চিঠি!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
পোস্ট টা করতে একটু দেরি হয়ে গেল। গতকাল ১ লা সেপ্টেম্বর ছিল বিশ্ব চিঠি দিবস। যদিও চিঠির সেই যুগ এখন আর নেই। এখন বিশ্বের যেকোন প্রান্তে ইমেইল পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড আর কী। এই চিঠি দিবসে আমি একজনের উদ্দেশ্যে একটা চিঠি লিখব। যদিও সেটা সরাসরি লিখে পাঠানো সম্ভব না। সেজন্য ভাবছি এখানেই লিখি। কোথাও না কোথাও তো থাকবে। যদি আবার কখনও দেখা হয় তাকে তখন দেওয়া যাবে পড়ার জন্য।
প্রিয় অদিতি,
হ্যা এটা তোমার আসল নাম না। কিন্তু আমি তো তোমাকে এটা বলেই ডেকে থাকি। আশাকরি ভালো আছ। তবে ঠিক কতটা ভালো তুমি আছ সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আমার আছে। বিগত একটা বছরে তোমার জীবনে যে ঘটনা গুলো ঘটে গিয়েছে তারপর হয়তো ভালো থাকা সম্ভব না। ঐদিন তোমাকে অনেক টা অভিমান থেকেই কথাগুলো বলে ফেলেছিলাম। ঐসময় আমার ঠিক কী করা উচিত ছিল জানি না। কিন্তু তোমার সাথে ঐ অনিয়মিত যোগাযোগ আমার ডিপ্রেশন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিলো। তবুও তো যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ঐদিন নিষেধ করার পরে তুমি আর ফোন দিচ্ছ না। আর আমি যে নিজে থেকে ফোন দেব সেই উপায় তো তুমিই রাখনি।
অন্য কোনভাবে তোমার সাথে যোগাযোগ করার উপায় নেই। তবে সেদিন আমার কথাগুলো আমি অনুরাগ থেকেই বলেছিলাম। আমি বুঝতে পারিনি কথাগুলো সত্যি সত্যি তুমি সিরিয়াসলি নেবে। জানলে বলতাম না। ভেবেছিলাম হয়তো ফোন দেবে যোগাযোগ করবে। একেবারে তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার চেয়ে মাঝে মাঝে হওয়া খারাপ ছিল না। এখন খারাপ লাগছে। আর যাইহোক আমি তো তোমাকে ভালোবাসতাম। ভালোবাসতাম কথাটা সঠিক না ভালোবাসি বলাটা ঠিক। ভালোবাসার মতো সেই জঘন্যতম অনূভুতি টা তোমার জন্যই প্রতিটা মূহূর্তে আমি উপভোগ করছি।
একদিকে যখন তুমি কখনোই আমাকে গুরুত্ব দাও নাই। ভালোবাসা তো অনেক পরের কথা। অন্য দিকে আমার সমস্ত ধ্যান জ্ঞান ছিল তোমার প্রতি। এরপরেও আমার সাথে যেটা ঘটেছে সেখানে আমার এই আচরণ একেবারেই সাধারণ। আমার জায়গা অন্য কেউ হলে হয়তো এর থেকে খারাপ কিছু হতো তোমার সাথে। আমার বড় ভাই, বন্ধু এদের সবার নিষেধের পরেও আমি তোমার সাথে যোগাযোগ রেখেছি। এতোকিছুর পরেও আমি তোমার হাত না ছাড়ার কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি হয়তো আমার উপর ভরসা রাখতে পারোনি। সত্যি বলতে দোষটা তোমারও না। আমি নিজেও এতটা ভাগ্যবান না যে নিজের পছন্দের মানুষটাকে সারাজীবনের জন্য পাব। খুব ভাগ্যবান যারা হয় তারাই তাদের পছন্দের মানুষের সাথে সারাজীবন থাকতে পারে।
এভাবেই আমার দিনগুলো কেটে যাচ্ছে। আগে এতোকিছুর মাঝেও যখন তুমি ফোন দিতে আমার মেন্টাল প্রেসার কমে যেত। তোমার সাথে কথা বললে নিজেকে আবার মানুষ বলে মনে হতো। নিজের মধ্যে আবার আবেগ অনূভুতি জেগে উঠতো। কিন্তু এখন আর সেগুলো একেবারেই হয় না। যদি সম্ভব হতো সারাজীবনের জন্য তোমাকে আমার কাছেই রেখে দিতাম।সমাজ পরিবার বা পৃথিবীর কারো কথায় আমি শুনতাম না। কিন্তু কী করব বলো যেখানে তুমি নিজেই ঠিক নেই সেখানে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টাও তো বৃথা। জানি না কেমন আছ কী অবস্থায় আছ। তবে তোমাকে বলব সম্ভব হলে যোগাযোগ করো আবার ফোন দিও। আমরা একে অপরের না হয়ে পারি এক অন্যের সঙ্গে তো সারাজীবন থাকতেই পারি। হোকনা সেটা কিছুটা নিয়ম বর্হিভূত।
তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকব। ফোন দিও। তোমাকে দেখেছি সেই কবে কোন বৃহস্পতিবার। তারপর এক কোটি বছর হয় তোমাকে দেখি না।
ইতি
অরিএ.....
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।