আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন

in STEEM FOR TRADITIONN2 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ। আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

IMG-20230918-WA0009.jpg

আমরা ভোজন রসিক বাঙালি। আমরা নানা ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করি। আমাদের খাবারের তালিকায় টক-ঝাল-মিষ্টি সবগুলোই থাকে। আমাদের প্রতিদিনের আহারে প্রায়ই এই ধরনের খাবার গুলো থেকেই থাকে। আমাদের বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে। তার মধ্যে মিষ্টি অন্যতম। মিষ্টি বলতে ছানার কিংবা দুধ মিশ্রিত ময়দার বিভিন্ন আকৃতির মণ্ডকে বোঝায়। বিভিন্ন উৎসব আনন্দে বা অনুষ্ঠান মিষ্টি ছাড়া উদযাপন করা যাবে না। মিষ্টি বাঙ্গালীর আবেগের সাথে জড়িয়ে আছে। আমাদের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, আকিকা,জন্মদিন, নতুন অতিথীর আগমন,হালখাতা, ঈদ,পূজা এসবের সময় বাড়িতে মিষ্টি আনা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন অতিথির বাড়িতে গেলেও আমরা মিষ্টি সাথে নিয়ে যাই। তাছাড়া পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হলেও বাড়িতে মিষ্টি আনা হয়। অনেকেই মসজিদে তবারক হিসেবে মিষ্টি প্রদান করেন। বিয়ে বাড়িতে শুকরানা হিসেবে বরপক্ষ মিষ্টি জাতীয় খাবার নিয়ে আসেন। তাছাড়া আমাদের এমন কোন অনুষ্ঠান নেই যেখানে মিষ্টি আনা হয় না।

IMG-20230918-WA0008.jpg

মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সবাই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। আমাদের দেশে ও ভারতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকায় মিষ্টির নাম রয়েছে। আমাদের দেশে বেশ কিছু জনপ্রিয় মিষ্টি রয়েছে। যেমন রসগোল্লা, ইলিশ পেটি, কাঁচাগোল্লা, চমচম, ক্ষীর চমচম, বেবি সুইটস,বরফি,পানতুয়া,মনোহরা ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রকারের মিষ্টি রয়েছে। এক এক প্রকারের মিষ্টি এক এক ভাবে তৈরি করা হয়। মিষ্টি তৈরির মূল উপাদান হলো ছানা ও ময়দা। তবে রসগোল্লা শুধু ছানা দিয়ে তৈরি হয়। তবে ময়দা দিয়েও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি হয়।বরফি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।

IMG-20230918-WA0010.jpg

আমাদের কোনো অনুষ্ঠান মিষ্টি ছাড়া পূর্ণতা পায় না।তবে আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রয়েছে। এগুলো সেই এলাকাগুলোকে সারা পৃথিবীতে প্রসিদ্ধ করে তুলেছে। যেমন বগুড়ার দই আন্তর্জাতিক জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এগুলো আমাদের জন্য গর্বের।ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মণ্ডা সারাদেশে বিখ্যাত। তাছাড়া নাটোরের কাঁচাগোল্লা, কুমিল্লার রসমালাই আমাদের দেশের কে না চেনে!মিষ্টি জাতীয় খাবার হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। পরিমিত পরিমাণে মিষ্টি খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি করে না।তবে মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।এগুলো শরীরে অতিরিক্ত শর্করা হিসেবে জমা হয়।ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের মিষ্টি কম খাওয়া উচিৎ।

IMG-20230918-WA0011.jpg
IMG-20230918-WA0012.jpg
IMG-20230918-WA0013.jpg
ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্যঃ
ডিভাইসরেডমি ১০ সি
ক্যামরা৫০ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার@tamannafariah
লোকেশনভবের বাজার,পার্বতীপুর

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Sort:  
 2 years ago 

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। ভোজন রসিক বাঙালিরা সবসময় মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করে। যদিও মিষ্টি খেতে আমার খুব কম ভালো লাগে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন বাঙ্গালীদের আবেগের সাথে মিষ্টি জড়িত। বাঙালিরা প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খেতে পারে আপু। তবে শুধু আমি বাদ দিয়ে। আপনি চমৎকার লিখেছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় ভাবে তুলেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মিষ্টি,,, মিষ্টি তে প্রচুর মাছি রয়েছে দেখছি।

 2 years ago 

হ্যা।

 2 years ago 

মিষ্টি আমার একটি পছন্দের খাবার। মিষ্টি আমাদের সবারই খেতে ভালো লাগে। আমাদের পার্বতীপুর অনেক ভালো পাওয়া যায়। পার্বতীপুর শাহ্ হোটেলে অনেক রকম মিষ্টি পাওয়া যায়। মিষ্টি আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিষ্টি প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকি। মিষ্টি ছাড়া আমাদের অনুষ্ঠানগুলো সম্পন্ন হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে মিষ্টি নিয়ে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

 2 years ago 

মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ কম খুজে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পর মিষ্টি না থাকলে যেন খাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রথম কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে গেলে তো মিষ্টি অবশ্যই নিয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে পরিক্ষার পরে বাজারের দোকান গুলোতে মিষ্টি পাওয়া যায় না। মিষ্টি যে ক্ষতিকর এর কারনে আমি কখনো মিষ্টি খাই না।

 2 years ago 

ওহ আচ্ছা। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

মিষ্টান্ন সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে আমাদের এই মিষ্টি সবাইরে পছন্দের একটি খাবার। আমার মনে হয় না পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে সে মিষ্টি পছন্দ করে না। কেননা মিষ্টি এমন একটি খাবার এটি সবাইরে অনেক পছন্দের। আমার এখনো মনে আছে আমি ছোটবেলায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ টা করে মিষ্টি একেবারে খেতাম কিন্তু এখন আর অতগুলা খেতে পারি না। আর কেন জানি এখন মিষ্টির প্রতি আগের মত চাহিদাও নেই অনেকটাই কমে গেছে। তবে মিষ্টি ধুয়ে খাওয়া দরকার আমি এই ডাক্তারের কাছে শুনেছিলাম মিষ্টি ধুয়ে খাওয়ার লাগে কারণ মিষ্টির উপর কোন মাছি পড়লে এখানে অনেক ক্ষতি হয় এর জন্য ধুয়ে খাওয়া অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

 2 years ago 

বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অন্যতম নিদর্শন হলো মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। আমাদের দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষই মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করেন। রসগোল্লা, দই, চমচম, লাড্ডু,বাতাসা আরো অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো মিষ্টি জাতীয়। এছাড়াও বাড়িতে বিভিন্ন রকম মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো তৈরি করা হয়। আপনি ঠিক বলেছেন আসলে বাঙালির আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠান মানেই মিষ্টি জাতীয় খাবারের সমাহার।কিছু ভালো মন্দ খেলেই মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতেই হবে এটাই হলো নিয়ম। দারুণ একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

 2 years ago 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 2 years ago 

ধন্যবাদ।

পোস্টটা টুইটারে শেয়ার করে,লিংক কমেন্ট করেন।

 2 years ago 

জ্বী ভাইয়া। করে দিয়েছি।ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এতসব মিষ্টির মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের মিষ্টি হল আমার কালো জাম। এটি কি হাতের কাছে পেলে ই যেন মন চায় সবগুলো সবার করে দেই। পার্বতীপুর সাহা হোটেলের মিষ্টি বেশ ভালো তাছাড়া নতুন যে মামা ভাগিনা হোটেলের মিষ্টি বেশ ভালো লাগছে খাইতে। মিষ্টির ছবি দেখিয়ে লোভ ধরিয়ে দিলেন আপু। পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ।