লাস্ট নাইট || বাংলা নাটকের রিভিউ
লাস্ট নাইট বাংলা নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
লাস্ট নাইট নাটকের গল্পটি বেশ রোমান্টিক ও ভালোবাসাময়। আর এই গল্প বাস্তবে কখনোই সম্ভব নয়। এটি শুধুই নাটকেই মানায় আর নাটকে মানায় বলেই এই নাটকের গল্প নাটকের মাধ্যমেই আমাদের সামনে এসেছে। এটা বাস্তবের সাথে কোনভাবেই মিলবে না কিংবা বাস্তবে এই ঘটনা কখনোই ঘটবে না। তবে মানুষের জীবনে হুট করেই অনেক কিছু ঘটে যায়, যা কখনোই কল্পনা করা হয় না। আজকে আমি লাস্ট নাইট নাটকটির আমার এই পোস্টের মাধ্যমে নিজের মত করে রিভিউ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
|---|
| নাটকের নাম | লাস্ট নাইট |
|---|---|
| প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
| পরিচালক | রাকেশ বসু |
| অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব , তানজিম সাইয়ারা তটিনী ও আরো অনেকেই। |
| প্রকাশিত | ১ জুলাই ২০২৩ |
| সময় | ৪৪:৪৭ মিনিট |
নাটকের মূল কাহিনী শুরু |
|---|
ছেলেটি একজন ফটোগ্রাফার সে তার নিজের বাসাকে এমনভাবে সাজিয়েছে যেন এটি একটি স্টুডিও। আর সে সকল কাজ তার বাসায় ভেতরেই করে। একদিন বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে রাতের বেলায় সে টেবিলে কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে যায়। একটা ফোনে ঘুম ভাঙ্গে, সেই ফোনে কথা বলার শেষ করে কফি খেতে খেতে কম্পিউটারে কাজ করতে থাকে। আর ঠিক সেই সময় কলিং বেল বাজলে দরজা খুলে দেয় ও দরজা খুলে দেখে একটি মেয়ে হুট করে তার ঘরের ভেতর ঢুকে গেছে। মেয়েটি অপরিচিত হলেও মেয়েটির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, যেন মনে হচ্ছে সে মেয়েটির চেহারার মায়ায় আটকে গিয়েছে। কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করেই মেয়েটি দরজা লক করে দিয়েছে ভেতর থেকে।
এরপর মেয়েটির কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে যে আমি একজন মার্ডার কেসের আসামী। আমাকে পুলিশ খুঁজছে ছেলেটি তখন বিশ্বাস করতে পারছিল না তার এই কথা। এত সুন্দর একটি মেয়ে কখনো মার্ডার করতে পারে এটি ভাবতে যেন অবাক লাগছে। এর কিছুক্ষণ পর বাসায় কলিং বেল বাজে ও বুঝতে পারে যে বাসায় পুলিশ এসেছে। তখন সে বলে যে আপনি পুলিশকে সামলান আমি নিজেকে একটু সামলিয়ে আসছি।
পুলিশকে ঘরে ঢোকানোর পর পুলিশ নানাভাবে প্রশ্ন করতে থাকে ও পুরো ঘরের সব কিছু দেখতে থাকে। এরই মধ্যে মেয়েটি নিজের কাপড় পরিবর্তন করে একটি শাড়ি পড়ে এসেছে ও ছেলেটির ওয়াইফের চরিত্রের অভিনয় করতে শুরু করেছে। বলছে যে আমাদের বাসায় পুলিশ ভাই এসেছে উনাকে কিভাবে আপ্যায়ন করা যায়। এসব কথা বলে পুলিশটিকে একটু পাঠানোর চেষ্টা করছে ও নরম কন্ঠে কথা বলছে। পুলিশ মেয়েটিকে চিনতে না পেরে ভাবি বলে সম্বোধন করে ও এক কাপ চা খায়। তখন মেয়েটা পুলিশের কাছে কাকে খুঁজছে জানতে চাইলে পুলিশ বলে যে একটি মেয়েকে খুঁজছি যে একজনকে মার্ডার করে এসেছে কিন্তু মেয়েটি কেন যে ধরা দিচ্ছে না সেটাই বুঝতে পারছি না। আরো বেশ কিছুক্ষন কথা হলে পুলিশটি চলে যায়।
এরপর ছেলেটি বলে যে আপনি তো অভিনয় ভালই করতে পারেন। এত সুন্দর করে পুলিশকে পটিয়ে সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। আচ্ছা এবার আপনি আপনার আসল ঘটনা বলুন যে কিভাবে আপনি খুন করেছেন ও কেনইবা খুন করেছেন। তখন মেয়েটি কল্পনা দিয়ে পুরো ঘটনা ছেলেটিকে খুলে বলে। ঘটনাটি ঘটে তার অফিসে বসের সাথে।
সে মাত্র ঢাকা শহরে নতুন এসেছে একটি চাকরির উদ্দেশ্যে। নতুন একটি চাকরি পেয়েছে। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই বস সবসময় তাকে খেয়াল করছে ও তাকিয়ে তাকিয়ে কি যেন একটা ভাবতে থাকে। সব সময় বলে যে তোমার যে কোন সমস্যা শুধু আমাকেই জানাবে, আমি নিমিষেই তোমার সেই সমস্যার সমাধান করে দিব। এরপর একদিন মেয়েটির বেশ কিছু কাজ জমা ছিল বলে অফিসের সবাই চলে গিয়েছিল কিন্তু মেয়েটি বসে বসে কাজ করছিল। আর তখন বস উনার নিজের রুম থেকে বের হয়ে মেয়েটির গায়ে হাত দিয়ে বলে যে তুমি এখনো যাওনি কেন ? তখন মেয়েটি একটু ঘাবড়ে যায় আর বলে স্যার আপনি এগুলো কি করছেন ? তখন স্যার বলে যে আপনি কি বুঝতে পারছেন না যে আমি কি চাচ্ছি ? এগুলো বলে মেয়েটিকে আরো জোর করতে থাকে। ঠিক তখনই মেয়েটি জোরে একটি ধাক্কা মারে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আর তখনই স্যার মাটিতে পড়ে মাথা ফেটে মারা যায়। আর এই সমস্ত কিছু রেকর্ড হতে থাকে সি সি ক্যামেরায়।
আর এই গল্প ছেলেটি শুনে বলে যে এটি তো কোন মার্ডার নয়। এটি হচ্ছে একটি এক্সিডেন্ট। নিজেকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা। এরপর ছেলেটি মেয়েটিকে আশ্বাস দেয় যে আপনি পুলিশের কাছে ধরা দেন ও সমস্ত কিছু খুলে বলেন। আমি আশা করি আপনার কোন ক্ষতি হবে না বরং আপনার পক্ষে পুলিশ থাকবে এবং আমিও আপনার পক্ষে আছি। এসব কথা বলে তারা সারারাত পাশাপাশি বসে গল্প করতে করতে কাটিয়ে দেয়। সারারাত গল্প করার পর পরেরদিন যখন মেয়েটি বাসা থেকে বের হয়ে চলে যাবে ঠিক তখনই ছেলেটি জিজ্ঞাসা করে আচ্ছা আপনার তো নামটায় জানা হলো না। দরজা খুলতে খুলতে মেয়েটি হাসিমুখে তার নাম বলতে গেলেই ঠিক তখন রাতের সেই পুলিশ সামনে এসে হাজির। আর মেয়েটির নামটি তখন পুলিশ নিজেই বলে দেয় আর বলে ইউ আর আন্ডার এরেস্ট। তখন একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর এর মধ্যে শেষ হয়ে যায় নাটকটি।পরবর্তীতে কি হতে পারে কিংবা কি হবে সেটা নাটকের দ্বিতীয় পার্ট বের না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
ব্যক্তিগত মতামত |
|---|
মেয়েরা কোন জায়গায়, কোন চাকরিতে কিংবা কোন ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়। মেয়েরা যেখানেই যাবে সেখানেই হায়নার মত পিছু লেগে থাকে কিছু পুরুষ মানুষ। যারা সবসময় মেয়েদের পিছু লেগে থাকে। আর যখন নিজেকে এসব পশুর কাছ থেকে বাঁচাতে গিয়ে কোন এক্সিডেন্টলি কেউ মারা যায় তখন আইন সেটার বিচার কিভাবে করে সেটা আমার জানা নেই। তবে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে যদি কোন এক্সিডেন্টলি কেউ মারা যায় সে ক্ষেত্রে এটিকে এক্সিডেন্ড মনে করে ক্ষমা করে দেয়াটাই উত্তম বলে আমি মনে করি। আজকের এই নাটকে এই ঘটনাটাকেই সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে তবে আশাকরি দ্বিতীয় পর্বে বিষয়টি আরো ভালোভাবে ক্লিয়ার হওয়া যাবে। নাটকের দ্বিতীয় পর্ব বের হওয়ার অপেক্ষায় আছি।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
|---|




















আপু আমি কিন্তু নাটকটি কয়েকবার দেখার চেষ্টা করেও সময় করে উঠতে পারিনি। তবে আমি যতটুকু জানি আত্নরক্ষার্থে ক্ষুন ক্ষুন বলে গন্য হয় না। নাটকটিতে বেশ সুন্দর অভিনয় করেছে অপূর্ব এবং টটিনী। আর আপনিও অনেক সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রিভিউ দেওয়ার জন্য।
নাটক দেখতে ভীষণ পছন্দ করি। যদিও অনেক আগেই আমি লাস্ট নাইট নাটকটি দেখেছি। তবে আজকে আপনার রিভিউ পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। নাটকটির গল্পটি ছিলো একটু ব্যাতিক্রম। তটিনী এবং অপূর্ব দুজনে জুটি এখন দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
নাটক দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।আপনি আজকে খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করলেন। আপু আপনার এই নাটকের রিভিউটি পড়ে ভীষন ভালো লাগলো। নাটকটি আমার দেখা হয়নি। আসলে মেয়েরা কোথাও নিরাপদ নয়।নাটকটি সুযোগ মতো দেখবো আশাকরি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। লাস্ট নাইট নাটকটি অল্প কিছুদিন হলো মুক্তি পেয়েছে। আসলে যে সকল নতুন নাটক বাংলাদেশে মুক্তি পায় প্রায় নাটক গুলো আমি দেখে থাকি কিন্তু এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। আসলে এখন হাতে অনেক সময়ের অভাব। তবে আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি দেখতে বেশ রোমান্টিক। তবে সময় পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব আপু আপনার শেয়ার করা এই নাটকটি দেখার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু নাটকটি অনেক সুন্দর। তবে এমন একটি জাগায় নাটকটি শেষ হয়েছে যে পরের পর্ব দেখার আগ্রহ জন্ম দিয়ে গেল। যারা চরিত্রহীন তাদের এভাবেই মৃত্যু হওয়া উচিত। ধন্যবাদ।
আমি যতদূর জানি আপনি নাটক প্রেমি। খুব সুন্দর সুন্দর নাটক দেখেন আর আমাদের মাঝে রিভিউ করেন এটি অনেক ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদায় ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে সবসময় এই কামনা করি ।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি আপু। আমিও নাটক দেখতে অনেকটাই পছন্দ করি। যেহেতু আপনি আপনার পোষ্টের মধ্যে এই নাটকের লিংক দিয়ে দিয়েছেন আমি নাটকটি ইউটিউব থেকে দেখে নেয়ার চেষ্টা করব। একই সাথে আপনি এখানে যে সকল কথাগুলো বলেছেন সেগুলো থেকে নাটকটিকে অনেকটাই বোঝা যাচ্ছে।
নাটক একটা সময় আমিও অনেক বেশি পছন্দ করতাম। আর এখনো অনেক পছন্দ করি। কিন্তু সময় সল্পতার কারণে নাটক দেখতে পারি না। তাই খুব খারাপ লাগে এ বিষয়টি। যাইহোক আপু আপনার রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।