অনুভূতি :- সকালবেলা নাস্তা করার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব চৌধুরীহাট বাজারে হোটেলের সকাল বেলা নাস্তা করার মুহূর্ত। সকালবেলা এমনিতে লোক কম থাকে সব জায়গাতে ঠান্ডার কারণে। আমি কিন্তু কিছুদিন যাবত সকালবেলা শ্বশুরবাড়ি থেকে মাদ্রাসা আসার জন্য যাতায়াত করি। এই কারণে আমি সকাল সাতটা বাজে আমার ওয়াইফদের বাড়ি থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। আর আমি তাদের বাড়ি থেকে যখন চৌধুরীহাট বাজারে যাই তখন ওইখানে নাস্তা করি সকালবেলা। আর আমাদের চৌধুরীহাট বাজারে নামকরা হোটেল হচ্ছে আলি বাবা হোটেল। এই আলি বাবা হোটেল অনেক বছর ধরে চৌধুরীহাট বাজারের পুরনো প্রতিষ্ঠিত হোটেল।

আমরা কিন্তু ছোটবেলা থেকে দেখতে আসতে লাগলাম এই হোটেলটি তারা করে। আর এই হোটেলে কিন্তু নাস্তা থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া এবং দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া সবকিছু মানসম্মত। আর তারা কিন্তু ভোরবেলা এই হোটেল খুলে এইখানে কিছু সকালবেলা কাস্টমার দেখা যায়। বিশেষ করে যারা কাজ করে বা গাড়ি চালায় ওই কাস্টমারগুলো সকাল সাতটা আটটা বাজে দেখা যায়। আমি তখন কিছুদিন আগে যখন বাজারে আসলাম শ্বশুরবাড়ি থেকে তখন আমি দোকানটির ভিতরে গেলাম। আর দোকানদার কিন্তু আমাদের পরিচিত বিদায় গেলে তার সাথে কথা বলি। আর ঠান্ডার কারণে আমি লোকটিকে বলতে লাগলাম চা দেওয়ার জন্য।

তখন লোকটি আমাকে বলতে লাগলো গরম গরম রুটি বানানো হচ্ছে খাবে নাকি। ওই সময় আমি লোকটিকে বললাম তাহলে একটি গরম রুটিও সাথে দেন। আর ওই সময় ৩-৪ জন কাস্টমার ছিল দোকানের মধ্যে। দোকানে যারা কাজ করে তারা কিন্তু কাস্টমার আসলে খুব খেয়াল করে। দেখলাম ২-৩ মিনিটের মধ্যে আমাকে চা এবং গরম রুটি দিল। সত্যি বলতে গরম গরম চা এবং রুটি খেতে বেশ মজা লাগলো। যদিও আমি নিজে একা একা বসে নাস্তা করতে লাগলাম। সত্যি বলতে দোকানটির পরিবেশ অন্যরকম ভালো লাগে। কারণ তারা যে কোন কাস্টমার গেলে তাদের সাথে সুন্দর কথা বলে এবং যে কোন কিছু খেয়াল করে।

তখন আমাকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো বাড়ির জন্য পার্সেল লাগবে নাকি। আর ওই সময় আমি বাড়িতে মোবাইলের কল করলাম গরম গরম রুটি লাগবে নাকি। শুধু বাড়িতে আমার মা-বাবা আছে। ওই কারণে আমার মা বলতে লাগলো দুইটি গরম রুটি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এজন্য তাদের জন্য আমি দুটি গরম রুটি নিয়ে নিলাম। বাড়িতে নেওয়া সময় এগুলো ঠান্ডা হয়ে যাবে। কারণ চৌধুরী হাট বাজার আমাদের বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। এরপর আমি কিছুক্ষণ নাস্তা করে বসলাম। যদিও ওই সময় তেমন গাড়ি নেই রাস্তাতে। কারণ আমাদের বাড়ির দিকে যেতে হলে গাড়ির প্রয়োজন। আর দোকানদার ওই সময়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো সকাল বেলা কোথায় থেকে আসলাম।

তখন তার সাথে কথা বললাম কিছুক্ষণ সময় ঐখানে কাটালাম। কারণ দোকানে ওই সময় কাস্টমার কম ছিল বিধায় দোকানদার ফ্রি ছিল । তবে এই হোটেলে নাস্তা থেকে শুরু করে দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া এবং বিকেল বেলা বিভিন্ন ধরনের হাতের নাস্তা বানানো হয়। আর সকাল বেলা থেকে বিকেলবেলা বিভিন্ন ধরনের হাতের নাস্তা এইখানা পাওয়া যায়। সত্যি বলতে এইখানে ঐদিন সকালবেলা নাস্তা করে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আশা করি আমার সকাল বেলার নাস্তা খাওয়ার এই পোস্ট দেখে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আর সকাল বেলা শীতের মধ্যে নাস্তা খাওয়ার মজাই আলাদা।