জীবনের গল্প || যন্ত্রণাগুলো মুখোশের আড়ালে থাকে
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। হৃদয়ের চঞ্চলতা ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদিও আমাদের চারপাশের মানুষগুলো সেই সুযোগটা খুব সহজেই দিতে চায় না। আপনি একটু খেয়াল করে দেখুন তো, সবচেয়ে বেশী কাদের পিছনে আপনি সময় ব্যয় করেন? সবচেয়ে বেশী কাদের নিয়ে আপনি চিন্তা করে এবং আপনার ভাবনার সীমানাজুড়ে কারা বেশী সময় বা দীর্ঘ সময় জুড়ে ভেসে থাকেন? এসব প্রশ্নের উত্তরে কাদের নাম আসবে, আর সেই মানুষগুলোর চেহারা একটু কল্পনা করুন।
তারপর ফলাফলটা নিজেই তৈরী করুন, তারা কতটা ভালো থাকতে দিচ্ছেন আপনাকে। যাদের জন্য দিনের পুরো সময়টা ব্যস্ত থাকছেন, যাদের চিন্তায় আপনার পুরো সীমানায় মেঘে ঘনঘটা চলতে থাকে, তারা কি আদৌ আপনার চিন্তা করছে কিংবা আপনাকের চঞ্চল থাকার সুযোগ দিচ্ছে? দিচ্ছে না, এটাই প্রকৃত সত্য। কারণ বাস্তবতা খুব বেশী নিষ্ঠুর কিন্তু তবুও আমাদের বাস্তবতাকে আড়ালে রেখে কাজ করে যেতে হয় সেই মানুষগুলোর জন্য, সেই মানুষগুলোকে একটু প্রশান্তিতে রাখার জন্য। অথচ সুযোগ পেলেই সেই মানুষগুলো আমাদের যন্ত্রণায় ছুড়ে ফেলতে দ্বিধাবোধ করে না।
মাঝে মাঝে আমি খুব বেশী হতাশ হয়ে যাই, সত্যি বলছি আমাদের মতো পজিটিভ মনের মানুষজন যখন খুব বেশী হতাশায় নির্জীব হয়ে যায় তখন নেগেটিভ মনের মানুষগুলোর অবস্থা কতটা খারাপ হয় বা হতে পারে সেই চিন্তায় আপনি আটকে যাই। সত্যি বলতে তখন নিজের যন্ত্রণাগুলোকে খুব ছোট মনে হয় এবং সেই মানুষগুলোর তুলনায় এগুলো কিছুই না মনে করে সবটা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। বাস্তবতা আমাদের অনেক কিছুই শেখায় কিন্তু বিশ্বাস করে সেই বাস্তবতাকে ধরে রাখার জন্যই আমরা সবটা নীরবে সহ্য করে যাই, মুখে তালা লাগিয়ে রাখি।
একটা সময় ছিলো যখন মানুষ সত্যিটা প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করতো না, চারপাশের অবস্থা যাই হোক না কেন মানুষ ঠিক সমস্যাগুলোকে তুলে ধরতো কিন্তু এখন সময় পাল্টে গেছে, মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন হয়ে গেছে। তাই এখন আর সত্য বলা যায় না। আগে যেখানে মানুষ সত্যটা শুনে শান্তনা দিতো, সেটাকে ওভারকাম করার পন্থা বাতলে দিতো। এখন কিন্তু সেটা করে না বরং দুর্বলতাগুলোকে নোট করে রাখে, সুযোগ ও সময় মতো সেখানে আঘাত করে। সমাজে তাকে নিচু করার নানা পন্থা অবলম্বন করে এবং যতটা সম্ভব চাপে রাখার চেষ্টা করে।
যার কারণে আমরা বাধ্য হয়েই এক প্রকার মুখোশের আড়ালে চলে যাই, সমস্যাগুলোকে আড়ালে রেখে হাসি মুখে সবটা মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি। ভেতরে আটকে থাকা ক্ষতগুলোকে আর ঠিক হওয়ার সুযোগ দিতে পারি না, যন্ত্রণাগুলোকে সুখের আবরণে ঢেকে রাখতে পারি না, বরং সবটা সহ্য করে জীবনের গতিকে ঠিক রাখার চেষ্টা করি। তারপর ধীরে ধীরে আমরা এককজন চমৎকার অভিনয় শিল্পী হয়ে যাই, বুঝতেই পারি না জীবনের কঠিন সময় আর সুসময়ের মাঝে পার্থক্য কোথায় ছিলো? ভালো কোনটা আর খারাপ কোনটা, এগুলোর মাঝে অনুভূতির পার্থক্য কোথায় ছিলো!
Image Taken From Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR





আজকের সমাজে আমরা সবাই যেনো না বলা কষ্টগুলোর ভার নিয়ে বেঁচে আছি। সত্য বলতে গিয়ে অপমানিত হওয়ার ভয়, দুর্বলতা প্রকাশ করলে আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা এই জায়গাটাই মানুষকে সবচেয়ে বেশি নিঃসঙ্গ করে তোলে। তাই মুখোশ পরে বাঁচা যেনো এখন শক্তি নয়,বরং বাধ্যতামূলক অভ্যাস হয়ে গেছে।কিন্তু ভাইয়া আপনার এই লেখাটা মনে করিয়ে দেয়, আমরা এখনও অনুভূতিশীল, এখনও মানুষ এবং একদিন হয়তো আবার এমন সময় আসবে, যখন সত্য বলাটা দুর্বলতা নয়, সাহস হিসেবে দেখা হবে। অসম্ভব রকমের সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া। 🙏