ভ্রমনের মাঝে আছে আত্মতৃপ্তি ভ্রমণের মাঝেই প্রশান্তি
আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন।
অনেকদিন ধরে কোন ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে লেখা হচ্ছে না চিন্তা করছি একটি ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আপনাদের সামনে কিছু লিখব ।
মানুষ যখন এক জায়গায় বদ্ধ থাকতে থাকতে একঘেয়েমি একটা ভাব চলে আসে তখন তার মানসিক প্রশান্তির জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া সবচেয়ে উত্তম বলে আমি মনে করি। ডাক্তাররাও পরামর্শ দেয় যে একটু ঘুরাঘুরি যদি মানুষ করে তাহলে সে বিভিন্ন টেনশন ও মানসিক চাপ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।
আমার জীবনে মানুষিক চাপ থাকুক বা না থাকুক আমি সুযোগ পেলেই ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাই। কারণ ঘুরতে যাওয়াটা আমার কাছে অনেকটা নেশার মত ।
আমি যখনই অল্প সল্প টাকা আয় করি সেই টাকা জমা করে যে স্থানগুলোতে কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি ।
কখনো হয়তো বা বন্ধুদের সাথে পরিকল্পনা করে আর বন্ধুরা যদি কোন কারণে পিছপা হয় তাহলে আমি একাই বেশিরভাগ সময় ঘুরতে বের হয়ে যাই। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে একা ঘুরতে যাওয়ার এক্সপেরিয়েন্স আছে আমার।
চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় সবগুলো জেলাতে ভ্রমণ করা হয়ে গিয়েছে।
এখন ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে অন্য জেলা গুলোতে ঘুরতে যেতে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো বান্দরবান ভ্রমণ নিয়ে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের দ্বন্দ্বের কারণে বান্দরবানের যেসব সৌন্দর্যময় স্থানগুলো রয়েছে সেগুলো সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ।চট্টগ্রাম বিভাগের যতগুলো সৌন্দর্যময় স্থান রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে বান্দরবান জেলার ভিতরে ।
তাই প্রতি বছর শীতকাল আসলেই প্রচুর পরিমাণ পর্যটক যেমন কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসে ঠিক তত পরিমাণ পর্যটক বান্দরবান জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যায়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে বান্দরবনে ঘুরতে গিয়েছিলাম ।পরিকল্পনা ছিল আমরা মোটামুটি তিন দিন সেখানে অবস্থান করবো এবং বান্দরবান জেলার মধ্যে যে কয়েকটি স্পট আছে সবগুলো ঘুরে দেখব এবং ফিরে আসব ।
কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা রওনা দেওয়ার সময় রোদ ঝলমল প্রকৃতি দেখলেও বান্দরবনে পৌঁছে গিয়ে দেখি বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বান্দরবান যেহেতু পাহাড়ি এলাকায় যদি বৃষ্টি হয় তখন আপনি স্বাচ্ছন্দ ভাবে প্রত্যেকটা জায়গায় ঘুরতে পারবেন না ।কারণ পাহাড়ি জায়গাগুলো বৃষ্টিতে একটু বিপদজনক হয়ে যায় । তবুও যেহেতু আমরা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম আমরা প্রথমেই দুপুর পর্যন্ত যে রিসোর্টটা নিয়েছিলাম সেই রিসোর্টে রেস্ট নেওয়ার পর যখন একটু বৃষ্টি কমল তখন আমরা শহরের মধ্যে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
প্রথমে আমরা গিয়েছিলাম বান্দরবানের পাহাড়ে ঘেরা রুপালি ঝড়না যেটা একদম আমাদের রিসোর্ট থেকে কাছাকাছি ছিল।
বাংলাদেশের মধ্যে যতগুলো সুন্দর সুন্দর ঝর্ণা রয়েছে সেগুলো কিন্তু বান্দরবন এই অবস্থিত। কক্সবাজার হিমছড়িতে যে ঝর্ণাটির রয়েছে সেটা আসলে এত বড় ঝর্ণা নয় এটা ছোট ঝর্ণা ।
কিন্তু বান্দরবনে গেলে আপনারা বিশাল বিশাল ঝরনা গুলো দেখতে পাবেন।
রুপালী ঝর্ণা অনেকগুলো বিশাল ঝর্ণাগুলোর মধ্যে একটি ।অনেক উঁচু পাহাড় থেকে এখানে পানির ধারা নিচে পড়ে ।আপনি সেখানে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ প্রকৃতি উপভোগ করলে আপনার মনে একা আলাদা প্রশান্তি কাজ করবে। প্রায় ঘন্টাখানেক রূপালী ঝরনার পাশে দাঁড়িয়ে এখানকার পানিতে একটু গোসল করে আমরা চলে গিয়েছিলাম নীলাচলের উদ্দেশ্যে। পাহাড় এবং মেঘের এক অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই পর্যটন স্পট ।আপনি উপভোগ করতে পারবেন নীলাচলের উপর দিয়ে ধোঁয়াশা মেঘ আপনার শরীর ঘিরে চলে যাবে। এই পর্যটন স্পোটটা খুবই সুন্দর সেখান থেকে আপনি পাহাড় এবং আকাশে সাদা মেঘের এক অপূর্ব সুন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
আপনি শান্তিপূর্ণভাবে সুন্দর একটি সময় কাটাতে চাইলে নীলাচল আপনার জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
নীলাচলের মত আরো একটি স্থান আছে সেটা হচ্ছে নীলগিরি। কিন্তু নীলগিরিতে যাওয়ার জন্য অনেক সময় ব্যয় হয় তাই আপনি নীলগিরির অনেক সুন্দর্য আপনি নীলাচলে উপভোগ করতে পারবেন। এই দুইটা স্পট দেখতে অনেকটা একই রকম। যারা একদিনের জন্য বান্দরবানের ট্যুর করতে চান তাদের জন্য বান্দরবানের কাছাকাছি যে দর্শনীয় স্থানগুলো আছে সে স্থানগুলোতে ভ্রমণ করা উত্তম মনে করি ।এগুলো হচ্ছে মেঘলা, রূপালী ঝরনা ,,স্বর্ণমন্দির, নিলাচল এবং বান্দরবানের যে মূল বাজারটা রয়েছে । এই কয়েকটি স্থানের যদি আপনি স্বাচ্ছন্দ ভাবে ঘুরতে চান তাহলে আপনি সুন্দর ভাবে প্রত্যেকটি দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন ।
কিন্তু আপনি যদি নীলগিরিতে যেতে চান তাহলে আপনি প্রত্যেকটা স্পট শান্তিপূর্ণভাবে ভ্রমন করতে পারবেন না ।
কারণ সব জায়গায় আপনাকে তাড়াহুড়া করে বের হয়ে যেতে হবে ।
আর যদি আপনারা একদিন বা দুইদিন থাকার পরিকল্পনা করে যান তাহলে আপনারা ধীরে সুস্ত প্রত্যেকটা দর্শনীয় স্থানে সময় দিয়ে সেখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন ।
আমরা যেহেতু দুই তিন দিন সময় নিয়ে গিয়েছিলাম তাই আমরা প্রথম দিন শহরের ভিতরে যে দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সেগুলোতে ভ্রমণ করেছি। সন্ধ্যার পর আমরা আমাদের রিসোর্ট এর চারপাশে ভ্রমণ করেছে। দারুন ছিল রিসোর্ট এর চারপাশের প্রকৃতি । রাত পর্যন্ত রিসোর্ট এর বাইরে আড্ডা দিয়েছি। বান্দরবানের যে বাজারটা রয়েছে সে বাজারটা দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত খোলা থাকে না কারণ ওখানে মানুষজনের খুব একটা যাতায়াত থাকে না। তবে যখন সিজন চলে অর্থাৎ শীতকাল তখন মূলত অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাজারটি খোলা থাকে । রাত দশটার মধ্যে আমরা রাতের খাবার শেষ করে বাজারে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। রাত্রের বান্দরবান শহর দেখার মজাটাই আলাদা ছিল। শত শত পর্যটন স্থান নিয়ে আমাদের এই দেশ গঠন করা হয়েছে।
আমাদের দেশের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখেই অনেক কবি অনেক কবিতা লিখেছে।
তাই দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সব সময় চেষ্টা করুন বান্দরবানের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে অন্য আরেকদিন লিখব।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত ব্লগটি পরার জন্য ।
আরেকটি নতুন ব্লগ বা ভ্রমন কাহিনী নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব।
ইনশাআল্লাহ







আপনার ডাইরি পরে অনেক ভালো লাগছে।
ইমরান ভাই এটা ডাইরি না ভ্রমণ গল্প আগামিকাল দেখা করুন বিস্তারিত আলাপ হবে। আমি পুকুরে আছি।
ধন্যবাদ ভাই
Thank you for sharing posts, improve the quality of your posts and stay original.
Determination of #Club5050 Status refers to the https://steemworld.org/transfer-search Web-based Application
আমি বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করতে পারেনি মাত্র ৫৬ টি জেলা ভ্রমণ করেছি। শুধুমাত্র কুমিল্লা জেলা পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলাম। তারপর চিটাগাং বা চট্টগ্রাম বিভাগে আমার এখনো যাওয়া হয়নি। এবং আমি জানি চট্টগ্রামবিভাগে ভ্রমণ করার উপযুক্ত জায়গা আছে আমাদের বাংলাদেশ। মনের আশায় দিন পূর্ণ হবে আশা করি।
একদিন পূর্ণ হবে আপনার ইচ্ছা
It's my favorite place to visit. Please knock me on your next visit
I will inshallah