হাটের অন্যতম আকর্ষণ : মাটির তৈরি জিনিসপত্রের দোকান

আমি কয়েক সপ্তাহ আগে আমাদের এলাকায় অবস্থিত পুরাতন বাজার হাটে গিয়েছিলাম। বৃষ্টির দিন হওয়ায় হাটে ভিড় কিছুটা কম ছিল। তবে মাটির জিনিসপত্রের দোকানগুলো ভিড় তেমন থাকে না বললেই চলে। সবার আকর্ষণ প্লাস্টিক পণ্যের দিকেই। আবার মাটির জিনিসপত্র বেশিদিন টিকে না। অথচ মাটির তৈরি জিনিসপত্রগুলো দেখতে আকর্ষণীয় এবং এগুলো পরিবেশবান্ধব হয়।

মাটির তৈরি জিনিসপত্রের গায়ে সুন্দর কারুকাজ থাকে। শহরের অনেক রুচিশীল এবং সৌখিন মানুষজন এখনো মাটির তৈরি জিনিসপত্রগুলো নিজেদের সংগ্রহে রাখেন। কারণ মাটির তৈরি জিনিসপত্রগুলোতে যে শিল্পকর্ম থাকে তা বাঙালিদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে। আর এই যুগেও অনেক বাঙালি আছেন যারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে লালন করেন।

আমরা শৈশবে সযত্নে মাটির ব্যাংক রাখতাম। আবার মাটির তৈরি নৌকা বা মাটির তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে খেলাধূলা করতাম। মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্রগুলো ব্যয়বহুল ছিল না। কিন্তু এসব জিনিসপত্রের মধ্যে আবেগ, ভালোবাসা আর ঐতিহ্য মিশে আছে। মাটির তৈরি হাড়ি পাতিলে রান্না করা, মাটির ব্যাংকে খুচরা টাকা জমানো এই স্মৃতিগুলো অনেক সময় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের প্রতি আমাদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।

হাটে যখনই যাই, মাটির তৈরি জিনিসপত্রগুলো দেখলে মনে হয় যেন এটি গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত একটি দৃশ্য। পুরনো কোন বটগাছের নিচে হরেক রকমের মাটির জিনিসপত্রের দোকান দেখার দৃশ্য খুবই দুর্লভ। শুধুমাত্র বাংলার বুকেই এরকম চিত্র দেখা যায়, যা শত বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের একটি চিত্র। আর গ্রামের কিছু মানুষ যেন পরম মমতায় এই মৃৎশিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন। বছরের পর বছর টিকে থাকা এসকল মাটির তৈরি জিনিসপত্রের দোকান বাঙালি ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে ।

ক্যামেরা ডিভাইসস্যামসাং এস ২১ আল্ট্রা
লোকেশনMW65+58 Parbatipur, Bangladesh
Sort:  
 2 years ago (edited)

মাটির তৈরি জিনিস মানুষ এখন বেশি কিনে না।প্রাচীন যুগে মাটির জিনিস দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ ছিল,কিন্তু এখন মাটির জিনিস খুব কম ব্যবহৃত হয়।তবে কিছু কিছু জিনিস মাটির তৈরি যা যুগ যুগ ধরে সবার বাসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার মধ্যে হলো বাটনা এবং চিতই পিঠা বানানো তাওয়া।এর বিকল্প জিনিস বের হলেও মানুষ ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছেন।ঠিকই বলেছেন সবার আকর্ষণ প্লাস্টিকের পণ্যের দিকেই।এই যুগেও অনেক বাঙালি আছেন যারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে লালন করেন।আমিও শৈশবে মাটির ব্যাংক রাখতাম।এবং মাটির তৈরি অনেক ধরনের খেলনা দিয়ে খেলতাম।ঠিকই বলেছেন মাটির তৈরি জিনিসপত্র গুলো দেখলে মনে হয় যেন এটি গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি দৃশ্য।আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

মাটির তৈরি জিনিসপত্র সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে এই মাটির তৈরি জিনিসপত্র প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসতেছে। আগের কার যুগের রাজা-বাদশারাও এই মাটির থালা-বাসন ব্যবহার করতেন। অনেক জনপ্রিয় ছিল এই মাটির তৈরি জিনিসপত্র। কিন্তু বর্তমানে এর চাহিদা একটু কমে গেছে মানুষ এখন প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে অভ্যাস হয়ে গেছে তাই তো এখন সিলভার ও ব্যবহার করতেছে। এবং এই মাটি তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারের অনেক সুবিধা ছিল। যা আমরা বুঝবো না কিন্তু আগে যুগের মানুষরা এর সুফল ঠিক হাড়ে হাড়ে জেনে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

আমাদের দেশে গ্রাম বাংলার হাট বাজারগুলোতে এসব মাটির তৈরি জিনিস গুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে যারা কুমোর তারা এসব জিনিস তৈরি করে এবং এগুলোতে ভালো করে রং করে নিয়ে আসে বাজারে বিক্রি করার জন্য।তবে বর্তমানে এসব জিনিসের চাহিদা তেমন না থাকার কারণে মাটির তৈরি জিনিস এর কদর দিন দিন কমে যাচ্ছে আমাদের দেশে। যাইহোক দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে এটি পার্বতীপুর পুরাতন বাজার হাট। পুরাতন বাজার হাটে এমন মাটির জিনিস অনেক পাওয়া যায়। কারণ এই হাটের পাশেই কুমারেরা বসবাস করে। হাটের দক্ষিণ দিকে দিনাজপুর রেল লাইনের পাশে কুমারের রা বসবাস করে। এনারা এখানে অনেক রকম মাটির জিনিস তৈরি করে এবং তাদের বাড়ির পাশেই আমাদের এই হাট সে হাটে এনারা এগুলো বিক্রি করে থাকেন। এনাদের কাছে মাটির তৈরি অনেক ধরনের জিনিস পাওয়া যায় যা আমাদের বিভিন্ন কাজে আসে। মাটির তৈরি জিনিস আমাদের জন্য অনেক ভালো এগুলো আমাদের বিভিন্ন কাজে আসে। আমরা পূজার সময় ঘট পাতিল ইত্যাদি এখান থেকে কিনে নিয়ে যাই। এগুলো আমাদের পূজোর সময় কাজে আসে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মাটির তৈরি এসব জিনিসগুলো আমাদের ঐতিহ্য বহন করে। বর্তমানে মাটির তৈরি জিনিস গুলোর দাম কিছুদিন আগের তুলনায় একটু বেড়েছে। মাটির কলসিতে পানি রেখে কয়েক ঘন্টা পর সেই পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায় বলে আমি শুনেছি। আসলে কথাটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা আমার জানা নাই। এখনো গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে মাটির হাঁড়িতে ভাত রান্না করা হয়। মাটির তৈরি এসব জিনিসগুলো আসলেই বাজারের প্রধান আকর্ষণ। আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অনেক সুন্দর লিখেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

প্রাচীনকাল থেকে মাটির বানানো আসবাবপত্র গুলোর আমাদের বাসা বাড়িতে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে কিছুটা এই মাটির পন্যের ব্যবহার কমে গেছে। প্লাস্টিকের পন্যের প্রতি মানুষের আকর্ষন সবথেকে বেশি। বাজারে নকশা করা হাড়ি পাতিল গুলো দেখলে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভাই।

 2 years ago 

ভাই মাটির তৈরি জিনিস আমাদের নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় জিনিস। কারণ আমরা রান্না করতে গেলে মাটির তৈরি সাংকি পাতিল কড়াই ইত্যাদি নিত্যকার দিনের প্রয়োজন আমাদের। আর আপনার পোস্টের মাধ্যমে মাটির তৈরি অনেক জিমিস দেখতে পারতেছি ভাই। যেগুলোর সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

মাটির তৈরি হাঁড়িপাতিলে অন্যতম আর্কষণ কাজ করে আসলেই। মাটির তৈরি হাঁড়ি পাতিলের জিনিসপত্র ঐতিহ্য বহন করে। বিষেশ মাটির তৈরি যাবতীয় জিনিসপত্র গুলো আমাদের দেশের ঐতিহ্য। আগেকার সময়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষ মাটির তৈরি জিনিসপত্রে ঝুঁকে ছিল। কালের বিবর্তন হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরি জিনিসপত্র। তবে গ্রাম-শহরে এখনো মাটির তৈরি জিনিসপত্রের দোকান দেখা যায়।

 2 years ago 

বাহ্, চমৎকার পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই, মাটির তৈরি প্রতিটি জিনিস আমাদের ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে মানুষ মাটির তৈরি আসবাবপত্র ব্যবহার করে আসছে। গ্রাম কিংবা শহরের হাটবাজারে মাটির তৈরি আসবাবপত্র বিক্রি করতে দেখা যায়। আগের দিনে মাটির পাতিলে রান্না করা হতো, এখন সেটা বিলুপ্তপ্রায়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার ফটোগ্রাফি যথেষ্ট ভালো হয়েছে। সব সময় আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।