contrasts- বৈষম্য!

বৈষম্য শব্দটি শুনলেই, ভেদাভেদ এই অর্থটি সর্বাগ্রে মাথায় আসে! তবে, বিষয়টি নির্ভর করে কোন মানুষ কিভাবে এই শব্দটি, কোন ক্ষেত্রে, কেমন পরিস্থিতিতে দেখছেন!
প্রতিটি মানুষের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি বৈষম্যের অভ্যন্তরীণ অর্থকে একেক ভাবে ব্যক্ত করে!
কেউ অর্থের নিরিখে, কেউ জাত, ধর্মের নিরিখে, আবার কেউ ক্ষমতার নিরিখে!
আবার যারা সদর্থক ভাবে জীবনের শিক্ষায় শিক্ষিত তারা জানেন;
বৈষম্যই একমাত্র ব্যক্তি, তথা বস্তুকে সুনির্দিষ্ট করে, তার নিজের নিজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী!
আর কোথাও না কোথাও ভিড়ের মাঝে নিজেকে পৃথক করতে সহায়তা করে এই বৈষ্যমতা!
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো খানিক অবাক হতে পারেন লেখার এই পর্যন্ত পড়ে!
কারণ, আমাদের মধ্যে অনেককেই শৈশব থেকে বৈষম্যের এক্ আলাদা পাঠ পড়িয়ে বড় করা হয়েছে, এবং যদি শব্দকোষ ঘেঁটে দেখেন সেখানেও একই ভাব সম্প্রসারণ খুঁজে পাবেন শব্দটির!
আর এখানেই আমি একটু ভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে শব্দটি বিশ্লেষণের প্রয়াস করছি, এরপর হয়তো কিয়দংশ ভাবলেও ভাবতে পারেন, সব শব্দের একটি সদর্থক দিক আছে, আর সেটি যারা শিখে বড় হয়েছেন, তাদের কাছে শব্দকোষে সকল শব্দের একটি ভিন্ন শিক্ষার দিক আছে!
এবার দুটি উদাহরণ আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।
যখন কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে কিংবা অন্য কারণে বাড়ির বাইরের পোশাকে আমাদের বেরোতে হয়, তখন আমরা রঙের বৈষম্য আছে, এমন পোশাক বেছে নিয়ে থাকি।
যেমন- সাদা জামা পড়লে কালো কিংবা নীল প্যান্ট! অর্থাৎ যেকোনো বস্ত্রের সাথে বৈষম্য চোখে পড়ে এমন রঙের পোশাক, কি তাই না?
আবার ধরুন বিয়ে বাড়িতে একটি ফুলের তোড়া উপহার হিসেবে দেবেন বলে ঠিক করেছেন, হতে পারে সেই ফুলের স্তবক একই রঙের ফুল দিয়ে তৈরি অথবা, সেখানেও সেই ফুলের তোড়ায় রাখা থাকে, একাধিক রঙের একত্রিত করে তৈরি বৈষম্য একটি ফুলের তোড়া!
কোনো ফুলের রং লাল, আবার কোনো ফুলের রং হলুদ, কিংবা গোলাপী সাথে আরো নানা রঙের ফুলের আধিক্য সহ সবুজের সম্মিলিত একটি ফুলের তোড়া!
এক্ষেত্রে বৈষম্য শব্দটি কীভাবে দেখবেন?
নিশ্চই, সদর্থক ভাবনা ধারায় বিষয়টি দেখবেন, কি তাই তো?
দেখুন সৃষ্টির সবটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে শিক্ষা, কিছু মানুষ আত্ম স্বার্থে অন্ধ হয়ে কিছু শব্দকে নিজেদের মতো করে প্রয়োগ করেন,
নিজ নিজ জীবনে অর্জিত পারিবারিক তথা আনুষাঙ্গিক শিক্ষার নিরিখে!
তাই আজকের এই আধুনিকতার যুগেও কিছু শব্দের উচ্চারণ মাত্রই এক্ একটি মানুষের মাথায় এক্ একটি অভ্যন্তরীণ অর্থ কাজ করে।
বৈষমতা যে সুন্দরের প্রতীকী হতে পারে, এটাই বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে কাজ করে না, একটি কালো তিল যেমন সাদা মুখমণ্ডলের শোভা তথা সৌদর্য্য বৃদ্ধিতে সহায়ক! তেমনি উন্নত মানসিক চিন্তাধারা যেকোনো শব্দের মধ্যে তার সৌর্ন্দয্য এবং সদর্থক দিক খুঁজে পেতে সক্ষম।

রাতের অন্ধকার কেউ পছন্দ করে না, তবে এটি যেমন একদিকে বিশ্রামের জন্য প্রয়োজন, তেমনি দিনের গুরুত্ব বোঝার জন্য আঁধার জীবনে আসা প্রয়োজন!
এই সময়ের বৈষম্য মানুষ চিনতেও একান্ত প্রয়োজনীয়, সময় যখন বিপরীত দিশায় থাকে, তখন কারা পাশে থাকছেন, আবার অনুকূলে থাকলে কারা যোগদান করছেন, এটিও শিক্ষার বিষয়!
গায়ের রং ফর্সা হলে সেটা পছন্দের শীর্ষে, বিপরীত ক্ষেত্রে চোখের কাজল, যেটির রং কালো তবে সেটি রূপ সজ্জার সামগ্রী!
যদি কাজলের মতো কোনো মহিলার গায়ের রং হতো?
সমান দৃষ্টিতে কতজন গ্রহণ করতেন একই রঙকে?
কি অদ্ভুত ভাবে পৃথক করা হয়েছে দুটি রঙকে ভিন্ন ভাবে! পাশাপশি দুটি রং এর ক্ষেত্রে বদলে যায় মানুষের চিন্তাধারা!
একদিকে একটির অসীম গুরুত্ব একেবারে চোখে জায়গা করে নেয়, নজর না লাগে তাই শিশুদের কপালে স্থান পায়;
আবার অপরদিকে একই রং পরিত্যাজ্য বিষয় ভেদে!

ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কাছে এই বৈষম্য একটি গুরুতর শিক্ষা, যার প্রয়োজন দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে এবং শব্দটিকে আমি সদর্থক ভাবে দেখে থাকি।
কারণ? সময় যখন পরিবর্তনশীল তখন কোনকিছুই স্থায়ী নয়, সেখানে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট কিছুর মধ্যে খুঁত থাকবে এটা অন্ততঃপক্ষে আমি বিশ্বাস করি না, যারা করেন তারাই বৈষম্য সৃষ্টি করেন এবং দেখেন বিষয়টি হিংসার ভাবধারায়!





It is true that the meaning of discrimination is extremely broad and highly malleable, depending on social, religious, political, and cultural contexts. Its interpretation has evolved in many different ways over the centuries. Today, there is no global standardization of the term, and the intolerance often associated with it is somewhat simplistic when considering all the regional variations and historical transformations of its meaning. Excellent post. Cheers :)