে না, যেমনটা আপনি বলেছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।

 8 months ago 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 8 months ago 

মুরগির মাংস পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। গরিব মানুষের কাছে এই বয়লার মুরগি এখন সবচেয়ে দামি মাংস। কারণ গরুর মাংস বা খাসির মাংস যে পরিমাণ দাম তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এগুলো খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এই বয়লার মুরগির ও দাম দিনে দিনে যে পরিমাণ বাড়াতেছে তাতে মনে হয় গরিব মানুষ এগুলো খাওয়াও বাদ দিতে হবে। ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে সাধারণ মানুষ খুবই অসহায়। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।

 8 months ago 

তিনি জানালেন আমার দোকানের ক্রেতা ছিল মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমানে তারা মুরগি খাওয়া অনেক কমিয়ে দিয়েছে।

বর্তমানে এখন মুরগি খাওয়া যেন গরুর মাংস খাওয়ার মত হয়ে গিয়েছে।মধ্যবিত্ত হোক বা নিম্নবিত্ত মুরগির দোকানের কাছে গেলে যেন একটা ভয় লেগে যায় এরকম একটা অবস্থা।

এরকম মুরগির দোকানগুলো সাধারণত হাটাবাজারে সবথেকে বেশি দেখা যায়।শহর বা গ্রাম প্রায় সব জায়গাতেই এসব দোকান রাস্তার ধারে দেখা যায়। এ সব দোকানে বিভিন্ন প্রকার মুরগি থাকে দেশি-বিদেশি।তবে বর্তমানে মুরগির যে দাম মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষের মুরগি খাওয়া প্রবণতা অনেকটা কমে গিয়েছে।যাইহোক দারুন একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই।

 8 months ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য

 8 months ago 

একজন মুরগি বিক্রেতা নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন ভাই, কাহালু উপজেলায় থেকেও লোকাল ট্রেনে করে বগুড়া এসে মুরগি বিক্রি করে। বৃদ্ধ বয়সেও মুরগি বিক্রি করে জীবন জীবিকা পরিচালনা করে। মনে হচ্ছে এক বৃদ্ধের না বলা কথাগুলো আপনি তুলে ধরেছেন ভাই। এরা অনেক পরিশ্রমী হয়ে থাকে। আমি বাজারে গেলে সর্বপ্রথম বৃদ্ধ লোকের দোকান খুজি কিছু কেনার জন্য। আমার মাধ্যমে তারা যেন ভালো থাকতে পারে সেই আশায়। কখনো তাদের সাথে দামাদামি করি না। মুরগির মাংস আমার অনেক পছন্দের। মুরগির মাংসের তুলনামূলক একটু দাম কম থাকায়, সবাই কিনে থাকে। দারুন লিখেছেন ভাই, ফটোগ্রাফী দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

 8 months ago 

দ্রব্যমূল্যের যে হারে অপঘাত ঘটছে দিনে দিনে তাতে তো সাধারন মানুষগুলোর বেচেঁ থাকাই বেশ মুশকিল। বাজারে গেলে সাধারন মানুষ গুলো হিমশিম খেয়ে যায়। যে হারে গরুর মাংস আর খাসির মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে। তাতে করে সাধারণ মানুষ গুলো এখন বয়লার মুরগীর দিকে চোখ। কারন মাংসের মধ্যে শুধু মাত্র বয়লার মুরগীর দামটাই মানুষের হাতের নাগালে। অবশ্য বর্তমানে বয়লার মুরগীর দোকানদাররাও বেশ হিমশিম খেয়ে যাচেছ। সব মিলিয়ে আজকের পোস্টি কিন্তু দারুন ছিল।

 8 months ago 

মুরগির মাংস আমারও অনেক পছন্দের খাবার।মুরগির মাংস সবাই প্রায় খেয়ে থাকে।বাজারে সব সময় মুরগির চাহিদা থাকে।শহরে বা গ্রামে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মুরগি বিক্রেতা মুরগি বিক্রি করে থাকে।সব কিছুর দাম বেড়ে গিয়েছে বাজারে।সে সাথে মুরগির দামও বেড়ে গিয়েছে।আপনি মুরগির বর্তমানের দাম উল্লেখ করেছেন।কথাটি ঠিক যে অনেকেই মুরগি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষজনরা।অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছেন একজন মুরগি বিক্রেতা নিয়ে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 8 months ago 

চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বগুড়ায় অবস্থিত এই মুরগির দোকান নিয়ে সুন্দর লিখেছেন। বয়স্ক এই মুরগি বিক্রেতা প্রতিনিয়ত ট্রেন ও সিএনজিতে করে যাতায়াত করেন জেনে একটু অবাক হলাম। যাই হোক, বর্তমানে বাজারের উর্ধ্বগতির কারণে সব জায়গাতেই মুরগির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এলাকাতেও দেশি মুরগি ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। দাম বৃদ্ধি পেলেও বাজারে মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। চমৎকার এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 69149.45
ETH 3824.39
USDT 1.00
SBD 3.50