অসুস্থতা ১ পর্ব 😪
হ্যালো
বরাবরই আমার শরীর দূর্বল থাকে। আমার দুটা অপারেশন এক কিডনি ও দুই পিত্ত থলি তাই আমি খুব বেশি সময় দাড়িয়ে শুয়ে বা বসে একটানা থাকতে পারি না ব্যাথা করে।সব সময় কিডনিতে ব্যাথা করে তবে শুধু অপারেশন হয়েছে সেই কিডনি কয়েকবার কিডনি রোগ ডাক্তার কে দেখিয়েছি এবং ঔষধ নিয়েছি ব্যাথার জন্য।
বেশ অনেকদিন থেকে ডাক্তার দেখানো হচ্ছে না ব্যাস্ততা কিছুটা আলসেমির কারনে। আমি এখন শহরে থাকি তাই ডাক্তার দেখাতেও পারি সহজে কিন্তুু দেখানো হয়ে ওঠে না।
মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাই প্রতিদিন আবার কোচিং সব মিলিয়ে চার বার হাটাহাটি করি। একদিন স্কুলে যাই নি পরের দিন গিয়ে দেখি আমাদের গ্রুপের ভাবিরা ভর্তা পার্টির প্লান করেছে। বেশ কয়েকটা গ্রুপ আছে স্কুলে একেক টা গ্রুপে বিশ জন করে।
আমি স্কুলে গিয়ে জানতে পেলাম তাদের প্লানের কথা। সবাই একেক রকমের ভর্তা করে আনবে তা সিলেক্ট হয়েছে। আমি কি ভর্তা নিয়ে যাবো বলতেই এক ভাবি বলে উঠলো আপনি ফেসবুকে যে সুন্দর চিংড়ি ভর্তা রেসিপি বানিয়ে আপলোড করেছেন আপনি চিংড়ি ভর্তা আনবেন। আমি বলে উঠলাম যখন তখন তো কুচো চিংড়ি পাওয়া যায় না যদি না পাই তিনি বল্লেন না পেলে চিংড়ি শুটকি ভর্তা করবেন তবুও চিংড়ি ভর্তাই আনতে হবে আমি বলে দিলাম ঠিক আছে।বিকেলে মেয়েকে নাচের ক্লাসে ঢুকিয়ে দিয়ে বাজারে গিয়ে খুজতে লাগলাম চিংড়ি না পেয়ে হতাস হয়ে নিজের দরকারী বাজার করে নিয়ে কুচোচিংড়ির শুটকি কিনে আনলাম।
মেয়েকে নিয়ে কিছু সময় পার্কে কাটিয়ে আসলাম। শিল্পকলা গেলে মেয়ে পার্কে কিছু সময় কাটায়।বাসায় সে খুব একা হয়ে গেছে তাই সময় পেলে পার্কে নিয়ে যা-ই। বাসায় এসে কাজে লেগে পাড়লাম। ভর্তার জন্য অনেক পেঁয়াজ রসুন দরকার। একা হাতে পেঁয়াজ রসুন কেটে নিলাম বেশ কিছু। শুটকি ভর্তা মানে পেঁয়াজ রসুনের খেলা তাছাড়া আমি শুটকি ভর্তার সাথে পটল ভর্তা করেছিলাম।দু ভর্তার জন্য অনেক গুলো পেঁয়াজ রসুন লেগেছে আর এক ঘন্টা ধরে সেগুলো ছিলেছি কেটেছি। এর পর ভর্তা দুটো করে সময় লেগেছে অনেকটা। এর পর এক গাদা বাসুন ও রান্না ঘর পরিস্কার করেছি তারপর বাজার থেকে টাকি মাছ কিনেছিলাম সেগুলো কেটেছি ধুয়ে ফ্রিজে রেখেছি এবং রান্না ঘর পরিস্কার করেছি সব মিলিয়ে পুরা একটানা চা ঘন্টা কোন বিরতি ছাড়া কাছ করেছি এরপর খেয়ে যখন শুয়েছি খুব ক্লান্ত লাগছিলো। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়েছিলাম এক ঘুমে সকাল। সকালে জেগে দেখি আমার পেট ফুটবলের মতো ফুলে গেছে এবং ব্যাথায় আমি নারাচারা করতে পারছি না।ভাবলাম প্রসাবের চাপে হয়তো এমম হয়েছে। প্রসাব করে এসেও দেখি না ব্যাথা একদমই কমছে না বাড়ছে। একদম নিচ পেটের ব্যাথায় নড়াচড়া করতে পারছি না। অসুস্থতা নিয়ে স্কুলে যেতে হলো একমাত্র ভর্তা পার্টির জন্য। এরপর গিয়ে ভর্তা পার্টি করলাম ভীষণ অসুস্থতা নিয়ে বসে থেকে হাসি মুখে পার্টি সেরে চলে আসলাম বাসায় এসে শুয়ে পড়লাম। ব্যাথায় কাতরাতে থাকলাম। দুপুরে ভাত রান্না করতে পারলাম না।মেয়েকে সকালে যে ভাত রান্না করে খাইয়ে ছিলাম সে ভাত কোনমতো একটা ডিম ভেজে দিলাম।
সারাটা দিন গেলো একটুও ভালো হলো না তবে একটা প্যারাসিটামল খাওয়ার কারনে একটু জ্বর জ্বর ভাবটা কমলো। সারাদিন পর সন্ধ্যা বেলায় আমাকে শুয়ে থাকতে দেখে মেয়ে খুব কান্না শুরু করে দিলো। নিজেকে শক্ত করলাম এবং সুস্থ হয়েছি মেয়েকে বোঝালাম অসুস্থতা নিয়েও।ডাক্তারের ফাইলটি বের করে ফোন দিয়ে সিরিয়াল দিলাম।রংপুর মেডিকেল কলেজের ডাক্তার বসে প্রতি মঙ্গলবার গাইবান্ধায়।৩৫ সিরিয়াল আমার। ভগবান ভরসা। জানি না কেন এমন হচ্ছে। বড়ো ধরনের কোন অসুস্থতার ইংগিত বহন করছে শরীর।
সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই চাওয়া ঔষধের মাধ্যমে যাতে সব ঠিক হয়ে যায়। অপারেশন সে খুবই কষ্টের ও ঝামেলায়।
টেনশনে আছি আজ দুপুর তিনটার পর ডাক্তার বসবেন। সবাই আমার জন্য একটু আশির্বাদ করে দিয়েন যাতে করে বড়ো ধরনের কিছু না হয়।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
| পোস্ট | বিবরণ |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
| শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
| ডিভাইস | OppoA95 |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।





