প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। সপ্তাহ খানেক আগে আমরা ১৪ জন মি. বাফেটে গিয়েছিলাম ডিনার করতে এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে মি. বাফেটে আমাদের প্রায়ই যাওয়া হয়। অনেক সময় বাফেট লাঞ্চ করতে এবং অনেক সময় বাফেট ডিনার করতে। কারণ আমাদের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া তে আমার মতে এর চেয়ে ভালো বাফেট নেই। যাইহোক গত সপ্তাহে আমাদের শপিংমল প্রজেক্টে অনেক দিন পর একটি গুড নিউজ এসেছে এবং তারপর সবাই শপিংমল প্রজেক্টের ম্যানেজারকে বলে ট্রিট দেওয়ার জন্য। যেহেতু আমরা সবাই খুব ক্লোজ, তাই ম্যানেজার সাথে সাথেই ট্রিট দিতে রাজি হয়।

তো আমি সাথে সাথে মি. বাফেট রেস্টুরেন্টে ফোন দিয়ে ১৪ জনের জন্য ডিনারের বুকিং দেই। তারপর আমরা মাগরিবের নামাজ আদায় করে, আমাদের দুটি গাড়ি নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই চাষাড়া পৌঁছে গেলাম এবং তারপর মি. বাফেট রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। যদিও তখন বাফেট ডিনারের সময় হয়নি। তখন খুব সম্ভবত সন্ধ্যা ৬.৪৫ বেজেছিল। সেখানে বাফেট ডিনার শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টা বাজে এবং শেষ হয় রাত ১০টা বাজে। তো আমরা ভিতরে প্রবেশ করে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এবং তারপর টেবিল পছন্দ করে আসন গ্রহণ করলাম। এরপর আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের টপিক নিয়ে আড্ডা দিতে লাগলাম এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ৭টা বেজে গেলো। তারপর সেই রেস্টুরেন্টের স্টাফরা খাবার ফিল আপ করতে লাগলো। তারপর আমরা সবাই যার যার মতো করে খাবার নিতে লাগলাম।

আমি প্রথমে স্টার্টার আইটেম গুলো নেওয়ার চেষ্টা করলাম। যেমন থাই স্যুপ,অনথন,চিকেন মোমো,নাচোস,চিকেন ফ্রাই, চিকেন কাবাব এবং ফিশ ফ্রাই। তারপর আমি সিটে বসে খাবার খাওয়া শুরু করলাম। সবাই গল্প করতে করতে খাবার গুলো খেতে দারুণ লাগছিলো। আসলে একসাথে অনেক মানুষ বসে খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। সেটা সেদিন আরও একবার খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম। যাইহোক স্টার্টার আইটেম গুলো খেয়ে তো আমার পেট অনেকটাই ভরে গিয়েছিল। তাই একটু বিরতি নিয়ে, মেইন ডিশ নেওয়ার চেষ্টা করলাম। মেইন ডিশের মধ্যে মাটন কাচ্চি মোটামুটি ভালো পরিমাণে নিয়েছিলাম এবং আরও কিছু মেইন ডিশ নেওয়ার চেষ্টা করলাম। তবে সেই বাফেটে খাসির মাংসের আইটেম অনেক কম।

তবুও খাসির মাংস দিয়ে তৈরি কিছু মেইন ডিশ নিলাম। তাছাড়া চিংড়ি এবং কাঁকড়া নিলাম। তারপর ধীরে ধীরে মেইন ডিশ খাওয়া শুরু করলাম। মাটন কাচ্চির স্বাদ সত্যিই দারুণ ছিলো। তারপর ডেজার্ট আইটেম নেওয়া শুরু করলাম। যেমন কুনাফা,বাসবুসা,পুডিং,বিয়ে বাড়ির জর্দা ইত্যাদি। সবমিলিয়ে ১ ঘন্টার মতো সেখানে থাকার পর,আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেখান থেকে বের হয়ে যাবো। কারণ সবার পেট তখন পুরোপুরি ভরে গিয়েছে। তাই ৮টার দিকে বিল মিটিয়ে আমরা বের হয়ে গেলাম। তারপর বাসায় চলে এসেছিলাম। সবমিলিয়ে আমরা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন এবং সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।