প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। বেশ কয়েক মাস আগে একেবারে সকাল বেলা শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে সময় কাটিয়েছিলাম এবং আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে এই পোস্টটি অনেক আগেই শেয়ার করার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু সেটা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম। তবে মোবাইলের গ্যালারি ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় আজকে ফটোগ্রাফি গুলো চোখে পড়লো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করা যাক। আসলে একেবারে সকাল বেলা নদীর পাড়ে সময় কাটানোর মজাই আলাদা। বিশেষ করে গরমের দিন সকাল সকাল নদীর পাড়ে দাঁড়ালে, ঠান্ডা বাতাস এসে শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দেয়।

তবে এতো সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নদীর পাড়ে সবসময় যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না। কারণ ফজরের নামাজ আদায় করে একটু ঘুমাতে ইচ্ছে করে। তবে সেদিন সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়েছিলাম ৫নং ঘাটে মাছ কিনতে যাওয়ার জন্য। তো মাছ বাজারে প্রবেশ করার আগে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে গিয়ে একটু দাঁড়ালাম। কারণ নদীর পাড়ে সেখানে খুব সুন্দর রাস্তা রয়েছে। আর এমন সুন্দর রাস্তা দেখলে সবারই হাঁটাহাঁটি করতে ইচ্ছে করবে। কারণ এমন মনোরম পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করার মজাই আলাদা। অনেকেই দেখলাম সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছে। আসলে সকালে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে শরীর খুব ভালো থাকে। নদীতে তখন অনেক জাহাজ চলাচল করছিলো। তাছাড়া নৌকা এবং ট্রলারও চলাচল করছিলো। আমি সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য গুলো উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম।

পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। রাস্তার পাশে অর্থাৎ নদীর পাড়ে যে খালি জায়গা গুলো রয়েছে, সেখানে কে যেনো সবজি চাষ করার চেষ্টা করছে। সেখানে যে জাহাজ থামানো ছিলো, সেই জাহাজে কিছু লোক থাকে। খুব সম্ভবত তারাই সবজি চাষ করার চেষ্টা করছে। নদীতে তখন প্রচুর কচুরিপানা ছিলো। তাছাড়া নদীর পানি তখন একেবারে কালো ছিলো। যাইহোক আমি সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে,তারপর মাছ কিনতে চলে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে সেদিন সকালটা এককথায় দুর্দান্ত কেটেছে আমার। সাধারণত আমি বিকেলে নদীর পাড়ে সময় কাটিয়ে থাকি। তবে সেদিন সকালে নদীর পাড়ে সময় কাটিয়ে ভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল মনের মধ্যে। আর এতো সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।