লাইফ স্টাইল :- ভাগ্নির বিয়ের দিনের কাটানো কিছু মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার হাজবেন্ডের বড় বোনের মেয়ের বিয়ের দিনে কাটানো মুহূর্ত। কিছুদিন আগে আমি গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আজকে আপনাদের মাঝে বিয়ের দিন কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করব। তবে বিয়ের দিন সকালবেলা থেকে আমরা সবাই খুব ব্যস্ত ছিলাম। ভাগ্নির বিয়ে, তাই আমরা সবাই বিয়েতে কাম কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। যদিও এখন কার বিয়ে গুলোতে খাওয়া-দাওয়া গুলো রেডি করে যারা বিয়ের কাজ করে তারা। আমরা সকালবেলা থেকে বাসার ভিতর যেসব কাজ ছিল ওইসব কাজগুলো করতে লাগলাম। যদিও আমাদের বড় ভাগ্নি আছে সে বিয়ের সম্পূর্ণ দেখাশোনা করেছিল।

তবে আমরা যারা আছি তারা তাকে হেল্প করেছিলাম। কারণ আমার এই ভাগ্নির বিয়ের বিগত এক মাস আগে তার মা মারা গেল। এই কারণে সম্পূর্ণ বিয়ের দায়িত্ব কাজ ছিল বড় বোনের কাঁধে। আমি কিন্তু ভাগ্নির বড় বোনকে যে কোন কাজে হেল্প করেছিলাম। সকালবেলা আমরা সবাই বাসায় নাস্তা বানিয়ে নাস্তা খেলাম। আস্তে আস্তে যখন দুপুর হয়ে যাচ্ছে তখন আমরা রেডি হতে লাগলাম। আমি আমার মেয়েকে প্রথমে গোসল করিয়ে সুন্দর করে রেডি করে দিলাম কাপড় পরিয়ে। কারণ ছোট বাচ্চারা যখন যে কোন বিয়ে বা অনুষ্ঠানে গেলে তারা কিন্তু অনেক খুশি হয়। আর তাদের খুশি দেখলে কিন্তু তখন মা-বাবার কাছেও ভালো লাগে।

যখন আমরা দুপুরবেলা হল সবাই কিন্তু একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে গেলাম। আমরা সবাই প্যান্ডেলে খেতে বসলাম। আর আমার মেয়ে কিন্তু তার বাবার সাথে বিয়ের সময় খাওয়া দাওয়া করতে বসলো। কারণ আমার মেয়ে বাবার সাথে বেশি থাকে তার। আমরা যখন খাওয়া-দাওয়া করে আসলাম তখন গেটে যাওয়ার জন্য নাস্তাগুলো এবং শরবতগুলো আমি রেডি করে দিলাম। কারণ যখন নতুন জামাই আসবে গেটের মধ্যে তাদেরকে আপ্যায়ন করতে হয়। কারণ গেটের মধ্যে মালা থেকে শুরু করা আরো অনেক কিছু কাজ থাকে। তারপর যখন বিয়ের গেটে জামাই আসলো তাকে মালা পরিয়ে সালাম ই আদায় করল ছোট ছোট শালী গুলো।

তবে মজার বিষয় হচ্ছে তারা গেটের মধ্যে সালামি পেয়ে টাকাগুলো আমার কাছে রাখল প্রথমে। যদি ও রাত্রেবেলা তারা সেগুলো নিয়ে আবার ভাগাভাগি করলেন। তবে বিয়েতে নতুন জামাই দেখে আমার মেয়ে অনেক খুশি হয়েছে। এটাই কিন্তু বারবার বলতে লাগলো জামাই জামাই আসলো। তবে তাদের এ বিয়েতে একটি জিনিস ভালো লাগলো প্রথমে মহিলাদেরকে খাওয়া-দাওয়া করালেন। কারণ বেশিরভাগ মহিলারা পরে খেতে গেলে পুরুষের জন্য বসতে পারে না। আর বিয়েটি ছিল শুক্রবার এ কারণে নামাজের আগে আমাদেরকে খাওয়া-দাওয়া করালেন। তারপর এলাকাবাসী এবং বরযাত্রী সবগুলো কে খাওয়া দাওয়া করালেন।

তবে খাওয়া দাওয়ার পর বিয়ে-শাদী হওয়ার পর তাদের বাসার মধ্যে জামাই এবং কনে দুইজনকে বসালেন একসাথে এবং সবাই একে একে আসতে লাগলেন জামাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য। তবে আমি এই বয়সে কিন্তু মামি শাশুড়ি হয়ে গেলাম। আর ঐদিন আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। কারণ ভাগ্নির বিয়ের দিনের পুরাটা সময়ের দায়িত্ব নিয়ে আমরা কাজ করেছিলাম। আর ভাগ্নির বিয়েতে যেমন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলাম তেমনি সুন্দর সময় অতিবাহিত করলাম। আসলে যে কোন বিয়ে শাদীতে গেলে ভালো সময় কাটে তেমনি ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। আশা করি ভাগ্নির বিয়ের দিন কাটানো মুহূর্ত পোস্ট আপনাদের কাছে দেখে ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰