অসুস্থতা ও পারিবারিক ব্যস্ততা।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো এবং সুস্থ আছেন।
গত দুইদিন ধরে আমি বেশ কিছুটা অসুস্থ অনুভব করছি। পেটে তীব্র ব্যথা আর অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। ধারণা করছি, হয়তো গ্যাস্ট্রিকই জামেলা করছে। তার ওপর গত দুইদিন তরকারিতে জালের পরিমাণও বেশি ছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েও তেমন আরাম পাচ্ছিলাম না। পেটের এই অস্বস্তি আমাকে শারীরিকভাবে যেমন কষ্ট দিচ্ছিল, মানসিকভাবেও কিছুটা চিন্তিত ছিলাম।
অফিসে আজ বিকেলের দিকে ব্যথাটা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু কাজের চাপ থাকার কারণে নিজেকে সামলে অফিসের কাজ চালিয়ে গেছি। এই ব্যথা নিয়ে কাজ করা সত্যিই কঠিন ছিল, তবু দিনের কাজটা শেষ করার চেষ্টা করছিলাম। এমন সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসা থেকে আমার ওয়াইফ ফোন করে জানালো তারও নাকি পেটে ব্যথা করছে, আর নুসাইবা তাকে খুব জ্বালাতন করছে। তাই সে বলল, যেন আমি তাড়াতাড়ি বাসায় এসে দেখি।
আমি কাজগুলো গুছিয়ে বাসা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি, ঠিক তখনই আবার ফোন। আমার স্ত্রী জানালো তার মা গ্রাম থেকে এসেছিল, কিন্তু বাসায় ঢুকতে পারেনি। কারণ আমার স্ত্রী ঘুমানোর সময় ভুলে মেইন দরজাটাও ভেতর থেকে লাগিয়ে ঘুমিয়ে ছিল। বাসার চাবি ভেতরেই ছিল, এবং সে ভেবেছিল দরজা খোলা আছে। ফলে তার মা এসে ভেবেছেন আমরা হয়তো বাইরে চলে গেছি। তাই ফিরে তিনি তার বড় মেয়ের বাসায় সাইনবোর্ড চলে গেছেন। যাওয়ার সময় গ্রাম থেকে আনা কয়েকটি ফ্রিজিং মাছ আর দুধ পাশের ফ্ল্যাটে রেখে গেছেন।
বাসায় ফিরে এসব শুনে আমিও একটু অপ্রস্তুত হলাম। স্ত্রী বললো, সে তার মাকে দেখতে সাইনবোর্ড যাবে। শরীর খারাপ, তাই আমাকে সঙ্গ দিতে হবে। অফিস থেকে ফিরে কাপড় বদলানোর পর আবার প্রস্তুত হয়ে বের হতে হলো।
বিকাশ থেকে কিছু টাকা তুললাম, তারপর পথে কিছু ফল কিনে অটোতে উঠলাম সাইনবোর্ডের উদ্দেশ্যে। আমাদের বাসা থেকে সেখানে পৌঁছাতে সাধারণত ১০–১৫ মিনিটের মতো লাগে। আমি ভেবেছিলাম স্ত্রীকে তার বোনের বাসায় নামিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরে আসবো। কিন্তু গিয়ে দেখি, আমার ভাইরা ভাই বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আমাকে সরাসরি বাসায় নিয়ে গেলেন, বসিয়ে গল্প শুরু হয়ে গেল।
সামনে নির্বাচন তাই দেশের রাজনীতি আর নির্বাচন নিয়েই বেশিরভাগ আলোচনা হলো। কিছুক্ষণ পর নাস্তা আনা হলো। নাস্তা সেরে আমি চলে আসতে চাইছিলাম, কিন্তু তারা বলল, রাতের খাবার খেয়ে যেতে হবে। তাদের আন্তরিকতায় না বলতে পারলাম না। রাত সাড়ে দশটার দিকে খাবার পরিবেশন হলো। তারা সাধ্যের মধ্যে অসাধারণ আয়োজন করেছিল পোলাও, মাছ ভুনা, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ডাউল, দুধ সব মিলিয়ে বেশ আয়োজনই বলা যায়। তাদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হলাম।
খাওয়াদাওয়া শেষ হতে ১১টা ৩০ মিনিট বাজল। মুসাইবা আর তার আম্মুকে ওখানে রেখে আমি বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বারোটার দিকে বাসায় পৌঁছে কিছু আনুষঙ্গিক কাজ সারলাম। শুতে যেতে যাবো, আবার পেটের ব্যথা শুরু হলো। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলাম, পরে গ্যাসের ওষুধ খেলাম। তারপর ব্যথা কিছুটা কমলে শুয়ে পড়লাম।
আজকের দিনটি ছিল অসুস্থতা, ব্যস্ততা আর পারিবারিক পরিস্থিতির মিশেলে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। শরীর খারাপ থাকলেও পরিবারকে সময় দিতে হয়েছে, আবার অপ্রত্যাশিত ঘটনা সামলাতে হয়েছে। তবুও দিনের শেষে মনে হলো এটাই জীবনের অংশ, কখনো সহজ, কখনো কঠিন; কিন্তু চলতেই হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server

















