Homemade Sweet! বাড়িতে তৈরি মিষ্টি!

আমার এমন কিছু মানুষের সাথে পরিচয় আছে যাদের মাঝেমধ্যেই মিষ্টি পায়!
অনেকেই লাইনটি পড়ে অবাক হচ্ছেন হয়তো! মিষ্টি পাওয়া? সে আবার কেমন পাওয়া? ধন সম্পদ এর সাথে পাওয়ার সম্পর্ক আছে তাই বলে মিষ্টি?
আজ্ঞে হ্যাঁ! কিছু মানুষকে মিষ্টিতে পায়! আসলে বিষয়টি খোলশে করে বলি!
কোনো খাবার যখন আমাদের অতিরিক্ত খাবার ইচ্ছে অন্তর থেকে জাগে, তাকে ইংরিজিতে বলে ক্রেভিং!ভাবে
এটাই যদি বাংলায় অনুবাদ করা হয়, তাহলে দাঁড়ায় কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকাঙ্খা!
এই তীব্র আকাঙ্খা কারো ক্ষেত্রে হয়ে যায় পাওয়া! শব্দের ফের বদল এই আর কি!
ভূমিকা অনেক হলো, এবার আসি মূল বিষয়ে, অনেকের রাতের বেলায় মিষ্টি খাবার আগ্রহ বা লালসা বা ক্রেভিং বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়!
যারা মিষ্টি খেতে ভালবাসে না তাদের ঘরে সেইভাবে মিষ্টি মজুত থাকে না!
এছাড়াও ইচ্ছে করলেই অধিক রাত্রে বাইরে থেকে মিষ্টি কিনে আনা সবার পক্ষে সম্ভব নয়!
তাহলে উপায়?
এত ভূমিকার পিছনের আসল উদ্দেশ্য আপনাদের এই সমস্যার সমাধান করা একটি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু মিষ্টি যখন মিষ্টির তীব্র আকাঙ্খা বৃদ্ধি পাবে!
এবার ঢুকে পড়ুন আমার রান্নাঘরে লেখার মাধ্যমে আর দেখে নিন কিভাবে বাড়িতে গোলাপ জাম তৈরি করেছি, কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং নিজস্ব পদ্ধতিতে।
- আসুন তাহলে প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কোন কোন উপকরণ আমি ব্যবহার করেছি:-
|
|---|
| উপাদান | পরিমাপ |
|---|---|
সুজি👉 | ২০০ গ্রাম |
| পনির | ১০০গ্রাম👈 |
ফুল ফ্যাট লিকুইড দুধ👉 | ১২৫মিলি |
চিনি | 👈২০০গ্রাম |
| ঘি👉 | ২ চা-চামচ |
এলাচ👉 | ৩-৪ টে |
| গুঁড়ো দুধ | ২ টেবিল চামচ👈 |
রিফাইন্ড তেল | প্রয়োজন অনুযায়ী👈 |
|
|---|

প্রথমে:- একটি পাত্র মাঝারি আঁচে বসিয়ে দেবেন, পাত্র গরম হয়ে গেলে সুজি হালকা ভেজে নামিয়ে ঠান্ডা করে মিক্সিতে গুঁড়ো করে নেবেন!
দ্বিতীর পর্যায়ে:- ওই একই পাত্রে এক্ চামচ ঘি দিয়ে সুজি ভেজে নিতে হবে নিম্ন আঁচে, লক্ষ্য রাখার বিষয় সুজির রং যেনো পরিবর্তন হয়ে না যায়, ক্রমাগত নেড়ে যেতে হবে।
![]() | ![]() |
|---|

![]() | ![]() |
|---|
- তৃতীয় ধাপে:- একটি ২৫০ মিলি কাপে অর্ধেক জল এবং লিকুইড দুধ সম পরিমাণে মেপে নিয়ে ভাজতে থাকা সুজির মধ্যে দিয়ে একটি মন্ড তৈরি করে নিতে হবে। যেমনটি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। তৈরি সুজির মন্ড একটি পাত্রে নামিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
![]() | ![]() |
|---|

- চতুর্থ পর্যায়ে:- পুনরায় একটি পাত্র উচ্চ তাপমাত্রায় বসিয়ে তাতে ৫০০ মিলি জল দিয়ে, তাতে ২০০ গ্রাম চিনি এবং এলাচ্ সহযোগে চিনির রস তৈরি করে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের চিনির সিরা নয়, রস প্রয়োজন কাজেই এটি খুব ঘন কিংবা এক্, দু তারযুক্ত করবার প্রয়োজন নেই।
চিনির সিরা তৈরি হয়ে গেলে অন্য পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে।

- পঞ্চম ধাপে:- ঢেকে রাখা সুজির মন্ড থেকে ঢাকা সরিয়ে ওর মধ্যে পানির এবং গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে পরিষ্কার হাতের তালুর সাহায্যে খুব মসৃন করে সমস্ত উপকরণ মেশাতে হবে।
ঠিক যেভাবে ছানা মসৃণ ভাবে মেখে সন্দেশ তৈরি করা হয়। কাজটি ধৈর্য সহকারে করতে হবে, যাতে গুঁড়ো দুধের দলা কিংবা পনিরের কোনো টুকরো রয়ে না যায়!
![]() | ![]() |
|---|
- ষষ্ঠ ধাপে:- একটি কড়াই মাঝারি আঁচে বসিয়ে, বেশ অনেকখানি রিফাইন্ড তেল দিয়ে গরম হতে দিতে হবে! এই ফাঁকে হাতের তালুতে ঘি মাখিয়ে মেখে রাখা মন্ড থেকে পছন্দ মতো আকারে মিষ্টি গড়ে নিতে হবে।
এখানে জানিয়ে রাখি রসে ডুবিয়ে রাখার পরে মিষ্টি ফুলে যাবে, কাজেই সেটা বুঝে মিষ্টির আকার তৈরি করবেন।
আমি তিনটি আকার তৈরি করে দেখিয়েছি। বাকিটা বাড়িতে কতজন সদস্য আছে, তার উপরে ভিত্তি করে মিষ্টির আকার নির্ধারণ করবেন।
![]() | ![]() |
|---|
- সপ্তম পর্যায়ে:- তেল গরম হয়েছে কিনা, সেটা দেখার সবচাইতে ভালো পদ্ধতি ছবিতে উল্লেখ করেছি, একটি খুব ছোট্ট আকারের গোলাকৃতি মন্ড থেকে নিয়ে তৈরি করে সেটা তেলে দিয়ে দেবেন, যদি সেটি না ভেঙে যায়, আর দেবার কিছু মুহূর্তের মধ্যেই ভেসে ওঠে, জানবেন আপনার মন্ড যেমন সঠিক তৈরি হয়েছে, তেমনি তেল মিষ্টি ভাজার জন্য প্রস্তুত!

- অষ্টম পর্যায়ে:- মিষ্টি সঠিক আকারে গড়ে নিয়ে একটু বাদামি রঙে ভেজে চিনির রসে দিয়ে দিতে হবে, এবং খানিক সময় রেখে গরম গরম পরিবেশন করুন বাড়িতে তৈরি অভিনব পদ্ধতিতে তৈরি গোলাপ জাম মিষ্টি!
তৈরির পদ্ধতি দেখিয়ে দিলাম, এবার আপনার কতখানি মিষ্টি পেয়েছে তার উপরে সংখ্যা নির্ধারণ করে নিজের পাতে তুলে নেবেন এই ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি মিষ্টি!
যদি সঠিকভাবে তৈরি করতে পারেন, দোকানের চাইতেও নরম এবং সুস্বাদু লাগবে খেতে এইটুকু বলতে পারি।




















